কক্সবাজার সৈকতে গোসলে নেমে পর্যটকের মৃত্যু
Published: 7th, May 2025 GMT
কক্সবাজারে সাগরে গোসলে নেমে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৭ মে) দুপুর ১টার দিকে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম আরফাত (৩০)। তিনি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কামাল হোসেনের ছেলে। জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাফিজ ইনতেসার নাফি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘‘দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে সৈকতে গোসলে নামেন আরফাত। এসময় ঢেউয়ের তোড়ে তলিয়ে যান তিনি। দীর্ঘ সময় খোঁজাখুঁজির পরেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। কিছুক্ষণ পর ভেসে উঠলে সি-সেইফ লাইফ গার্ডের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।’’
ঢাকা/তারেকুর/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাকসু নির্বাচনে লড়বেন স্বামী-স্ত্রী
আসন্ন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে লড়বেন হাবিব-সানজিদা দম্পতি। স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে নির্বাচনী প্রচার দৃষ্টি কেড়েছে শিক্ষার্থীদের। ডাকসু, জাকসুতে জয়ী দম্পতির মতো রাকসুতেও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তারা।
মো. হাবিবুর রহমান (হাবিব) বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি লড়ছেন কেন্দ্রীয় সংসদে নির্বাহী সদস্য পদে। অন্যদিকে, সানজিদা ইসলাম পড়াশোনা করছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষে। তিনি লড়ছেন মন্নুজান হল সংসদে সাহিত্য ও বির্তক সম্পাদক পদে।
আরো পড়ুন:
প্রথম ক্যাশলেস ক্যাম্পাস হিসেবে যাত্রা শুরু করল রাবি
উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে রাকসু নির্বাচনের প্রচার
মনোনয়ন বিতরণ, দাখিলের সময় তাদের দেখা না গেলেও প্রচারণার সময় তারা নজর কেড়েছেন শিক্ষার্থীদের। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে একসঙ্গে শিক্ষার্থীদের কাছে ভোট চাচ্ছেন তারা।
এ প্রশ্নের জবাবে সানজিদা ইসলাম বলেন, “আমরা অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন ক্লাব-সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছি। সামাজিক-সাংস্কৃতিক জগতে আমাদের অবাধ বিচরণ রয়েছে। বন্ধু-বান্ধব, সিনিয়র-জুনিয়রদের অনুপ্রেরণা আমাদের এ পথে অগ্রসর হতে আগ্রহী করেছে। সে জায়গা থেকে নিজেদের যোগ্যতা-অভিজ্ঞতা অনুসারে শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু করতে পারব এই আত্মবিশ্বাস থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা।”
হাবিবুর রহমান বলেন, “আমরা দুইজন আসলে নির্বাচনে দুই পদে প্রার্থী হচ্ছি। কারণ আমাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দুটি ভিন্ন জায়গায়। ১৯ নম্বর ব্যালট নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আমি এবং ১ নম্বর ব্যালট নিয়ে আমার স্ত্রী মন্নুজান হল সংসদে বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন। আমরা গত ৩ বছর ধরে ক্যাম্পাসে আছি। আগের অভিজ্ঞতা ও ক্যাম্পাস জীবনের বাস্তবতা মিলিয়ে মনে হয়েছে, এই দুটি পদে আমরা দুইজনই সেরা সেবা দিতে পারব।”
নির্বাচনে প্রতিকূলতার বিষয়ে তিনি বলেন, “সবচেয়ে বড় সংকট হলো—অনেক লম্বা ছুটির মাঝখানে নির্বাচন হওয়ায় অনেক আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থী বাসায় চলে যাবে। এটা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য নিঃসন্দেহে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে এখন পর্যন্ত আমরা বুলিংয়ের শিকার বা নেতিবাচক কিছু লক্ষ্য করিনি, বরং প্রচুর অনুপ্রেরণা পাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ আমরা জয়ী হয়ে ফিরব বলে আশাবাদী।”
এর আগে, ডাকসুতে শিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল থেকে রায়হান উদ্দিন ও উম্মে সালমা এবং জাকসুতে ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ থেকে তারিকুল ইসলাম ও নিগার সুলতানা দম্পতি বিজয়ী হন।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী