কুয়েট ভিসিকে অপসারণের দাবিতে নোবিপ্রবিতে বিক্ষোভ
Published: 23rd, April 2025 GMT
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টায় শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে কুয়েট ভিসির অপসারণ চেয়ে নানা স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। মিছিল শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তারা।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, “স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারকে উৎখাত করে যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে অন্তর্বর্তীক সরকার দায়িত্ব নিয়েছে তা পালনে ব্যর্থ হয়েছে। যে শিক্ষার্থীদের লাশের ওপর এই বিপ্লব, আজ তাদেরকে আবার মৃত্যু পথযাত্রী করা হয়েছে। কুয়েটের ঘটনা আমাদের সেই বার্তায় দেয়।”
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থী মুজতবা ফয়সাল নাঈম বলেন, “রাজনীতিমুক্ত কুয়েট ক্যাম্পাসে একটি দল রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনায় বাধাপ্রাপ্ত হয়ে স্থানীয় সন্ত্রাস এবং অঙ্গসংগঠন নিয়ে নিরাপরাধ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। কুয়েট প্রশাসন শিক্ষার্থীদের পাশে না দাঁড়িয়ে উল্টো নিরাপদ শিক্ষার্থীদের মামলা দিয়েছে ও বহিষ্কার করেছে। জুলাই বিপ্লবে দু'হাজার শহীদের রক্তের পিচ্ছিল পথ পেরিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলেও আজ শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবিগুলো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের মতো হ্যান্ডেল করছে। এই ভিসি পদত্যাগ করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে, অতিসত্বর তাকে বহিষ্কার করতে হবে।”
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী তৌকি আনসারী বলেন, “জুলাই বিপ্লবে আমরা রক্ত দেওয়ার প্রধান কারণ ছিল মানুষের অধিকার আদায়। ইন্টেরিম যদি আমাদের অধিকার আদায়ে ব্যর্থ হয়, তবে আমরা ইন্টেরিমকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে বাধ্য হবো। প্রশাসন যদি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রহসন করে তাহলে আমরা আবারও জুলাই বিপ্লব সূচনা করতে বাধ্য হবো। টেকনাফ থেকে তেতুঁলিয়া, রুপসা থেকে পাটুরিয়া ছাত্রদের গণআন্দোলন গড়ে উঠবে।"
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান সীমান্ত বলেন, “জুলাই বিপ্লব পরবর্তী শিক্ষার্থীদের ওপর এমন বর্বর হামলা আমাদের কাছে কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। দালাল ভিসিকে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি অনুযায়ী পদত্যাগ করতে হবে। আমরা কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একত্মতা প্রকাশ করে বলতে চাই প্রয়োজনে লং মার্চ টু কুয়েট দিতে বাধ্য হবো।”
ঢাকা/ফাহিম/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চিকিৎসার অভাবে শ্রমিক মৃত্যুর অভিযোগ, বন্দরে মহাসড়ক অবরোধ
অসুস্থ শ্রমিককে ছুটি না দেওয়া, চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবরোধ করেন শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাসড়কের মদনপুর অংশে তারা এ অবরোধ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিচারের আশ্বাসে এগারোটায় মহাসড়ক থেকে সরে যায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা জানান, 'লারিস ফ্যাশন' নামে একটি রপ্তানিমুখি গার্মেন্টসের নারী শ্রমিক রিনা (৩০) অসুস্থ অবস্থায় ডিউটি করে যাচ্ছিলেন। গতকাল তিনি অসুস্থতা বোধ করলে কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেন। তবে কর্তৃপক্ষ তার আবেদনে কোনো সাড়া না দিয়ে কাজ করে যেতে বাধ্য করেন। পরে অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে সহকর্মীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শ্রমিক রিনা কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার দুলালের মেয়ে। অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ এ মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত আলী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সড়িয়ে দেন। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ও পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।