৩ লাখ মানুষ নিয়ে শুটিং, গিনেস বুকে রেকর্ড
Published: 23rd, May 2025 GMT
বলিউড ও দক্ষিণী সিনেমার অধিকাংশ গল্পে যৌথ পরিবারের আবহ দেখা যায়। যার ফলে পাত্র-পাত্রীর সংখ্যাও থাকে অধিক। আবার ঐতিহাসিক সিনেমার জন্য এলাহি আয়োজন করে থাকেন নির্মাতারা। গল্পের প্রয়োজনে দৃশ্যে দেখা মেলে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি। এসব দৃশ্য কখনো কখনো গ্রাফিক্সের মাধ্যমেও সম্পন্ন করে থাকেন। তবে একটি সিনেমায় সত্যি সত্যি ৩ লাখ মানুষের উপস্থিতি ছিল; যা গিনেস বুকে রেকর্ড গড়ে।
সিয়াসাত ডটকমের তথ্য অনুসারে, ‘গান্ধী’ সিনেমায় একটি দৃশ্য ইতিহাস তৈরি করেছে। এটি অন্য কোনো দৃশ্য নয়, মহাত্মা গান্ধীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের দৃশ্য। যে দৃশ্যে ৩ লাখ মানুষ সত্যি সত্যি অংশ নেন। মানুষের উপস্থিতি বোঝাতে এতে কোনো প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়নি।
গিনেস ওয়ার্ল্ডের ওয়েব সাইটের তথ্য অনুসারে, ১৯৮১ সালের ৩১ জানুয়ারি দিল্লিতে ‘গান্ধী’ সিনেমার এই দৃশ্যের শুটিং করেন পরিচালক রিচার্ড। মহাত্মা গান্ধীর সত্যিকারের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের ৩৩ বছর পর। শুটিং টিম দৃশ্যটির জন্য টাকার বিনিময়ে ৯৪ হাজার এবং ২ লাখ স্বেচ্ছাসেবীকে একত্রিত করেছিলেন।
আরো পড়ুন:
জন্মদিনে বিশালের বিয়ে: ১২ বছরের ছোট কনেকে নিয়ে চর্চা
হাঁটুর বয়সি নায়িকাকে চুমু, সমালোচনার মুখে কমল হাসান
সিনেমাটিতে গান্ধী চরিত্রে অভিনয় করেন বেন কিংসলে। এ অভিনেতা যখন চুপচাপ শুয়ে ছিলেন, তখন তার চারপাশে হাজার হাজার মানুষ হাঁটছিলেন। যা সত্যিকার অর্থে খুবই আবেগঘন পরিবেশ তৈরি করেছিল। আর এই দৃশ্যের জন্য কোনো গ্রিন স্ক্রিন বা কোনো কৌশলই ব্যবহার করেননি নির্মাতারা।
‘গান্ধী’ সিনেমায় দৃশ্যটির দৈর্ঘ্য মাত্র ২ মিনিট ৫ সেকেন্ড। এজন্য এলাহি আয়োজন করতে হয়েছিল। শুটিংয়ের জন্য করা হয়েছিল সুপরিকল্পনা। এতে ভারতীয় সেনাবাহিনী, স্থানীয় কিছু গ্রুপ সহযোগিতা করেছিলেন। এই দৃশ্যটি গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে রেকর্ড গড়েছে। সিনেমায় অত্যাধিক এক্সট্রা ব্যবহারের দিক থেকে এই রেকর্ড গড়ে সিনেমাটি। এখনো এই রেকর্ড কোনো সিনেমা ভাঙতে পারেনি।
ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামের অন্যতম অগ্রনায়ক মহাত্মা গান্ধী। শান্তি, মুক্তি ও মানবতার প্রতীক তিনি। ভারতের স্বাধীনতার ৬ মাসের কম সময়ের ব্যবধানে অর্থাৎ ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারান তিনি।
১৯৮২ সালে মহাত্মা গান্ধীর বায়োপিক নির্মিত হয়। এটি নির্মাণ করেন ব্রিটিশ অভিনেতা-নির্মাতা রিচার্ড অ্যাটেনবরো। ‘গান্ধী’ সিনেমা নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ২২ মিলিয়ন ডলার। ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় মুক্তি পায় এটি। মুক্তির পর সিনেমাটি আয় করে ১২৭.
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।
প্রশিক্ষণের বিষয়১. বেসিক কম্পিউটার,
২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,
৩. ইন্টারনেট,
৪. গ্রাফিক ডিজাইন,
৫. ফ্রিল্যান্সিং,
৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।
আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,
২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,
৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,
৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,
৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে১. ঢাকা,
২. চট্টগ্রাম,
৩. রাজশাহী,
৪. খুলনা,
৫. বরিশাল,
৬. সিলেট,
৭. দিনাজপুর,
৮. গোপালগঞ্জ।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,
২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,
৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,
৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,
৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।
নিবন্ধন ফিমনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।
দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে