পিতামাতার কর্তব্য হলো, ইসলামের নির্দেশনার আলোকে সন্তানের প্রতি যত্নবান থাকা, তাদের দেখাশোনা করা। তাদের প্রতি ভালোবাসা, সুন্দর ব্যবহার ও তাদের সন্তুষ্টির দিকেও মনোযোগী হতে হবে।
রাসুল (সা.) ভালোবাসায় দিয়ে সন্তানদের প্রতিপালন করতেন। তিনি স্নেহ-মমতায় ছেলেমেয়ের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ করতেন না। রাসুলের (সা.) ছেলেরা বাল্যকালে মারা গেছেন। তাঁর ছায়ায় বেড়ে উঠেছে তাঁর মেয়েরা। তিনি তার প্রত্যেক মেয়ের জন্য যোগ্য ও উপযুক্ত পাত্র নির্বাচন করেছেন এবং বিয়ের পরেও তাদের দেখাশোনা ও খোঁজ-খবর অব্যাহত রেখেছেন। আবু সাঈদ খুদরি (রা.
নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিটি সন্তান ইসলামের প্রকৃতির ওপর জন্মগ্রহণ করে। মা-বাবাই তাকে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও অগ্নিপূজক বানায়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১,৩৫৭; মুসলিম, হাদিস: ২,৬৫৮)
হাদিসে স্পষ্টভাবে সন্তানের ধর্ম ও চরিত্র গ্রহণের ওপর মাতা-পিতার প্রভাবের কথা বলা হয়েছে। সুতরাং সন্তান যদি বখে যায়, তাতে পিতা-মাতা তাদের দায় এড়াতে পারেন না। তাই তাদের এমনভাবে লালন-পালন করা জরুরি, যেন সে আল্লাহ প্রদত্ত স্বভাবের সঙ্গে বেড়ে ওঠে এবং শয়তান তাকে দীন থেকে বিমুখ করতে না পারে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২,৮৬৫)
এরপরও সন্তানের আচরণে কখনো কষ্ট পেলে তাঁর জন্য বদ দোয়া করতে আল্লাহর রাসুল (সা.) নিষেধ করেছেন। কেননা, তাৎক্ষণিক ক্ষুব্ধতার মধ্য দিয়ে হলেও পিতা-মাতার দোয়া আল্লাহর কাছে কবুল হয়ে যায় এবং পরিণতিতে তা সন্তানের ইহকাল ও পরকাল বরবাদ করে দিতে পারে। আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণিত একটি হাদিসে আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘ কোন সন্দেহ নেই, তিন ব্যক্তির দোয়া কবুল করা হয়: ১. পিতা-মাতার দোয়া, ২. মুসাফিরের দোয়া ও ৩. অত্যাচারিতের দোয়া। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১,৫৩৬; সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ১,৯০৫; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩,৮৬২)
রাসুল (সা.) তাই নিজের জন্য ও সন্তানদের জন্য বদ দোয়া করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘তোমরা নিজের বিরুদ্ধে বদদোয় করো না, সন্তানের বিরুদ্ধে হাত তুলো না এবং সম্পদের বিরুদ্ধে প্রার্থনা করো না। হতে পারে, এমন মুহূর্তে বদ দোয়া করেছ, যখন কবুল হওয়ার সময়। আর আল্লাহ তা কবুল করে ফেলেছেন।’ (সহিহ মুসিলম, হাদিস: ৩,০০৯)
আরও পড়ুনকথার শেষে কেন ‘ইনশাআল্লাহ’ বলতে হয়০৭ এপ্রিল ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য বল ছ ন আল ল হ
এছাড়াও পড়ুন:
সিরাজ–কৃষ্ণাতে ম্যাচে ফিরল ভারত
অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে মোহাম্মদ সিরাজের মতো আর কোনো পেসার নেই, এভাবে বলাই যায়। কারণ, সিরাজ ও ক্রিস ওকসই এই সিরিজের সব কটি ম্যাচ খেলেছেন। সেই ওকসও ওভাল টেস্টের প্রথম দিনে চোট পেয়ে টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন, টিকে আছেন সিরাজ।
টিকে থাকা সিরাজ কী করেছেন? গতকাল ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৮ ওভারের এক স্পেলে ফিরিয়েছেন ওলি পোপ, জো রুট, জ্যাকব বেথেলকে। এরপর আরও এক উইকেট। সিরাজকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন প্রসিধ কৃষ্ণা। দ্বিতীয় সেশনের শেষ ওভারে দুই উইকেটসহ তিনিও নিয়েছেন ৪ উইকেট। ভারতের ২২৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ২৪৭ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারত কাল দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ২ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে। দুই ‘জীবন’ পাওয়া যশস্বী জয়সোয়াল ৫১ ও আকাশ দীপ ৪ রান নিয়ে উইকেটে আছেন।
অথচ কাল প্রথম সেশন শেষে ম্যাচের চিত্র ছিল আলাদা। ইংল্যান্ড প্রথম ১৬ ওভারেই তোলে ১ উইকেটে ১০৯ রান। দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট ৭৭ বলে গড়েন ৯২ রানের জুটি। এমন বাজবলীয় শুরুর পর চিত্র পুরোপুরি বদলে যায় দ্বিতীয় সেশনে। শুরুটা করেন কৃষ্ণা। তাঁর শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ক্রলি। পরের গল্পটা সিরাজের। প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ৩১ রান দেওয়া সিরাজকে অধিনায়ক গিল যখন বোলিংয়ে আনেন, তখন ইংল্যান্ডের রান ২৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৪২। তিনি একে একে ফেরান দুই সেট ব্যাটসম্যান পোপ (২২), রুটকে (২৯) ও বেথেলকে (৬)। এরপর কৃষ্ণার দুই উইকেটে দ্বিতীয় সেশনটা পুরোপুরি ভারতের হয়ে যায়। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় সেশনে ১০৬ রান তুলতে হারায় ৬ উইকেট। তৃতীয় সেশনে আর ৩২ রান যোগ করতে পারে তারা।
আরও পড়ুনকাঁধের চোটে ভারতের বিপক্ষে আর খেলতে পারবেন না ওকস১১ ঘণ্টা আগেলোকেশ রাহুলকে আউট করার পর অ্যাটকিনসনের আনন্দ