লক্ষ্মীপুরে ঝগড়ার জের ধরে স্ত্রীসহ নিজের গায়ে আগুন দিয়েছেন স্বামী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রায়পুর উপজেলার উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের চরপক্ষী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তাঁরা চিকিৎসাধীন।

দগ্ধ দুজন হলেন উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের গাইয়ারচর এলাকার আবদুল হামিদের মেয়ে রহিমা বেগম। একই ইউনিয়নের চরপক্ষী গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে নুরুল আলম। নুরুল আলম স্থানীয় একটি ইলেকট্রিকের দোকানি।

আগুনে রহিমা বেগমের শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ ও আর তাঁর স্বামীর শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অরূপ পাল। তিনি বলেন, দগ্ধ অবস্থায় দুজন রোগীকে হাসপাতালে আনার পর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয় তাঁদের।

পুলিশ জানায়, কয়েক বছর আগে নুরুল আলম একই ইউনিয়নের গাইয়ারচর এলাকার রহিমাকে বিয়ে করেন। আজ দুপুরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে নুরুল আলম তাঁর স্ত্রী ও নিজের শরীরে মিনি গ্যাস সিলিন্ডারের সাহায্যে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে স্থানীয় লোকজন আগুন নিভিয়ে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। আলামত হিসেবে ছোট গ্যাস সিলিন্ডারটি জব্দ করা হয়েছে। স্বামী-স্ত্রী দুজন বর্তমানে চিকিৎসাধীন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র ল আলম

এছাড়াও পড়ুন:

পিরোজপুরে নদীতে ইলিশ নেই, দামও চড়া

কিস্তির বোঝা মাথায় নিয়ে প্রতিদিন নদীতে জাল ফেলছেন পিরোজপুরের জেলেরা। কিন্তু ভরা মৌসুমেও কাঙ্ক্ষিত ইলিশ মিলছে না। হতাশা আর অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে তাঁদের। জেলেরা বলছেন, জাটকা ধরা আর অবৈধ জাল ব্যবহারের কারণে নদীগুলো ইলিশশূন্য হয়ে পড়ছে।

পিরোজপুরের প্রধান নদী কালীগঙ্গা, কচা ও বলেশ্বর। বছর কয়েক আগেও এসব নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়া যেত। তবে এখন কয়েক দিন জাল ফেলেও জেলেদের হাতে উঠছে না প্রত্যাশিত মাছ। মাঝেমধ্যে দু-একটা উঠলেও তা আকারে ছোট। তাই জীবিকা নির্বাহের চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়ছে জেলেদের।

কালীগঙ্গা ও কচা নদীর মোহনায় সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা জাল ফেলে রাখলেও কাঙ্ক্ষিত মাছ ধরা পড়ছে না। কয়েকজন জেলে বলেন, পরিবার নিয়ে তাঁদের না খেয়ে থাকতে হয়, এর ওপর আবার এনজিওর কিস্তির চাপ। তাঁদের অভিযোগ, কিছু অসাধু জেলে অবৈধভাবে জাটকা ও ইলিশ ধরায় মাছ কমে গেছে। তবে কর্তৃপক্ষ কঠোর হলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

আরও পড়ুনদেশের বাজারের চেয়ে কম দরে ভারতে কীভাবে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কালীগঙ্গা নদীতে জাল ফেলতে আসা জেলে মাহতাব উদ্দিন বলেন, আগে তাঁরা অনেক মাছ পেতেন। কয়েক বছর হলো আগের মতো মাছ পান না। বাধা জাল, চরগড়া, কারেন্ট জাল—এসবের কারণেই এখন মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। সারা দিন জাল ফেলে খালি হাতে ফিরতে হয়। অনেক সময় পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হয়, তার ওপর কিস্তির বোঝা।

বাজারে নেই পর্যাপ্ত ইলিশ, দামও অনেক

পিরোজপুরের বেকুটিয়া সেতুর দুই প্রান্তে বিকেল হলেই বসে ইলিশের বাজার। আগে এখানে ভিড় লেগে থাকত। খুলনা ও বরিশালগামী যাত্রীদের পাশাপাশি স্থানীয় ক্রেতারাও বাজার থেকে ইলিশ কিনতেন। এখন সে দৃশ্য নেই। ইলিশ মেলে না বললেই চলে, আর যেটুকু আছে তার দাম অনেক চড়া।

এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায়। ৫০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকায়। দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে।

পিরোজপুরের বেকুটিয়া সেতুর দুই প্রান্তে বসা ইলিশের বাজারে আগে প্রচুর ইলিশ বিক্রি হলেও এখান ইলিশের পরিমাণ কমে গেছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ