বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান। ২০০০ সালে ‘রিফিউজি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। রুপালি পর্দায় তার ‘ক্যারিশমাটিক’ উপস্থিতি ভক্তদের মনে ঝড় তোলে। অভিষেক চলচ্চিত্রে নজর কাড়লেও তার ক্যারিয়ারে প্রথম বাজিমাত ঘটায় ‘কাভি খুশি কাভি গাম’ সিনেমা। পারিবারিক ড্রামা ও রোমান্টিক ঘরানার সিনেমাটি ২০০১ সালে মুক্তি পায়।

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে শারীরিক গড়ন নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন কারিনা কাপুর খান। পুরোনো সেই ইস্যু নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী। 

পিঙ্কভিলাকে কারিনা কাপুর খান বলেন, “আমি সবসময়ই আমার শারীরিক (সাইজ) গড়ন ও আকার নিয়ে খুশি ছিলাম। আমি একটু মোটাসোটা ছিলাম, আর আমার প্রথম সিনেমাতেও মোটাসোটা ছিলাম। কারণ আমি খুব পরিষ্কারভাবে জানতাম যে, আমি পরোটা ভালোবাসি। আমি একদম খাঁটি পাঞ্জাবি কুড়ি!”   

কারিনা তার কর্মজীবনকে নিজের প্রতিভা, পছন্দের চরিত্র, যেসব গল্প তাকে আকৃষ্ট করত, তার ওপর ভিত্তি করে গড়েছেন। কারিনার ভাষায়—“আমি আমার প্রতিভা বিক্রি করতে এসেছি, অন্য কিছুর জন্য নয়।” 

ফিটনেস ও স্বাস্থ্যের বিষয়ে কারিনা কাপুর সবসময়ই কথা বলেছেন। বিশেষ করে নারীদের মাংসপেশি গঠন, স্ট্রেংথ ট্রেনিংয়ের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন। ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ফিটনেস রুটিন ও ডায়েট নিয়ে খোলামেলা পোস্ট করে থাকেন। ফিটনেস ও ডায়েট নিয়ে তার মনোযোগ মূলত আসল অর্থেই—ফিট থাকা এবং পুষ্টিকর, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া; কখনো ফ্যাড ডায়েট বা জটিল ওয়ার্কআউট প্ল্যান অনুসরণ করেন না। তার লক্ষ্য—ফিটনেসকে মজাদার করে তোলা, এটিকে অভ্যাসে পরিণত করা বলেও জানান এই অভিনেত্রী।  

কারিনা স্বীকার করেন, এই ইন্ডাস্ট্রি সবসময় এতটা সহনশীল নয়। এ অভিনেত্রী বলেন, “এরপর চাপ আসতে শুরু করল। মানুষ যখন বলতে লাগল, ‘সে ক্যামেরার সামনে ভালো। কিন্তু গ্ল্যামারাস চরিত্রে ভালো লাগবে কি না?’ মূলত, তখনই ভাবতে শুরু করি।” 

২০০৮ সালে ‘তাশান’ সিনেমার জন্য ‘জিরো ফিগার’ তৈরি করে আলোচনায় আসেন কারিনা। দেড় বছর কঠোর পরিশ্রম, নির্দিষ্ট খাদ্যতালিকা এবং যোগব্যায়ামের মাধ্যমে নিজেকে ফিট করেন। ‘তাশান’ সিনেমার পর কারিনা আবার পূর্বের লুকে ফিরেন। এ বিষয়ে একাধিকবার কারিনা বলেন, “তারপর কখনো ‘জিরো ফিগার’ তৈরির প্রয়োজন অনুভব করিনি।” 

বর্তমানে চলচ্চিত্রে খুব একটা দেখা যায় না কারিনা কাপুর খানকে। প্রতি বছর একটি বা দুটো সিনেমায় কাজ করে থাকেন তিনি। বাকি সময় স্বামী-সন্তানদের সঙ্গে কাটান কারিনা। এখন তার হাতে ‘দায়রা’ নামে একটি সিনেমার কাজ রয়েছে। এরই মধ্যে সিনেমাটির দৃশ্যধারণের কাজ শুরু করেছেন পরিচালক মেঘনা গুলজার। 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টন স

এছাড়াও পড়ুন:

আমি শারীরিক গড়ন নিয়ে সবসময়ই খুশি ছিলাম: কারিনা

বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান। ২০০০ সালে ‘রিফিউজি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। রুপালি পর্দায় তার ‘ক্যারিশমাটিক’ উপস্থিতি ভক্তদের মনে ঝড় তোলে। অভিষেক চলচ্চিত্রে নজর কাড়লেও তার ক্যারিয়ারে প্রথম বাজিমাত ঘটায় ‘কাভি খুশি কাভি গাম’ সিনেমা। পারিবারিক ড্রামা ও রোমান্টিক ঘরানার সিনেমাটি ২০০১ সালে মুক্তি পায়।

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে শারীরিক গড়ন নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন কারিনা কাপুর খান। পুরোনো সেই ইস্যু নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী। 

পিঙ্কভিলাকে কারিনা কাপুর খান বলেন, “আমি সবসময়ই আমার শারীরিক (সাইজ) গড়ন ও আকার নিয়ে খুশি ছিলাম। আমি একটু মোটাসোটা ছিলাম, আর আমার প্রথম সিনেমাতেও মোটাসোটা ছিলাম। কারণ আমি খুব পরিষ্কারভাবে জানতাম যে, আমি পরোটা ভালোবাসি। আমি একদম খাঁটি পাঞ্জাবি কুড়ি!”   

কারিনা তার কর্মজীবনকে নিজের প্রতিভা, পছন্দের চরিত্র, যেসব গল্প তাকে আকৃষ্ট করত, তার ওপর ভিত্তি করে গড়েছেন। কারিনার ভাষায়—“আমি আমার প্রতিভা বিক্রি করতে এসেছি, অন্য কিছুর জন্য নয়।” 

ফিটনেস ও স্বাস্থ্যের বিষয়ে কারিনা কাপুর সবসময়ই কথা বলেছেন। বিশেষ করে নারীদের মাংসপেশি গঠন, স্ট্রেংথ ট্রেনিংয়ের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন। ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ফিটনেস রুটিন ও ডায়েট নিয়ে খোলামেলা পোস্ট করে থাকেন। ফিটনেস ও ডায়েট নিয়ে তার মনোযোগ মূলত আসল অর্থেই—ফিট থাকা এবং পুষ্টিকর, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া; কখনো ফ্যাড ডায়েট বা জটিল ওয়ার্কআউট প্ল্যান অনুসরণ করেন না। তার লক্ষ্য—ফিটনেসকে মজাদার করে তোলা, এটিকে অভ্যাসে পরিণত করা বলেও জানান এই অভিনেত্রী।  

কারিনা স্বীকার করেন, এই ইন্ডাস্ট্রি সবসময় এতটা সহনশীল নয়। এ অভিনেত্রী বলেন, “এরপর চাপ আসতে শুরু করল। মানুষ যখন বলতে লাগল, ‘সে ক্যামেরার সামনে ভালো। কিন্তু গ্ল্যামারাস চরিত্রে ভালো লাগবে কি না?’ মূলত, তখনই ভাবতে শুরু করি।” 

২০০৮ সালে ‘তাশান’ সিনেমার জন্য ‘জিরো ফিগার’ তৈরি করে আলোচনায় আসেন কারিনা। দেড় বছর কঠোর পরিশ্রম, নির্দিষ্ট খাদ্যতালিকা এবং যোগব্যায়ামের মাধ্যমে নিজেকে ফিট করেন। ‘তাশান’ সিনেমার পর কারিনা আবার পূর্বের লুকে ফিরেন। এ বিষয়ে একাধিকবার কারিনা বলেন, “তারপর কখনো ‘জিরো ফিগার’ তৈরির প্রয়োজন অনুভব করিনি।” 

বর্তমানে চলচ্চিত্রে খুব একটা দেখা যায় না কারিনা কাপুর খানকে। প্রতি বছর একটি বা দুটো সিনেমায় কাজ করে থাকেন তিনি। বাকি সময় স্বামী-সন্তানদের সঙ্গে কাটান কারিনা। এখন তার হাতে ‘দায়রা’ নামে একটি সিনেমার কাজ রয়েছে। এরই মধ্যে সিনেমাটির দৃশ্যধারণের কাজ শুরু করেছেন পরিচালক মেঘনা গুলজার। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ