হাসপাতালের বেডে নবজাতক, পাশে মায়ের লেখা চিরকুট
Published: 7th, November 2025 GMT
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ফেলে যাওয়া হয়েছে এক নবজাতক কন্যাসন্তানকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিশুটিকে ভর্তি করা হয়, সঙ্গে ছিল একটি চিরকুট যাতে লেখা ছিল মায়ের ধর্মীয় পরিচয় এবং পরিস্থিতির বিবরণ। শুক্রবার ঘটনাটি জানাজানি হলে শিশুটিকে দত্তক নিতে অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন। শিশুটি বর্তমানে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে সুস্থ আছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যৌন হয়রানি: বেরোবি শিক্ষককে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) যৌন হয়রানির অভিযোগের পরবতীতে দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাকিবুল ইসলামকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. ইমদাদুল হকের সই করা এক নোটিশে বলা হয়, বিভাগীয় জরুরি সভায় তাকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রবিবার (২ নভেম্বর) দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. ইলিয়াছ প্রামাণিক এবং বিভাগীয় প্রধানের কাছে ড. শাকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ জমা দেন।
আরো পড়ুন:
শনিবার থেকে আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা
ঢাবি প্রক্টরকে হুমকি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার
অভিযোগ এখন তদন্তাধীন রয়েছে। ফলে সব ধরনের একাডেমি কার্যক্রম থেকে ডা. শাকিবুলকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে তার বিভাগ।
বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ইমদাদুলের নোটিশে বলা হয়, “২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগীয় এক জরুরি সভায় ড. শাকিবুল ইসলামের কাছে বণ্টন করা চতুর্থ বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের কোর্সগুলো পুনর্বণ্টনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রিচার্স প্রজেক্ট কোর্সে সুপারভাইজার ও দ্বিতীয় পরীক্ষকের দায়িত্ব থেকেও তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”
তাতে আরো বলা হয়েছে, চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা কমিটির সদস্য হিসেবেও তাকে আর রাখা হবে না। ড. শাকিবুল ইসলামকে একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি এম.এস.সি. ২০২৪-২৫ প্রোগ্রাম থেকেও সম্পূর্ণভাবে বিরত রাখা হবে। অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ইমদাদুল বলেন, “আমাদের ২০-২১ সেশনের এক নারী শিক্ষার্থী বিভাগীয় প্রধান বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ড. শাকিবুল ইসলামকে ওই ব্যাচের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যেহেতু ভুক্তভোগী প্রশাসন বরাবরও অভিযোগ দায়ের করেছেন, বিষয়টি যৌন নিপীড়ন সেলে গিয়েছে; পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আমরা এখনো অবগত নই।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক এবং যৌন-নিপীড়ন সেলের সদস্য সচিব ড. ইলিয়াছ প্রামানিক বলেন, “অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এরইমধ্যে ১০ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/রাসেল