নওগাঁয় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
Published: 29th, April 2025 GMT
নওগাঁয় এক স্কুল ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম ও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. মেহেদী হাসান তালুকদার মামলার রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- নাওগাঁর পোরশা উপজেলার সুরানন্দ গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে সাকিল (২৪) ও আলাদিপুর গ্রামের রবুর ছেলে আব্দুল আলীম (৩০)। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
খুলনায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
কুড়িগ্রামে ছুরিকাঘাতে মসলা বিক্রেতা নিহত
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৮ মার্চ রাতে ১৪ বছরের এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সুরানন্দ গ্রামের হাবিবুল্লাহ শাহের এর আম বাগানের দোচালা ঘরে নিয়ে যান সাকিল। সেখানে সাকিল ও আব্দুল আলীম ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। পরে ছাত্রী নিজেই থানায় অভিযোগ করে। পুলিশ তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পেলে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার ১০ জন সাক্ষীর ভিত্তিতে আদালত দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। বিচারক জরিমানার টাকা ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
ঢাকা/সাজু/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শরীয়তপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় বিবাদমান দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এক যুবদল নেতাসহ কয়েকজন আহত হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা জানায়, জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী বেপারিকান্দি এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নাসির বেপারী এবং তাজুল ছৈয়ালের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উভয়পক্ষের লোকজন হাতবোমা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে বেশ কয়েকটি বসতবাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। হাতবোমার আঘাতে যুবদল নেতা সালাউদ্দিন বেপারী, কামাল বেপারীসহ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহত দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।
আরো পড়ুন:
ড্যাফোডিল-সিটি ইউনিভার্সিটি সংঘর্ষ: শিক্ষার্থীদের আসামি করে পাল্টাপাল্টি মামলা
শিশুদের ঝগড়া থেকে বড়দের সংঘর্ষ, আহত ৫০
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘‘আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বেশ কিছু হাতবোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। দুইজনকে আটক করা হয়েছে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘যারা এই নাশকতা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ইউপি সদস্য নাসির বেপারীর স্ত্রী সাবিনা আক্তার বলেন, ‘‘আমরা বাড়িতে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। বোমার শব্দে ঘুমে ভেঙে যায়। উঠে দেখি আমাদের বাড়িতে বোমা হামলা হচ্ছে। জানালার গ্লাস ভেঙে ধোঁয়ার রুম ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের প্রতিপক্ষের লোকজন তাজুল ছৈয়াল, মমতাজ বেপারী, মন্নাপ বেপারী, সুজন, রনি ভূঁইয়া, টিপু মাদবর হামলা চালিয়েছে।’’ তিনি দোষীদের বিচারের দাবি জানান।
আহত সালাউদ্দিনের স্ত্রী সুমি বলেন, ‘‘আমার স্বামী ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। বোমার শব্দে জানালার কাছে গেলে তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। পরিকল্পিতভাবে এই হামলা হয়েছে।’’ তিনি জীবনের নিরাপত্তার পাশাপাশি দোষীদের শাস্তি চান।
উল্টো অভিযোগ করেছেন চম্পা আক্তার নামের এক নারী। তিনি বলেন, ‘‘সালাউদ্দিন বেপারী, নাসির বেপারী, ইব্রাহিম বেপারীরা আমাদের বাড়িঘরে বোমা হামলা করেছে। তারা আমাদের হুমকি দিয়েছে, বাড়িঘরে থাকতে দেবে না। আমরা এলাকায় শান্তি চাই।’’ যারা হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
তাজুল ছৈয়ালের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘরটি তালাবদ্ধ ছিল।
ঢাকা/আকাশ/বকুল