ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নেবে ১৫৮ জন, আবেদনের সুযোগ আর ২দিন
Published: 11th, May 2025 GMT
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) সাংগঠনিক কাঠামোভুক্ত তিন ক্যাটাগরির পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল ২০২৪ সালের জুন মাসে। সে আবেদন শেষ হয়েছে গত বছরেই। গতকাল বুধবার (১৬ এপ্রিল) সেসব পদে নিয়োগের জন্য আবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ৩ ক্যাটাগরির পদে ১৫৮ জনকে নিয়োগ আবেদন শুরু হবে ২১ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যারা ৬/১০/২০২৪ এর বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করেছিলেন তাদের নতুন করে আবেদন করার দরকার নেই।
১.
পদের নাম: ব্যক্তিগত সহকারী
পদসংখ্যা: ৮
যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে ২০ শব্দের গতিসহ কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে। বয়স: ৩২ বছর
বেতন স্কেল: ১১,০০০–২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড–১৩)আরও পড়ুনবেসরকারি ব্যাংকে এমটি পদে চাকরি, বেতন ৭৫০০০ টাকা০৯ মে ২০২৫
২.
পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক
পদসংখ্যা: ১০০
যোগ্যতা: অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এইচএসসি বা সমমান পাস। মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে ২০ শব্দের গতিসহ কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে।
বয়স: ৩২ বছর
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
৩.
পদের নাম: হিসাব সহকারী
পদসংখ্যা: ৫০
যোগ্যতা: বাণিজ্য বিভাগে অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের সিজিপিএতে এইচএসসি বা সমমান পাস। তথ্যপ্রযুক্তি ও কম্পিউটার পরিচালনায় দক্ষতা থাকতে হবে।
বয়স: ৩২ বছর
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
আবেদন যেভাবে
আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে পাওয়া যাবে। অনলাইনে আবেদন করতে কোনো সমস্যা হলে টেলিটক নম্বর থেকে ১২১ নম্বরে কল অথবা [email protected] ঠিকানায় ই-মেইলে যোগাযোগ করা যাবে।
আরও পড়ুন৪৬তম বিসিএস পরীক্ষার নতুন সময়সূচি জানা যাবে শিগগিরই২ ঘণ্টা আগেআবেদন ফি
অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ প্রতিটি পদের জন্য ১১২ টাকা টেলিটক প্রি–পেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
আবেদনের শেষ সময়: ১২ মে ২০২৫, বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সমম ন
এছাড়াও পড়ুন:
গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া দলও কি স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পারে
১৫ বছর ধরে অনেক ব্যক্তি, রাজনৈতিক দল আর সংগঠন মিলে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে শেখ হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে আসেন।
এর ফলে হাসিনা সরকারের পতন হয় ও তিনি এবং তাঁর দলের কর্মীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এ পরিবর্তন শুধু একটা সরকারের পরিবর্তন নয়, বরং দীর্ঘ সময়ের ভয় ও দমনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের সাহস, আশা ও গণতান্ত্রিক চেতনার একটি বড় জয় ছিল।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায়, কিছু গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক দল এই আন্দোলনের সফলতাকে শুধু নিজের নামে দাবি করতে শুরু করে। কেউ কেউ বলতে থাকে, তাদের কারণেই সরকার পতন ঘটেছে। তাই তারাই ভবিষ্যতে ক্ষমতার একমাত্র ভাগীদার।
আবার কিছু ধর্মীয় বা আদর্শিক গোষ্ঠী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নিজেদের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যারা আগে প্রকাশ্যে তেমন সক্রিয় ছিল না। এ ছাড়া কিছু নতুন দল, যারা আগে রাজনীতিতে খুব একটা পরিচিত ছিল না, তারাও হঠাৎ করে সামনে চলে এসেছে। তারা নিজেদের ‘নতুন শক্তি’, ‘ভিন্নধারার দল’ হিসেবে উপস্থাপন করে, কিন্তু তাদের আচরণে কখনো কখনো পুরোনো রাজনীতির কৌশলই দেখা যায়।
আরও পড়ুনশেখ হাসিনা স্বৈরশাসকদের টিকে থাকার দুটি মূলমন্ত্রেই ব্যর্থ২২ আগস্ট ২০২৪এই আন্দোলনের সময় বিভিন্ন গোষ্ঠী একসঙ্গে থাকলেও আন্দোলনের পর তারা নিজেদের অবস্থান ঠিক করতে গিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ কেউ আবার নিজেদের মধ্যে ক্ষমতার হিসাব-নিকাশ করছে। এতে আন্দোলনের মূল চেতনা—জনগণের অধিকার, গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যেন ধীরে ধীরে পেছনের দিকে চলে গেছে।
এ বাস্তবতায় প্রশ্ন ওঠে, যাঁরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলেন, তাঁরাই কি আবার ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গিয়ে নতুন একধরনের স্বৈরতন্ত্রের জন্ম দেবেন?
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। ৫ আগস্ট, ২০২৪