বাংলাদেশকেও পানি দেওয়া বন্ধের দাবি বিজেপির
Published: 27th, April 2025 GMT
বাংলাদেশের সাথে গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি বাতিল করার দাবি তুললেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সংসদ সদস্য নিশিকান্ত দুবে। বার্তা সংস্থা এএনআইকে তিনি এ কথা বলেছেন।
সম্প্রতি ভারতের জম্মু-কাশ্মিরের পহেলগামে জঙ্গি হামলার ঘটনায় পাকিস্তান সম্পৃক্ত রয়েছে অভিযোগ তুলে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গেও একইভাবে পানি বন্টন চুক্তি বাতিলের দাবি করেছেন দুবে। ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তিতে ত্রুটি রয়েছে বলেও তার অভিমত।
দুবে বলেন, “গঙ্গার পানি চুক্তির সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। ১৯৯৬ সালে তৎকালীন কংগ্রেস সরকার ভুল করেছিল। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী (নীতীশ কুমার) বরাবর এই কথা বলে আসছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী (মমতা ব্যানার্জি) তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তির বিরোধিতা করেছেন। এমনকি আসামের মুখ্যমন্ত্রী (হিমন্ত বিশ্ব শর্মা) ব্রহ্মপুত্রের পানি বাংলাদেশে যাওয়ার বিরোধিতা করেছেন।”
তিনি বলেন, “সাপের দলকে আমরা কত দিন পানি দেব? এবার থেঁতলে মারার সময় এসেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিএবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপর গোটা দেশের মানুষের ভরসা রয়েছে। তাই এই কাজটাও খুব তাড়াতাড়ি হবে।”
দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের সাথে ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নিশিকান্ত দুবে।
পাকিস্তানের জঙ্গিসংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের যোগ রয়েছে বলে দাবি করে নিশিকান্ত বলেন “লস্কর-ই-তৈয়বা লাগাতার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে। তাই জঙ্গি অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সাথে ভারতের আন্তর্জাতিক সীমান্ত সুরক্ষিত করা প্রয়োজন।”
এর আগে শনিবারই সোশ্যাল মিডিয়াতে নিশিকান্ত লিখেছিলেন, “বাংলাদেশিরা বড্ড ছটপট করছে। ওদের গঙ্গার পানি দেওয়া বন্ধ করার সময় এসেছে। আমাদের দেওয়া পানি খেয়ে বাঁচবে, আর পাকিস্তানের গুণগান করবে!”
বিজেপি সাংসদ সদস্যের এই টুইট সামনে আসার পরেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়। যদিও রবিবার ফের একবার এই একই ইস্যুতে বাংলাদেশকে নিশানা করেন তিনি।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর টন চ ক ত কর ছ ন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকে আশ্রয় দেওয়ায় তাঁতী দলের নেতা বহিষ্কার
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিনকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত মোহাম্মদ সৈকত উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি ছিলেন। আজ শুক্রবার বিকেলে জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক ইকবাল করিম সোহেল ও সদস্যসচিব মোরশেদ আলমের যৌথ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি মূল্যায়নে ব্যর্থ হওয়ায় হাতিয়া উপজেলা তাঁতী দলের দক্ষিণ কমিটিকে সতর্ক করা হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের জোড়খালী গ্রামে সৈকতের বাড়ি থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে হাতিয়া থানা–পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ সৈকত সম্পর্কে ফুফা–ভাগনে।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ সৈকত প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে অনেকগুলো পরিবার থাকে। আমি ব্যবসার কাজে দিনের বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকি। আলাউদ্দিন কখন বাড়িতে এসেছেন, তা আমার জানা নেই। আমাদের ঘর থেকে তাঁর শ্বশুরদের ঘর অনেক দূরে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে।’
নোয়াখালী জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম বলেন, আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকে আত্মগোপনে থাকার সুযোগ করে দেওয়ায় মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের তাঁতী দল কমিটিকেও সতর্ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুনহাতিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে পালিয়ে থাকা সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার৩১ জুলাই ২০২৫