এই অ্যাকশন ক্যামেরায় ৮কে রেজল্যুশনের ভিডিও ধারণ করা যায়
Published: 23rd, April 2025 GMT
অ্যাকশন ক্যামেরাপ্রেমীদের জন্য সুখবর। ৮কে রেজল্যুশনের ভিডিও ধারণ করতে সক্ষম নতুন অ্যাকশন ক্যামেরা বাজারে এনেছে ইনস্টা৩৬০। ‘এক্স৫’ মডেলের ক্যামেরাটি কাজে লাগিয়ে সহজেই এইচডি (হাই-ডেফিনেশন) মান বা ফরম্যাটে ছবি তোলার পাশাপাশি বিভিন্ন ফরম্যাটের ভিডিও ধারণ করা সম্ভব।
ইনস্টা৩৬০ এক্স৫ মডেলটিতে ১/১ দশমিক ২৮ ইঞ্চি আকারের বড় সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে, যা আগের মডেল এক্স৪-এর তুলনায় ১৪৪ শতাংশ বড়। ক্যামেরাটিতে প্রতি সেকেন্ডে ৮কে রেজল্যুশনে ৩০টি, ৫ দশমিক ৭কে রেজল্যুশনে ৬০টি এবং ৪কে রেজল্যুশনে সর্বোচ্চ ১২০টি ফ্রেম ধারণ করা যায়। ছবির ক্ষেত্রে ক্যামেরাটি ১৮ থেকে ৭২ মেগাপিক্সেল রেজল্যুশনের ছবি তুলতে পারে। ২ হাজার ৪০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারিযুক্ত ক্যামেরাটি পানিরোধক, ফলে সর্বোচ্চ ১৫ মিটার পানির নিচেও ছবি ও ভিডিও করা যায়।
এক্স৫ মডেলে যুক্ত করা হয়েছে ‘শুট ফার্স্ট, পয়েন্ট লেটার’ নামের একটি বিশেষ সুবিধা, যা কাজে লাগিয়ে ৩৬০ ডিগ্রি ভিডিও ধারণের সময় নির্দিষ্ট অ্যাঙ্গেল ঠিক না করেও পুরো দৃশ্য ধারণ করা যায়। শুধু তাই নয়, ভিডিও সম্পাদনার সময় যেকোনো দিক থেকেই পছন্দের অ্যাঙ্গেল বেছে নেওয়া সম্ভব। ফলে নির্মাতারা একই ভিডিও ফুটেজের একাধিক অ্যাঙ্গেল ব্যবহার করতে পারেন, যা কনটেন্ট নির্মাণে বাড়তি সুবিধা দেবে।
অ্যাকশন ক্যামেরাটিতে শব্দ ধারণের জন্য রয়েছে উন্নত ‘উইন্ডগার্ড’ সুবিধা, যা বাতাসের সময়ও ভালোমানের শব্দ ধারণ করতে পারে। অপটিক্যাল গ্লাস দিয়ে তৈরি ক্যামেরাটির লেন্স চাইলে পরিবর্তনও করা যাবে। ফলে ব্যবহারকারীরা চাইলেই ভবিষ্যতে লেন্স আপগ্রেড করতে পারবেন। অ্যাকশন ক্যামেরাটির দাম ৫৫০ মার্কিন ডলার বা ৬৬ হাজার টাকা (প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ১২০ টাকা ধরে)।
সূত্র: ম্যাশেবল
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অ য কশন ক য ম র
এছাড়াও পড়ুন:
খেলাপি ঋণ আরও বেড়ে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা
লুকানো খেলাপি ঋণের আসল চিত্র সামনে আসায় আরও বেড়েছে খেলাপি ঋণ। মার্চে খেলাপি ঋণ আরও বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। মোট ঋণের যা ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। তিন মাস আগে গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছিল তিন লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকায়। মোট ঋণের যা ছিল ২০ দশমিক ২০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সাম্প্রতিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, খেলাপি ঋণের কোনো তথ্য আমরা লুকিয়ে রাখবো না। সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পর এটা আদায় জোরদারের মাধ্যমে কমানো হবে। নতুন করে বিতরণ করা ঋণ যেন খেলাপি না হয় সে জন্য বিভিন্ন আইনি কঠোরতা আনার কথা জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে কয়েকটি গ্রুপ ঋণের নামে বিপুল অর্থ বের করে নিয়েছে। যাদের বেশিরভাগই এখন পলাতক। কেউ কেউ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। গত ৫ আগস্টের আগে ঋণ পরিশোধ না করেও বিভিন্ন উপায়ে নিয়মিত দেখানোর সুযোগ ছিল। তবে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর এখন সেই সুযোগ বন্ধ হওয়ায় এখন তারা খেলাপি। এরই মধ্যে এস আলম, বেক্সিমকোসহ শীর্ষ ঋণগ্রহীতাদের অনেকেই খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ পর্যন্ত বিতরণ করা মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর শেষে যা ছিল ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা।