সানগ্লাস পরলে রোদ ছাড়া আরও যা কিছু থেকে বাঁচবেন
Published: 21st, April 2025 GMT
ঠিকঠাক রোদচশমা পরলে যে আপনার চোখজোড়া রোদ থেকে বাঁচবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রোদের প্রখরতায় যখন চোখ কুঁচকে আসে, তখন ভালো একটি রোদচশমা পরা থাকলে আপনি সহজে তাকাতে পারবেন চারপাশে। বাড়তি কষ্ট হবে না। এসবের বাইরেও রোদচশমার নানা সুবিধার কথা জানালেন বিশেষজ্ঞরা।
ধুলাবালু থেকে বাঁচতেঢাকার পান্থপথের রেটিনা গ্লুকোমা সেন্টার অ্যান্ড সুপারস্পেশালিটি আই হাসপাতালের ফ্যাকো ও ভিট্রিও-রেটিনা সার্জারি বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা.
আতিকুল হক বলছিলেন, রোদচশমা পরলে বাতাসে থাকা ক্ষতিকর জিনিস সরাসরি চোখে ঢুকে যেতে পারে না। চোখে ধুলাবালু ঢুকে গেলে যে কেউ মুশকিলে পড়েন। আর ধুলায় যাঁদের অ্যালার্জি থাকে, ধুলার সংস্পর্শে এলে তাঁরা চোখ লাল হয়ে যাওয়া বা চোখ থেকে পানি পড়ার মতো সমস্যায় ভুগতে পারেন। বায়ুদূষণের কারণে আজকাল অনেকেই এমন সমস্যায় পড়ছেন। যেকোনো রোদচশমাই ধুলাবালু থেকে আপনার চোখজোড়াকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করবে। তবে এমন রোদচশমা সবচেয়ে ভালো, যা চোখের পাশ দিয়েও ধুলাময়লা ঢুকতে দেয় না, অর্থাৎ চারপাশ থেকেই চোখজোড়া ঢেকে রাখে।
গাড়ির কাচে প্রতিফলিত সূর্যরশ্মি কিংবা জলাশয়ে প্রতিফলিত সূর্যরশ্মির কারণে হঠাৎ আপনার দৃষ্টি বাধাগ্রস্ত হতে পারে। পোলারাইজড রোদচশমা আপনাকে সূর্যরশ্মির উজ্জ্বল প্রতিফলন থেকে বাঁচাবে। বিশেষত যানবাহনের চালকের আসনে বসলে পোলারাইজড রোদচশমা দারুণ কাজে দেবে।
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব থেকে বাঁচায়, এমন রোদচশমা বেছে নিলে কম বয়সে ছানি পড়ার ঝুঁকি কমবে। চোখের ভেতর মাংসের মতো বাড়তি অংশ সৃষ্টি হওয়ার (টেরিজিয়াম) ঝুঁকিও কমবে।
চোখের আরও সুরক্ষাময়লা হাতে চোখ স্পর্শ করার ফলে চোখে জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। যেকোনো চশমা বা রোদচশমা পরলে আপনি চট করে চোখ স্পর্শ করতে পারবেন না। বিশেষ করে ঘরের বাইরে থাকা অবস্থায় ময়লা হাত দিয়ে চোখ স্পর্শ করার প্রবণতা কমবে। ফলে চোখে জীবাণু সংক্রমণ থেকে বাঁচবেন আপনি।
আরও পড়ুনদুই চোখের রং দুই রকম কেন হয় জানেন?৩১ অক্টোবর ২০২৪ত্বকের সুরক্ষাতেও রোদচশমাইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সিনথিয়া আলম জানান, দীর্ঘদিন ধরে রোদেলা দিনে চোখ কুঁচকে তাকালে চোখের চারপাশের ত্বকে এর প্রভাব পড়ে। এ কারণে কম বয়সেই ত্বকের এই অংশে বলিরেখা দেখা দিতে পারে। রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে ত্বকের সুরক্ষার জন্যও তাই রোদচশমা ব্যবহার করা ভালো।
আরও পড়ুনযে ওষুধের কারণে বেড়ে যেতে পারে চোখের প্রেশার০২ ডিসেম্বর ২০২৪উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স পর শ
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫