পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের বাসিন্দারা বলছেন, বুধবার ভারত তাদের প্রতিবেশী দেশটির উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর তারা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের শাওয়াইয়ের বাসিন্দা রাজা শহীদ বশির বলেছেন, “হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেল। আমি ভেবেছিলাম একটি ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হয়েছে, কিন্তু পরে জানতে পারি যে ভারতীয় সেনারা আমাদের উপর বোমা ও গুলিবর্ষণ শুরু করেছে।”

বশির বলেন, “আমাদের বাড়ির কাছে গোলাগুলো এসে পড়েছিল। আমরা গবাদি পশু ও জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটেছিলাম।”

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানে শুধু জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে: বিক্রম মিশ্র

‘ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা’ থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে ভারত-শাসিত কাশ্মীর

শাকিল ভাট নামে আরেক বাসিন্দা সিএনএনকে বলেছেন, গ্রামে গোলাগুলো পড়তে শুরু করলে তাকে পালিয়ে যেতে হয়েছিল।

তিনি বলেন, “মসজিদের কাছে একটি বাড়িতে একটি গোলা পড়েছিল, যার ফলে দুজন আহত হয়েছিল। আমাদের এলাকার অন্যান্য বাড়িতেও গোলাগুলো আঘাত করেছিল এবং আমরা আমাদের এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে পালিয়ে গিয়েছিলাম।”

ভারতীয় সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা পাকিস্তান ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের ৯টি ‘সন্ত্রাসী ঘাঁটি’ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। 

ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর অভিযানে কমপক্ষে ২৬ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন।

পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা প্রতিশোধ হিসেবে ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাঁচটি যুদ্ধবিমান এবং একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। ভারত যুদ্ধবিমানের ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুরিদকে-র বাসিন্দা জিশান আকরাম রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বুধবার ভোরে ভারতীয় ড্রোনগুলো শহরের একটি মসজিদে হামলা করে, এতে মসজিদটি ধ্বংস হয়ে যায়।

আকরাম বলেন, “ড্রোনগুলো সরাসরি মসজিদে হামলা চালায়- এর উঠোন, মসজিদের সামনে মন্ত্রীর কার্যালয় এবং ছাদ ধ্বংস করে দেয়। সবকিছু গুঁড়িয়ে দেয়। মসজিদের ছাদে কর্তব্যরত একজন ব্যক্তি শহীদ হন।”

মুরিদকে-র আরেক বাসিন্দা ওয়াকাস আহমেদ রয়টার্সকে জানিয়েছেন, “সবার মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষজন ঘরবাড়ি ছেড়ে মাঠে, খোলা জায়গায় বেরিয়ে পড়েছিল।”

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র মসজ দ

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের ভয়াবহ হামলার বর্ণনা দিলেন পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের বাসিন্দারা

পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের বাসিন্দারা বলছেন, বুধবার ভারত তাদের প্রতিবেশী দেশটির উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর তারা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের শাওয়াইয়ের বাসিন্দা রাজা শহীদ বশির বলেছেন, “হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেল। আমি ভেবেছিলাম একটি ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হয়েছে, কিন্তু পরে জানতে পারি যে ভারতীয় সেনারা আমাদের উপর বোমা ও গুলিবর্ষণ শুরু করেছে।”

বশির বলেন, “আমাদের বাড়ির কাছে গোলাগুলো এসে পড়েছিল। আমরা গবাদি পশু ও জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটেছিলাম।”

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানে শুধু জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে: বিক্রম মিশ্র

‘ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা’ থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে ভারত-শাসিত কাশ্মীর

শাকিল ভাট নামে আরেক বাসিন্দা সিএনএনকে বলেছেন, গ্রামে গোলাগুলো পড়তে শুরু করলে তাকে পালিয়ে যেতে হয়েছিল।

তিনি বলেন, “মসজিদের কাছে একটি বাড়িতে একটি গোলা পড়েছিল, যার ফলে দুজন আহত হয়েছিল। আমাদের এলাকার অন্যান্য বাড়িতেও গোলাগুলো আঘাত করেছিল এবং আমরা আমাদের এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে পালিয়ে গিয়েছিলাম।”

ভারতীয় সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা পাকিস্তান ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের ৯টি ‘সন্ত্রাসী ঘাঁটি’ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। 

ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর অভিযানে কমপক্ষে ২৬ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন।

পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা প্রতিশোধ হিসেবে ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাঁচটি যুদ্ধবিমান এবং একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। ভারত যুদ্ধবিমানের ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুরিদকে-র বাসিন্দা জিশান আকরাম রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বুধবার ভোরে ভারতীয় ড্রোনগুলো শহরের একটি মসজিদে হামলা করে, এতে মসজিদটি ধ্বংস হয়ে যায়।

আকরাম বলেন, “ড্রোনগুলো সরাসরি মসজিদে হামলা চালায়- এর উঠোন, মসজিদের সামনে মন্ত্রীর কার্যালয় এবং ছাদ ধ্বংস করে দেয়। সবকিছু গুঁড়িয়ে দেয়। মসজিদের ছাদে কর্তব্যরত একজন ব্যক্তি শহীদ হন।”

মুরিদকে-র আরেক বাসিন্দা ওয়াকাস আহমেদ রয়টার্সকে জানিয়েছেন, “সবার মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষজন ঘরবাড়ি ছেড়ে মাঠে, খোলা জায়গায় বেরিয়ে পড়েছিল।”

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ