আজ বলিউডের বড় পর্দার ‘মোহিনী’ মাধুরী দীক্ষিতের জন্মদিন। বয়সের মুকুটে আরও একটা পালক যুক্ত হলেও মাধুরী প্রমাণ করেছেন, বয়সকে তিনি নিজের মুনশিয়ানায় কেবলই সংখ্যা বানিয়ে রাখতে জানেন। জন্মদিনে জেনে নেওয়া যাক পদ্মশ্রী মাধুরী ও তাঁর জীবনসঙ্গী শ্রীরাম মাধব নেনের প্রেমকাহিনি।

প্রথম দেখা

সিমি গারেওয়ালের শোতে মাধুরী প্রথম দেখার কথা জানিয়েছিলেন এভাবে, ‘আমি এমন একজন মানুষের সঙ্গে দেখা করলাম, যে আমাকে চিনতই না। কোনো পূর্বধারণা ছাড়াই সে আমার সঙ্গে দেখা করল। আর জিজ্ঞেস করল, তার সঙ্গে আমি বাইকে চড়ে পাহাড়ে ঘুরতে যাব কি না। আর আমি জানি না কেন, যেই আমি এর আগে গত ২০ বছরে কারও মোটরসাইকেলে উঠিনি, সেই আমি হাসিমুখে রাজি হয়ে বললাম, হ্যাঁ, আমি যাব।’

বিয়ের দিন শ্রীরাম মাধুরীকে যা বলেছিলেন

শ্রীরাম বিয়ের আগ পর্যন্ত ধারণাই করতে পারেননি যে মাধুরী ভারতে কত বড় তারকা। বিয়ের দিন মিডিয়া আর মানুষ দেখে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন এই ডাক্তার। স্ত্রীকে ফিসফিস করে বলেছিলেন, ‘ও মাই গড, এত মানুষ কেন!’ মাধুরী হেসে বলেছিলেন, ‘এ তো কঠোর গোপনীয়তা আর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে। না হলে তো ভেঙে পড়ত।’ নেনে জানিয়েছিলেন, এসব দেখে শুনে তাঁর বিয়ের দিন নাকি কেটেছিল ঘোরের ভেতর। মাধুরী জানান, নেনে নাকি বিয়ের আগে মাধুরীর কোনো ছবিই দেখেনি। এমনকি অমিতাভ বচ্চন ছাড়া ভারতের আর কোনো তারকার নামও জানত না নেনে। স্কুলে পড়ার সময় নাকি একবার ‘অমর আকবর অ্যান্টনি’ দেখেছিলেন। বলিউডের ছবি নিয়ে নেনের স্মৃতি বলতে এটুকুই।

শ্রীরাম নেনের সঙ্গে মাধুরী। শিল্পীর ইনস্টাগ্রাম.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পলাতক ২৬ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ট্রাইব্যুনালের

জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের আবু সাঈদ হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে এই মামলার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি পলাতক হাসিবুরসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইবুনাল-২ আজ সোমবার এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ১০ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে সকালে এই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্টার কার্যালয়ে দাখিল করা হয়। অভিযোগে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টরসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন আবু সাঈদ হত্যার সঙ্গে তৎকালীন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারসহ ৩০ জনের সম্পৃক্ততা মিলেছে বলে জানা গেছে।

গত ২৪ জুন তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। একই সঙ্গে আবু সাঈদকে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র প্রসিকিউশনে জমা দেওয়া হয়েছে।

এ মামলায় চার আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তারা হলেন- রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী।

গতবছর ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনের মধ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ