মিয়ানমারের রাখাইনে কথিত মানবিক করিডর এই অঞ্চলে মার্কিন এজেন্ডারই অংশ, এমনটাই মনে করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। দলটি বলেছে, এতে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকিতে পড়বে।

আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বাসদের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগের কথা বলা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করে একতরফাভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ।

বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের স্বার্থে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছেন। এ সংবাদ সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে।

বিবৃতিতে বজলুর রশীদ বলেন, আন্তদেশীয় মানবিক করিডরের মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা ও সম্মতি ছাড়া অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ জাতিকে নিয়ে পাশা খেলার শামিল। তিনি বলেন, কোন শর্তে করিডর, রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে কী মনোভাব, আরাকান আর্মির সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো যোগাযোগ হয়েছে কি না, মিয়ানমার সরকার বিষয়টি কীভাবে দেখবে, তাদের সঙ্গে সরকারি পর্যায়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না? চীন এটাকে কীভাবে নেবে—এসব বিষয় জাতির সামনে পরিষ্কার করা উচিত।

বজলুর রশীদ বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার যেমন সাম্রাজ্যবাদী ভারতের স্বার্থে, দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়েছিল। ড.

ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারও কি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের স্বার্থে রাখাইনে মানবিক করিডর দিয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে হুমকিতে ফেলে বাংলাদেশকে গাজা বা ইউক্রেন বানাতে চাইছে?

বিবৃতিতে কথিত মানবিক করিডর দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান বাসদের সাধারণ সম্পাদক।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র খ ইন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে অঝোরে বৃষ্টি, রাস্তায় পানি, আশঙ্কা পাহাড়ধসের

চট্টগ্রাম নগরে আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে নগরের কয়েকটি এলাকায় পানি জমে গেছে। ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ভোর পাঁচটার দিকে চট্টগ্রামে বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল ৯টা নাগাদ বৃষ্টির তীব্রতা বেড়ে যায়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি ঝরছে।

টানা বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম নগরের সড়কগুলোয় যানবাহনের সংখ্যা বেশ কম দেখা গেছে। ব্যস্ততম মোড়গুলোয় যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশা আর রিকশাও ছিল কম। এতে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী মানুষজন। এ ছাড়া সন্তানদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ে যেতে যেসব অভিভাবক বাইরে বের হয়েছেন, তাঁদেরও দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা যায়। দীর্ঘ সময় পর যানবাহন পেলেও অনেকে বাড়তি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে ছোটেন।

আবহাওয়ায় অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের পতেঙ্গা কার্যালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা) চট্টগ্রামে ৫৭ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আরও দুই থেকে তিন দিন বৃষ্টি হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামে পাহাড় ও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সড়কে পানি জমেছে। এ কে খান সি–গেট এলাকা, চট্টগ্রাম, ৩১ জুলাই, সকাল সাড়ে ১০টায় তোলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ