প্রদর্শনী ‘পুনর্জীবনে’ কাগজের কারুকাজ
Published: 1st, May 2025 GMT
প্রদর্শনীর নাম ‘পুনর্জীবন’। শিল্প এবং কারুশিল্পকর্ম—উভয়েরই এক নতুন জীবনের যাত্রা শুরু হয়েছে এই প্রদর্শনীতে।
রাজধানীর লালমাটিয়ার সি ব্লকের ২/৬ বাড়ির ‘দ্য ইলিউশনসে’ আজ বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে গ্যালারিতে কাগজ ও নানা রকম ফেলে দেওয়া জিনিসপত্র ব্যবহার করে দৃষ্টিনন্দন ব্যবহারিক সামগ্রীর এই প্রদর্শনী।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিল্পী রোকসানা ইসলামের এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন নকশাবিদ, কারু ও বস্ত্রশিল্প গবেষক চন্দ্র শেখর সাহা এবং মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির। সপ্তাহব্যাপী এই প্রদর্শনী প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। চলবে ৭ মে পর্যন্ত।
এই প্রদর্শনীর কারুশিল্পগুলোর মূল উপাদান খবরের কাগজসহ বিভিন্ন ধরনের কাগজ। আনুষঙ্গিক হিসেবে রয়েছে আরও বিভিন্ন ধরনের উপকরণ। এসব দিয়ে তিনি তৈরি করেছেন হরেক রকম আকার ও আকৃতির গয়নার বাক্স, কলম-পেনসিল বাক্স, লন্ড্রি ঝুড়ি, ফল ও সবজি রাখার ঝুড়িসহ অনেক রকমের ঝুড়ি। ছোট টেবিল,মোমদানি, খোঁপার বাঁধন, কানের দুল, মালা, অনেক রকম পুতুল, আয়না, হাতপাখা, ঘর সাজানোর মতো আরও অনেক রকম কারু সামগ্রী। এগুলো আকার–আকৃতি আর রঙে দেখতে যেমন সুদৃশ্য, তেমনি কাগজে তৈরি হলেও ব্যবহারের জন্যও বেশ শক্তপোক্ত।
রোকসানা ইসলাম মূলত আলোকচিত্রশিল্পী। পেশাদার আলোকচিত্রী হিসেবেই তিনি কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। তবে এক মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে যায় তাঁর জীবনে। ছবি তোলার সময় ২০১১ সালে প্রায় দেড়তলা উঁচু এক ছাদ থেকে পড়ে যান তিন। প্রাণে বেঁচে গেলেও দীর্ঘ সময়ের জন্য চলাচল করার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলেন। এর মধ্যে ভুল চিকিৎসার কারণে পরিস্থিতি খুবই মারাত্মক হয়ে পড়ে। একটা পর্যায়ে তিনি ধীরে ধীরে চলাচলের শক্তি ফিরে পান। তখন থেকেই নানা ধরনের কারুশিল্প তৈরি করে নিজেকে আবার কাজের মধ্যে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে থাকেন। সেই থেকেই তাঁর এক নতুন জীবনের যাত্রা শুরু। এভাবে কারুশিল্প নিয়ে কাজ করতে করতেই তিনি একটা পর্যায়ে কাগজ দিয়ে বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করা শুরু করেন। এসব কারুশিল্পী থেকে বাছাই করা বেশ কিছু কারু সামগ্রী নিয়ে তাঁর এই প্রথম একক প্রদর্শনী। দর্শকেরা এই প্রদর্শনীতে এলে পছন্দের অনেক কিছুই খুঁজে পাবেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক রকম
এছাড়াও পড়ুন:
সিরাজ–কৃষ্ণাতে ম্যাচে ফিরল ভারত
অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে মোহাম্মদ সিরাজের মতো আর কোনো পেসার নেই, এভাবে বলাই যায়। কারণ, সিরাজ ও ক্রিস ওকসই এই সিরিজের সব কটি ম্যাচ খেলেছেন। সেই ওকসও ওভাল টেস্টের প্রথম দিনে চোট পেয়ে টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন, টিকে আছেন সিরাজ।
টিকে থাকা সিরাজ কী করেছেন? গতকাল ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৮ ওভারের এক স্পেলে ফিরিয়েছেন ওলি পোপ, জো রুট, জ্যাকব বেথেলকে। এরপর আরও এক উইকেট। সিরাজকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন প্রসিধ কৃষ্ণা। দ্বিতীয় সেশনের শেষ ওভারে দুই উইকেটসহ তিনিও নিয়েছেন ৪ উইকেট। ভারতের ২২৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ২৪৭ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারত কাল দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ২ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে। দুই ‘জীবন’ পাওয়া যশস্বী জয়সোয়াল ৫১ ও আকাশ দীপ ৪ রান নিয়ে উইকেটে আছেন।
অথচ কাল প্রথম সেশন শেষে ম্যাচের চিত্র ছিল আলাদা। ইংল্যান্ড প্রথম ১৬ ওভারেই তোলে ১ উইকেটে ১০৯ রান। দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট ৭৭ বলে গড়েন ৯২ রানের জুটি। এমন বাজবলীয় শুরুর পর চিত্র পুরোপুরি বদলে যায় দ্বিতীয় সেশনে। শুরুটা করেন কৃষ্ণা। তাঁর শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ক্রলি। পরের গল্পটা সিরাজের। প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ৩১ রান দেওয়া সিরাজকে অধিনায়ক গিল যখন বোলিংয়ে আনেন, তখন ইংল্যান্ডের রান ২৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৪২। তিনি একে একে ফেরান দুই সেট ব্যাটসম্যান পোপ (২২), রুটকে (২৯) ও বেথেলকে (৬)। এরপর কৃষ্ণার দুই উইকেটে দ্বিতীয় সেশনটা পুরোপুরি ভারতের হয়ে যায়। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় সেশনে ১০৬ রান তুলতে হারায় ৬ উইকেট। তৃতীয় সেশনে আর ৩২ রান যোগ করতে পারে তারা।
আরও পড়ুনকাঁধের চোটে ভারতের বিপক্ষে আর খেলতে পারবেন না ওকস১১ ঘণ্টা আগেলোকেশ রাহুলকে আউট করার পর অ্যাটকিনসনের আনন্দ