রণবীরের অভিনয়ের প্রথম শিক্ষক ছিলেন নওয়াজুদ্দিন
Published: 8th, May 2025 GMT
২০১০ সালে ‘ব্যান্ড বাজা বারাত’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় রণবীর সিংয়ের। ছবিটি বক্স অফিসে সুবিধা না করতে পারলেও পরিচালকদের নজরে আসেন এই অভিনেতা। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি, আজ তিনি বলিউডের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নেওয়া তারকাদের একজন। তবে জানেন কী, এ সাফল্যের পেছনে রয়েছে বলিউডের একজন অভিনেতার হাত? অভিষেকের আগে রণবীর প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীর কাছে।
সম্প্রতি পিংকভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন নওয়াজুদ্দিন। একজন অভিনেতার পাশাপাশি তিনি যে একজন প্রশিক্ষক, সে কথাও জানান। তিনি জানান, অনেক অভিনেতার পাশাপাশি রণবীর সিংকেও অভিনয়ের জন্য প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন তিনি।
নওয়াজ বলেন, ‘২০১২ সালে “গ্যাংস অব ওয়াসিপুর”–এর সাফল্যের পর জনপ্রিয়তা পাই আমি। যদিও তার আগে অনেক ছবিতে অভিনয় করেছিলাম। ওই সময় শুধু অভিনয় নয়, নবাগতদের অভিনয়ের প্রশিক্ষণ দিতাম। ২০১০ সালে কিছু সময়ের জন্য রণবীর সিংকেও প্রশিক্ষণ দিয়েছিলাম। তখন ও প্রায়ই আমার কাছে আসত অভিনয় শেখার জন্য। আমার কাছে অভিনয় শিখতে স্বচ্ছন্দ বোধ করত ও।’
তবে রণবীরের সাফল্যের কৃতিত্ব নিতে নারাজ নওয়াজ। বরং তিনি বলেন, ‘রণবীর ভীষণ ভালো একজন অভিনেতা। অভিনয় শেখানো যায় না, প্রতিভা থাকতে হয়। আপনি শুরুতে পথ দেখিয়ে দিতে পারেন, বাকিটা নিজেকেই গড়ে নিতে হয়।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘মোটা জেনারেলদের’ কড়া সমালোচনা করলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা হেগসেথ
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ‘মোটা জেনারেল’ এবং বৈচিত্র্য আনার উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এর ফলে কয়েক দশক ধরে সামরিক বাহিনীর অধঃপতন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার কমান্ডারদের এক বিরল সমাবেশে তিনি বলেন, যাঁরা তাঁর কর্মসূচিকে সমর্থন করেন না, তাঁদের পদত্যাগ করা উচিত।
হেগসেথের সঙ্গে মার্কিন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের সমাবেশে যোগ দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনিও ভার্জিনিয়ার কোয়ান্টিকোতে সমবেত অ্যাডমিরাল এবং জেনারেলদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। ভাষণে তিনি মার্কিন শহরগুলোতে সেনা মোতায়েনকে ‘আমাদের সামরিক বাহিনীর জন্য প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র’ হিসেবে ব্যবহার করার ধারণা দেন।
ফক্স নিউজের সাবেক গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব হেগসেথ এবং সাবেক রিয়েলিটি টিভি তারকা ট্রাম্পের এ মন্তব্য একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানের মতো মনে হয়েছে। কারণ, গত সপ্তাহে হঠাৎই এই সমাবেশের জন্য মার্কিন সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের তলব করা হয়েছিল।
হেগসেথ অনুষ্ঠান শুরু করে বলেন, ‘নির্বোধ ও বেপরোয়া রাজনৈতিক নেতারা ভুল পথে পরিচালনা করায় আমরা পথ হারিয়ে ফেলেছি। আমরা ‘ওউক ডিপার্টমেন্ট’ (অতিমাত্রায় প্রগতিশীল বিভাগ) হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু আর নয়।’
সারা বিশ্ব থেকে উড়ে আসা শীর্ষ কর্মকর্তায় ভরা মিলনায়তনে ভাষণ দেওয়ার সময় হেগসেথ তাঁর মাধ্যমে ফ্ল্যাগ কর্মকর্তাদের যাঁরা বরখাস্ত হয়েছেন, সেই সেটিকে সমর্থন করেন। বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন একজন কৃষ্ণাঙ্গ শীর্ষ মার্কিন জেনারেল এবং নৌবাহিনীর শীর্ষ অ্যাডমিরাল, যিনি একজন নারী। তিনি বলেন, যেসব কর্মকর্তাকে তিনি অব্যাহতি দিয়েছেন, তাঁরা একটি ভেঙে পড়া সংস্কৃতির অংশ ছিলেন।
হেগসেথ পেন্টাগন যেভাবে বৈষম্যের অভিযোগ ও অন্যায়ের তদন্ত পরিচালনা করছে, তাতে ব্যাপক পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, বর্তমান ব্যবস্থায় শীর্ষ কর্মকর্তাদের ‘ডিমের খোসার ওপর দিয়ে হাঁটার মতো’ সতর্ক থাকতে হয়।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথের ডাকে সমাবেশে যোগ দেওয়া মার্কিন শীর্ষ জেনারেলরা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ভার্জিনিয়া