বাংলাদেশে নতুন স্মার্টফোন ভি-৫০ লাইট মডেল উন্মোচন করেছে উদ্ভাবনী ও প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ভিভো। বাজেটের মধ্যে তারুণ্যের পছন্দের সবকিছু সমন্বয় করা হয়েছে নতুন মডেলে। নির্মাতারা জানায়, নতুন মডেলে রয়েছে ৬৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্লু-ভোল্ট ব্যাটারি, যা স্লিম ও কমপ্যাক্ট ডিজাইনসদৃশ। সিলিং প্রযুক্তি ও শক্তি ধরে রাখার ক্ষমতার কারণে স্ট্রিমিং ও গেমিং জগতে থাকা যাবে ঝামেলাহীন।
৯০ ওয়াট ফ্ল্যাশ চার্জ প্রযুক্তি, রিভার্স চার্জিং সুবিধা ও অনেকটা সময় চার্জ ধরে রাখার সক্ষমতা রয়েছে এ মডেলে। টাইটানিয়াম গোল্ড রঙের সংস্করণটি ধারণ করে সূর্যাস্তের সোনালি আভা, যা মডেলের প্রিমিয়াম ফিনিশ দৃশ্যমান করে। বৈচিত্র্যপূর্ণ রং, হাই গ্লস মেটাল ফ্রেমের সঙ্গে ৭.
জানা গেছে, ওজন ১৯৬ গ্রাম হওয়ায় এটি বহনে হালকা ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ। এতে রয়েছে ৬.৭৭ ইঞ্চি বড় ও রিফ্রেশ রেট ১২০ হার্টজ। আলট্রা ভিশন অ্যামোল্ড পাঞ্চ-হোল ডিসপ্লে, যা দ্রুত ও মসৃণ ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা দেবে। প্রসেসর হিসেবে থাকছে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫, যা সুন্দর অভিজ্ঞতা দেবে। মিলিটারি-গ্রেড সুরক্ষা আর ফাইভ-স্টার ড্রপ রেজিস্ট্যান্স একে করেছে টেকসই। পানি আর ধুলা থেকে সুরক্ষার কথা বলছে আইপি৬৫ সার্টিফিকেশন। রঙের বৈচিত্র্যে রয়েছে টাইটেনিয়াম গোল্ড ছাড়াও ফ্যানটম ব্ল্যাক। মরুভূমির গোধূলির আলো থেকে অনুপ্রাণিত রং টাইটেনিয়াম গোল্ড।
ক্যামেরায় ৫০ মেগাপিক্সেল সনি আইএমএক্স ৮৮২ সেন্সরের সঙ্গে অরা লাইট, যা স্বয়ংক্রিয় আলোর ভারসাম্য দিয়ে ছবিকে পেশাদার ও প্রাণবন্ত করে। ফ্রন্ট ক্যামেরার দ্বিগুণ জুম সুবিধায় সেলফি হবে ৩২ মেগাপিক্সেলের।
দুটি সংস্করণে পাওয়া যাচ্ছে। ৮ জিবি র্যাম (+বর্ধিত ৮ জিবি) সঙ্গে ১২৮ জিবি স্টোরেজ। অন্যটি ৮ জিবি র্যাম (+বর্ধিত ৮ জিবি) আর ২৫৬ জিবি স্টোরেজ।
থাকছে নেক্সট-জেন ৪ ন্যানোমিটার ডাইমেনসিটি, ৮ হাজার ৩৫০ আলটিমেট, ৫.৫ জি চিপসেট, যা স্মুথ মাল্টিটাস্কিং আর গেমিং অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবকে এখনও দেশের সবচেয়ে বড় তারকা মানেন তামিম
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে মুখ খুলেছেন তামিম ইকবাল। সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারকা খ্যাতি বা ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এই দুই তারকার দূরত্বের পেছনে অন্য কারণ কাজ করেছে। তবে সেই দূরত্ব ঘোচানোর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেও আক্ষেপ করেছেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘অনেকে বলে, কে কার চেয়ে সেরা। কার এনডোর্সমেন্ট বেশি। এগুলো কিছুই আমাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি। আমি সব সময় বলেছি, বাংলাদেশের স্পোর্টসে সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব। আমি নিজেই যখন এটা বলি, তখন তারকা খ্যাতি সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে না।’
তিনি জানান, বিসিবির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হলে সাকিব ও তার মধ্যকার দূরত্ব কমত। ‘তারা আলাদাভাবে কথা বলেছেন, কিন্তু দু’জনকে একসঙ্গে বসিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেননি’, বলেন তামিম।
তামিম আরও বলেন, অধিনায়ক থাকার সময় সম্পর্কটা স্বাভাবিক করতে তিনি নিজেই চেষ্টা করেছেন। যদিও সে চেষ্টা তখন সফল হয়নি, ভবিষ্যতে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা এখনও তিনি দেখেন।
এমনকি নিজের অসুস্থতার সময় সাকিবের সহানুভূতিশীল আচরণের কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেন তামিম। বলেন, ‘আমার অসুস্থতার সময়ে সাকিব তার ফেসবুকে দোয়ার অনুরোধ করেছিল। তার বাবা-মা হাসপাতালে আমাকে দেখতে গিয়েছেন। আমরা দু’জনই পরিণত। সামনাসামনি হলে এবং নিজেদের মধ্যে কথা হলে সম্পর্ক উন্নত হতে পারে।’
তামিমের এই মন্তব্যেই বোঝা যায়, ব্যক্তিগত বিরোধ থাকলেও তামিম এখনও চান সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কটা সুস্থতায় ফিরুক।