আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসে শিল্পকলা একাডেমির দুই দিনের আয়োজন
Published: 29th, April 2025 GMT
আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস নৃত্যের একটি বৈশ্বিক উদযাপন। নৃত্য মানুষের সম্মিলন ঘটায় তার পরিচিত ভাষা দিয়ে। নৃত্যের আনন্দ বিনিময় ঘটে দর্শকদের মধ্যে, তার বোধ-উপলব্ধিকে সচেতন করার জন্য। নৃত্যে অংশগ্রহণ এবং নৃত্য শিক্ষাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে আজ ২৯ এপ্রিল সারা বিশ্বে দিবসটি উৎসবমুখরভাবে পালিত হয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের আয়োজনে আজ ও আগামীকাল জাতীয় নাট্যশালায় অনুষ্ঠিত হবে ২ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান ‘মুক্ত সুরের ছন্দ’।
আজ বিকেল ৫ টায় জাতীয় নাট্যশালার সম্মুখে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব ও দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান। এছাড়াও বিশিষ্ট নৃত্য পরিচালক ও নৃত্যশিল্পীবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। অতিথিবৃন্দের বক্তব্যের পর নাট্যশালার সম্মুখে বেলুন উড়িয়ে আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসের উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এরপর আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, সভাপতি, সকল বিভাগের পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, নৃত্য পরিচালক ও শিল্পী বৃন্দরা এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করবেন।
জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে মূল আয়োজনে শুরুতেই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যশিল্পীরা সমবেত নৃত্য ‘প্রাণ’ পরিবেশন করবেন, সংগীত পরিচালনা করেছেন ফাহাল হোসাইন। সমবেত নৃত্য ‘সপ্তসুরের শিখায় আমি’ পরিবেশন করবে ভঙ্গিমা ডান্স থিয়েটার, নৃত্য পরিচালনায় সৈয়দা শায়লা লিমা। ‘আদিবাসি নৃত্য’ পরিবেশন করবে তপস্যা, নৃত্য পরিচালনায় ফিফা চাকমা। মিউজিকের সাথে নৃত্য পরিবেশন করবে অ্যালিফিয়া ডান্স এটেলিয়ার, নৃত্য পরিচালনায় মোফাসসল আলিফ। সমেবেত নৃত্য ‘সেদিন আর কত, আমাদের নানান, আহ্বান’ পরিবেশন করবে ভাবনা নৃত্যদল, নৃত্য পরিচালনায় সামিনা হোসেন। ‘বিদেশী লোক নৃত্য’ পরিবেশন করবে রেওয়াজ পারফর্মাস স্কুল, নৃত্য পরিচালনায় মুনমুন আহমেদ। সমবেত নৃত্য ‘অন্তহীন’ পরিবেশন করবে কাথ্যাকিয়া-দা সেন্টার অফ আর্টস, নৃত্য পরিচালনায় এস.
‘গৌড়ীয় আঙ্গিকে নৃত্য’ পরিবেশন করবে বাংলাদেশ গৌড়ীয় নৃত্য একাডেমি, নৃত্য পরিচালনায় এগনেসর র্যা সেল প্রিয়াংকা। সমবেত নৃত্য ‘পরী জাফরানী’ পরিবেশন করবে নান্দনিক নৃত্য সংগঠন, নৃত্য পরিচালনায় নিলুফার ওয়াহিদ পাপড়ী। নবীন নৃত্যশিল্পী পরিবেশন করবে ‘ফোক মেলডী’। সমবেত নৃত্য ‘শক্তি’ পরিবেশন করবে আটিস্ট্রি, নৃত্য পরিচালনায় আরোহী ইসলাম। সমবেত নৃত্য ‘বৈশাখ’ পরিবেশন করবে নৃত্যালোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, নৃত্য পরিচালনায় কবিরুল ইসলাম রতন। ‘মারমা উৎসব নৃত্য’ পরিবেশন করবে কালারস অব হিল, নৃত্য পরিচালনায় অন্তর দেওয়ান। ‘লোক আঙ্গিকে সৃজনশীল নৃত্য’ পরিবেশন করবে বন্যা ললিতকলা একাডেমি, নৃত্য পরিচালনায় আব্দুর রশিদ স্বপন। দিব্য সাংস্কৃতিক সংগঠন পরিবেশন করবে নৃত্যগুরু জি. এ. মান্নান রচিত নৃত্য, নৃত্য পরিচালনায় দীপা খন্দকার। ‘রাঙ্গামাটির পথে লো’ পরিবেশন করবে নন্দন কলাকেন্দ্র, নৃত্য পরিচালনায় এম. আর ওয়াসেক। ৭০ দশকের সিনেমার গানের সাথে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করবে নৃত্যভূমি, নৃত্য পরিচালনায় ইভান শাহরিয়ার সোহাগ। ‘তালে লয়ে ছন্দে’ সমবেত নৃত্য পরিবেশন করবে ঘুঙুর নৃত্যালাপ, নৃত্য পরিচালনায় মোঃ নাজিব মাহফুজ লিমন।
আগামীকাল বিকাল ৫টায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে নৃত্য পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করবে ২৯টি দল। এই অনুষ্ঠান সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ ল পকল এক ড ম ন ত যশ ল প ল দ শ শ ল পকল সমব ত ন ত য এক ড ম র অন ষ ঠ ন করব ন ন করব
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শাখা সভাপতি এসএম ফরহাদ।
আগামী ৫, ৬ ও ৭ আগস্ট এই কর্মসূচিগুলো অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজনে থাকছে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বিপ্লবী নাটক, গান, কবিতা, আলোচনা সভা ও বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী। কর্মসূচির সূচনা হবে ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) ভোর ৫টায় প্রতীকী সাইকেল র্যালির মাধ্যমে, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে গণভবন পর্যন্ত যাবে।
আরো পড়ুন:
মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপকে চলছে বেরোবি
তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন
সকাল ৯টায় টিএসসিতে থাকবে সাধারণ নাস্তার আয়োজন। এর পরপরই প্রদর্শিত হবে ‘জুলাই বিপ্লব’ ভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র। একইসঙ্গে বিপ্লবী গান ও কবিতা পরিবেশিত হবে । সকাল ১০টা থেকে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের মুখে অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা শোনার আয়োজন থাকবে।
দুপুর ২টায় একটি মাইম পরিবেশনা ও নাটক মঞ্চস্থ হবে। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টা ও সাড়ে ৫টায় পরপর আরো দুটি নাটক প্রদর্শিত হবে। সন্ধ্যা ৬টায় ব্যতিক্রমী আয়োজন ‘প্ল্যানচ্যাট বিতর্ক’ অনুষ্ঠিত হবে। এটি একটি প্রতীকী বিতর্ক, যেখানে গণআন্দোলনে নিহতদের উত্তরাধিকার ও আত্মিক উপস্থিতিকে ঘিরে আলাপ-প্রতিআলাপের একটি রূপক পরিসর গড়ে উঠবে ।
৬ আগস্ট দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির শুরুতেই থাকবে রাজনৈতিক ও দার্শনিক আলোচনা সভা। সকাল ১০টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ পলায়নের ১ বছর: প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল ৩টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্ররাজনীতি ও ডাকসু নির্বাচন’ বিষয়ে আলোচনা হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ‘নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্তে ইসলাম প্রসঙ্গ’ শীর্ষক মতবিনিময়ের মাধ্যমে পর্দা নামবে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির।
কর্মসূচির তৃতীয় দিন ৭ আগস্ট দিনব্যাপী চলবে বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। সেখানে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ ও গণআন্দোলন সংশ্লিষ্ট নানা দলিল, ছবি ও ভিডিও উপস্থাপন করা হবে।
সার্বিক বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি এসএম ফরহাদ বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণজাগরণ ও ছাত্র প্রতিরোধ ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক। সেই ঘটনার স্মরণে এবং তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের পথরেখা নির্ধারণের প্রয়াসে ঢাবির টিএসসি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখা আয়োজন করতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।”
তিনি বলেন, “এ আয়োজন হবে শিল্প, সংস্কৃতি, স্মৃতি ও রাজনৈতিক ভাবনার এক সংমিশ্রণ। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের অভিজ্ঞতা আমাদের অনুপ্রেরণা। আর সংস্কৃতির মাধ্যমে আমরা সেই প্রতিরোধ চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী