টলিউডের গুণী পরিচালক অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে নারীনিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। এই পরিচালকের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ এনে ‘মহিলা কমিশনের’ দ্বারস্থ হন এক নারী অভিনয়শিল্পী। এর জের ধরে ডিরেক্টর্স গিল্ড অরিন্দম শীলকে বহিষ্কার করে। পরবর্তীতে ব্যাপারটি মামলা পর্যন্ত গড়ায়। এটি গত বছরের ঘটনা।

অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে নারী অভিনেত্রী মুখ খোলায় খুশি হয়েছিলেন স্বস্তিকা মুখার্জি। কয়েক দিন আগে এসব বিষয়ে মন্তব্য করেন অরিন্দম শীল। ফের তার বিষয়ে সরব হলেন ঠোঁটকাটা স্বভাবের স্বস্তিকা।

প্রথমে অরিন্দম শীলকে নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি ছিলেন না স্বস্তিকা। অবশ্য পরে কথা বলেন। নিউজ১৮-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ অভিনেত্রী বলেন, “অরিন্দম শীলের বিষয়ে এতজন নারী এগিয়ে এসেছেন, তারা কোনো না কোনো সময় হেনস্তার শিকার হয়েছেন। তাদের কাছে সুযোগ নেওয়া হয়েছে। আইনিভাবে কী হয়েছে বা কী হবে, সেটা যাই হোক না কেন, ওই মহিলাগুলোর কথা তো আর মিথ্যা না।”

আরো পড়ুন:

চুমু না খেয়েও প্রেমের মুহূর্ত বোনা যায়: শ্রাবন্তী

বাগদান সারলেন ঋতাভরী

খানিকটা ব্যাখ্যা করে স্বস্তিকা মুখার্জি বলেন, “ভুক্তভোগী নারীরা পাবলিক ফোরামে অভিযোগ জানিয়েছেন, থানায় কিংবা আর্টিস্ট ফোরামে। তাদের আমরা সকলেই চিনি, তারা নিয়মিত কাজ করছেন। আর অরিন্দম শীলের সম্পর্কে ভালো কথা বলতে কোনোদিনও কাউকে শুনিনি। ইন্ডাস্ট্রিতে হয়ত অনেকেই আছেন, যারা অরিন্দম শীলের সামনে ভালো কথা বলেন। তবে পিছন ঘুরলেই ওকে গালাগাল দেয়। আমি কখনো শুনিনি ওকে নিয়ে কেউ ভালো কথা বলেছেন।”

২০২০ সালেও অরিন্দমের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলেছিলেন অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মৈত্র। ওই সময়ে এ অভিনেত্রী বলেছিলেন— ‘অরিন্দম শীল অত্যন্ত বদমাশ, বদ লোক।’

টলিউডের গুণী অভিনেতা অরিন্দম শীল। ১৯৯৯ সালে ‘তুমি এলে তাই’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। একই বছর তিনি আরো তিনটি সিনেমায় অভিনয় করেন। এরপর অসংখ্য দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই অভিনেতা।

তার আরেক পরিচয় তিনি একজন পরিচালক ও প্রযোজক। ২০১৩ সালে ‘আবর্ত’ সিনেমার মাধ্যমে পরিচালকের খাতায় নাম লেখান এই অভিনেতা। অভিনয়ে যেমন তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন তেমনি ‘এবার শবর’, ‘হর হর ব্যোমকেশ’, ‘স্বাদে আহ্লাদে’, ‘ঈগলের চোখ’ তৈরি করেও নির্মাতা হিসেবে জাত চিনিয়েছেন অরিন্দম শীল।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

তিন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক রফিকুল বাসার, মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় এ উদ্বেগ জানান।

উল্লেখ্য, চ্যানেল আই’র সাংবাদিক রফিকুল বাসার, এটিএন বাংলার মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।

ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতির কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন।

এএএম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ