নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, আজকের এই দিনে গভীরভাবে স্মরণ করছি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে। ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর দেশি-বিদেশি সকল চক্রান্তকে ধুলিস্যাৎ করে সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করেছিল।

আজকের এই দিনে আমাদের সবার অঙ্গীকার হবে সিপাহী বিপ্লব ও স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বৃত্ত হয়ে আগামী ফেব্রুয়ারি যে নির্বাচন সেই নির্বাচনে  সারা বাংলাদেশে ধানের শীষকে বিজয় করবেন ইনশাল্লাহ।

‎ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র‍্যালি পূর্বে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।

‎শুক্রবার ( ৭ নভেম্বর) বিকেল চারটায় শহরের মিশন পাড়া হোসিয়ারি সমিতির সামনে থেকে এই বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দুই নম্বর রেলগেইট গিয়ে শেষ হয়।

‎সাখাওয়াত হোসেন খান গত ৩ নভেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সারা বাংলাদেশে বিএনপি'র ২৩৭ টি আসলে বিএনপির একক মনোনীত প্রার্থী ঘোষণার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বিএনপির মনোনয়নের এই তালিকা চূড়ান্ত তালিকা নয়।

সেই তালিকা যখন চূড়ান্ত হবে যাকেই দল থেকে যে আসলে মনোনয়ন দেওয়া হবে এবং নারায়ণগঞ্জ- ৫ আসনের যাকেই দেওয়া হবে আমরা তার পক্ষেই কাজ করে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয় করতে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়বো আমাদের মধ্যে কোন বিভেদ দ্বিধা দ্বন্দ্ব থাকবে না।

‎তিনি আরও বলেন, যারা চূড়ান্ত মনোনয়ন হিসাবে দাবি করছেন তাদেরকে বলে দিতে চাই, যখনই এই তালিকা ঘোষণা করা হয়েছিল তখনই কিন্তু বলা হয়েছিল এই তালিকা চূড়ান্ত তালিকা নয়। সুতরাং আজকের এই সভা থেকে আমি মহানগর বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে বলে দিতে চাই।

আমরা কিন্তু দলের পক্ষে আছি। আমরা ধানের শীষের পক্ষে আছি। আর আগামী নির্বাচনে আমরা আমাদের বুকে তাজা রক্ত দিয়ে হলেও ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করবো।

‎নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.

সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় ‎এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ রেজা রিপন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, বরকত উল্লাহ, ফারুক হোসেন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন, বন্দর থানা বিএনপি'র সভাপতি শাহেন শাহ্ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা, সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন র য ণগঞ জ র আহ ব য ক এই ত ল ক ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ সীমান্তের ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে ভারতের সেনাঘাঁটির ভিত্তি স্থাপন

বাংলাদেশের সীমান্তের ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে আসাম রাজ্যের ধুবড়ি শহরে একটি সেনাঘাঁটি করছে ভারত সরকার।

ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সংযোগ স্থাপনকারী কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ‘চিকেনস নেক’ করিডরের কাছেই এটি স্থাপিত হচ্ছে।

ভারতের সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি গত বৃহস্পতিবার এই ঘাঁটির ভিত্তি স্থাপন করেন। এর নাম রাখা হয়েছে ‘লাচিত বোরফুকান মিলিটারি স্টেশন’। এটি এসেছে আসামের ১৭ শতকের কিংবদন্তি কমান্ডার লাচিত বোরফুকানের নাম থেকে। বলা হয়ে থাকে, তিনি মোগল বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিওয়ারি কাজের সর্বোত্তম মান বজায় রেখে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ ঘাঁটিকে কার্যকর করে তোলার নির্দেশনা দেন বলে ভারতের সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের এক এক্স পোস্টে জানানো হয়। ওই পোস্টে বলা হয়, স্থানীয় বিধানসভা সদস্য হামিদুল রহমানও ভিত্তি স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিওয়ারি সীমান্তবর্তী এলাকায় আভিযানিক প্রস্তুতি এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। পাশাপাশি চলমান অবকাঠামো উন্নয়ন উদ্যোগগুলোর অগ্রগতি মূল্যায়ন করেন।

ভারতের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম রাওয়াত বলেছেন, স্টেশনটি স্থাপন ভারতীয় সেনাদের আঞ্চলিক অপারেশনাল সক্ষমতা এবং অবকাঠামো আরও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

স্টেশনটি তেজপুরভিত্তিক চতুর্থ কোরের অধীন থাকবে। এটি বনুমনি পার্ট-১ এবং বনুমনি পার্ট-২ গ্রামের সরকারি জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে। দ্য আসাম ট্রিবিউনের তথ্যমতে, বিলাসীপাড়া রেভিনিউ সার্কেলের সপ্তগ্রামে নির্মিত স্টেশনটি হচ্ছে ১৯৬ বিঘা জমির ওপর।

এই স্টেশনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি বিশেষায়িত ইউনিট ‘প্যারা এসএফ ইউনিট’সহ প্রায় ১ হাজার ৫০০ সেনাসদস্য থাকবেন। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, এই স্টেশন (কোনো ঘটনায়) দ্রুত প্রতিক্রিয়া, নজরদারি এবং উচ্চ প্রভাবযুক্ত ট্যাকটিক্যাল অভিযানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ইস্টার্ন কমান্ডের সাবেক সেনা কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) রানা প্রতাপ কালিতা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, তামুলপুর, রাঙ্গিয়া ও গুয়াহাটি ছাড়িয়ে পশ্চিম আসামে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কোনো ঘাঁটি বা স্টেশন নেই। তিনি বলেন, তাদের (সেনাবাহিনীর) এই স্থানটি অধিগ্রহণ করা দরকার ছিল। এটি আসামে বাংলাদেশ সীমান্তের সবচেয়ে কাছাকাছি স্থানে অবস্থিত। তিনি আরও বলেন, ‘এই সীমান্ত অঞ্চলে যদি স্থায়ী কোনো সেনাঘাঁটি থাকে, লজিস্টিক দিক থেকে প্রয়োজনের সময় তা আমাদের জন্য অনেক কিছু সহজ করে দেবে।’

আসামে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্তের সবচেয়ে কাছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সামরিক স্টেশনটি শিলচরের মাসিমপুরে অবস্থিত। যার অবস্থান বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে। সেই তুলনায় নির্মিত লাচিত বোরফুকান মিলিটারি স্টেশন বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে বেশ কাছাকাছি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ