সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্ত্রীর প্রেমিককে ফাঁসাতে বন্ধু রাশেদুলকে গলা কেটে হত্যা করেন সেলিম হোসেন। গতকাল সোমবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেপ্তারের পর আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। 

নিহত রাশেদুল ইসলাম (৪০) সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌর সদরের ওয়াপদাবাঁধ এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে। তিনি পেশায় পিকআপ ভ্যানের চালক ছিলেন। আসামি সেলিম হোসেন পৌর এলাকার আসানবাড়ি মহল্লার বাসিন্দা। 

জানা গেছে, গত ১৮ এপ্রিল বাড়ি থেকে বের হন রাসেদুল ইসলাম। সন্ধ্যার পর থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। গত শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তাড়াশ পৌরসভার আসানবাড়ি এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে তার গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রাতেই নিহতের ভাই তাড়াশ থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপর হত্যা মামলার তদন্তে নামে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে সেলিম হোসেনকে গ্রেপ্তার করেন। এরপরই জিজ্ঞাসাবাদে খুনের রহস্য উন্মোচিত হতে থাকে। 

থানা সূত্রে জানা যায়, সেলিমের স্ত্রী শেরজা খাতুন আব্দুল আউয়াল নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়ে যান। কিন্তু তালাক না হওয়ায় স্ত্রীকে ফিরে পেতে মরিয়া ছিলেন তিনি। এই কারণে আউয়ালের প্রতি ক্ষোভ জমতে থাকে তার। স্ত্রী শেরজার ব্যাগে আউয়ালের একটি মানিব্যাগ, ছবি, সিমের কাগজ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি খুঁজে পান। তখনই পরিকল্পনা করেন, বন্ধু রাশেদুলকে হত্যা করে সেই মানিব্যাগ লাশের পাশে রেখে দিলে আউয়ালকে ফাঁসানো যাবে। তখন স্ত্রী ফিরে আসবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, পহেলা বৈশাখের আগে সেলিম একটি মেমোরি কার্ড, ঘুমের ওষুধ ও বাংলা মদ সংগ্রহ করেন। ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় রাশিদুলকে মদ খাওয়ার প্রস্তাব দিয়ে ধানক্ষেতে নিয়ে যান। কোমল পানীয়ের বোতলে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খেতে দেন। কিছুক্ষণ পর রাশেদুল অচেতন হলে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। লাশ ফেলে রেখে বাড়ি ফিরে যান। পুলিশ হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি, ঘুমের ওষুধযুক্ত স্পিড বোতল, পানীয়র বোতল, মানিব্যাগ, রাশিদুলের মোবাইল ও একটি মেমোরি কার্ড উদ্ধার করে।

তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, স্ত্রীর প্রেমিককে ফাঁসাতে বন্ধু রাশেদুলকে হত্যা করেন সেলিম। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ র শ দ লক আউয় ল

এছাড়াও পড়ুন:

এবার পাকিস্তানের বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করল ভারত

পাকিস্তানের বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোর জন্য আকাশসীমা বন্ধ করেছে ভারত। বুধবার ভারত সরকার এ ঘোষণা দিয়েছে একটি নোটিশ জারি করেছে। নোটিশে বলা হয়েছে, ৩০ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত পাকিস্তানি বিমানের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। খবর রয়টার্সের

ভারতশাসিত কাশ্মীরে ২২ এপ্রিল পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার পর থেকে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। ওই হামলায় পাকিস্তানের মদদ রয়েছে অভিযোগ করে ভারত সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত ও পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিলসহ বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়। এর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভারতের বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোর জন্য আকাশসীমা বন্ধ করাসহ বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেয় পাকিস্তান।

পাকিস্তান আকাশসীমা বন্ধ করার এক সপ্তাহ পর দেশটির উড়োজাহাজের জন্যও একই নিষেধাজ্ঞা দিল ভারত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ