জাতিসংঘ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পরিস্থিতির ওপর ‘খুব গভীর মনোযোগ’ দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সাংবাদিকদের বলেন, “স্পষ্টতই, আমরা অত্যন্ত গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।”

আরো পড়ুন:

সিন্ধুতে হয় পানি, না হয় ভারতীয়দের রক্ত বইবে: বিলাওয়াল ভুট্টো

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প

ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরে গত মঙ্গলবার বন্দুক হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় তিনি নিন্দা পুনর্ব্যক্ত করেন। 

ডুজারিক বলেন, “পরিস্থিতির আরো অবনতি যাতে না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা আবারও ভারত এবং পাকিস্তান সরকার উভয়কেই সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছি।”

গত মঙ্গলবার পহেলগামে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত ঘটনায় দুই পারমাণবিক প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।

ভারত এই হামলাকে ‘সীমান্তের বাইরে’ সংযোগসহ একটি ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে অভিহিত করেছে। এতে সমর্থনের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে।

কাশ্মিরের হামলার ঘটনার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই জানিয়ে মঙ্গলবারই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে পাকিস্তান। কিন্তু বুধবার, ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করাসহ পাঁচ বড় পদক্ষেপ নিয়েছে দিল্লি।

বৃহস্পতিবার পাকিস্তান কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় এবং ১৯৬০ সালের সেপ্টেম্বরে স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করার কোনো বিধান নেই। তারা সতর্ক করে দিয়েছে যে, পাকিস্তানে সিন্ধু নদের পানি প্রবাহ বন্ধ করার ভারতের যেকোনো প্রচেষ্টাকে ‘যুদ্ধের পদক্ষেপ’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

উভয় পক্ষ একে অপরের নাগরিকদের জন্য ভিসা স্থগিত করেছে এবং দূতবাস থেকে সামরিক উপদেষ্টাদের বহিষ্কার করেছে। ইসলামাবাদ ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর স থ ত র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।

মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।

সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।

মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ

সম্পর্কিত নিবন্ধ