নিয়মিত দাঁতের যত্ন নেওয়ার পরেও দাঁত ক্ষয় হতে পারে। আর এর পেছনে দায়ী হতে পারে ছোট ছোট কিছু ভুল। ভারতীয় দন্ত চিকিৎসক ময়ূখ রায় বলেন, নিয়ম মেনে দাঁত না মাজলে দাঁতের ক্ষয়রোধ করা সম্ভব নয়। দাঁত মাজার জন্য ন্যূনতম ২-৩ মিনিট সময় নিতে হবে। আস্তে আস্তে এবং দাঁতের ওপর ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মাজতে হবে। মাড়ির শেষ প্রান্ত এবং দুই দাঁতের মাঝখান মাউথওয়াশ ব্যবহার করে পরিষ্কার করতে হবে। 

যেভুলে দাঁতের ক্ষয় হয়: খাবার গ্রহণের পর পরই দাঁত মাজবেন না। তার কারণ খাবার গ্রহণের পরে মুখে অ্যাসিড এবং ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব বেশি থাকে। তাই আধা ঘণ্টা বা এক ঘণ্টা পরে দাঁত মাজতে হবে। তার আগে দাঁত মাজলে দাঁত দ্রুত ক্ষয় হতে পারে। ব্রাশ করার পরেও যদি দাঁতের ভেতর খাদ্যকণা জমা থাকে তাহলেও দাঁতের ক্ষয়রোধ করা সম্ভব না। 

যেভাবে দাঁত ব্রাশ করে নিতে পারেন—

আরো পড়ুন:

মিডলাইফ ক্রাইসিস মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

তালপাতার পাখা: প্রয়োজন কমেছে, আবেদন কমেনি

এক.

দাঁত ব্রাশ করার সময় বৃত্তাকারে ব্রাশ ঘুরিয়ে মাজতে হবে। একসঙ্গে তিনটি দাঁতের ওপরে ব্রাশ ঘুরিয়ে-ঘুরিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। পুরো দাঁত ব্রাশ করতে কমপক্ষে তিন মিনিট সময় নিতে হবে।

দুই. দাঁত ব্রাশ করার সময় মূলত খেয়াল করতে হবে দাঁত এবং মাড়ির সংযোগস্থল পরিষ্কার হয়েছে কিনা। খাবারের অবশিষ্টাংশ যেন জমে না থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে। 

তিন. দাঁত বা মুখের ভেতর খাদ্যকণা আটকে যায় তাহলে মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। 

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত ব র শ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সিরাজ–কৃষ্ণাতে ম্যাচে ফিরল ভারত

অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে মোহাম্মদ সিরাজের মতো আর কোনো পেসার নেই, এভাবে বলাই যায়। কারণ, সিরাজ ও ক্রিস ওকসই এই সিরিজের সব কটি ম্যাচ খেলেছেন। সেই ওকসও ওভাল টেস্টের প্রথম দিনে চোট পেয়ে টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন, টিকে আছেন সিরাজ।

টিকে থাকা সিরাজ কী করেছেন? গতকাল ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৮ ওভারের এক স্পেলে ফিরিয়েছেন ওলি পোপ, জো রুট, জ্যাকব বেথেলকে। এরপর আরও এক উইকেট। সিরাজকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন প্রসিধ কৃষ্ণা। দ্বিতীয় সেশনের শেষ ওভারে দুই উইকেটসহ তিনিও নিয়েছেন ৪ উইকেট। ভারতের ২২৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ২৪৭ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারত কাল দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ২ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে। দুই ‘জীবন’ পাওয়া যশস্বী জয়সোয়াল ৫১ ও আকাশ দীপ ৪ রান নিয়ে উইকেটে আছেন।

অথচ কাল প্রথম সেশন শেষে ম্যাচের চিত্র ছিল আলাদা। ইংল্যান্ড প্রথম ১৬ ওভারেই তোলে ১ উইকেটে ১০৯ রান। দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট ৭৭ বলে গড়েন ৯২ রানের জুটি। এমন বাজবলীয় শুরুর পর চিত্র পুরোপুরি বদলে যায় দ্বিতীয় সেশনে। শুরুটা করেন কৃষ্ণা। তাঁর শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ক্রলি। পরের গল্পটা সিরাজের। প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ৩১ রান দেওয়া সিরাজকে অধিনায়ক গিল যখন বোলিংয়ে আনেন, তখন ইংল্যান্ডের রান ২৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৪২। তিনি একে একে ফেরান দুই সেট ব্যাটসম্যান পোপ (২২), রুটকে (২৯) ও বেথেলকে (৬)। এরপর কৃষ্ণার দুই উইকেটে দ্বিতীয় সেশনটা পুরোপুরি ভারতের হয়ে যায়। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় সেশনে ১০৬ রান তুলতে হারায় ৬ উইকেট। তৃতীয় সেশনে আর ৩২ রান যোগ করতে পারে তারা।

আরও পড়ুনকাঁধের চোটে ভারতের বিপক্ষে আর খেলতে পারবেন না ওকস১১ ঘণ্টা আগেলোকেশ রাহুলকে আউট করার পর অ্যাটকিনসনের আনন্দ

সম্পর্কিত নিবন্ধ