জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী সেজে অভিযান চালিয়েছে দুদক। এ সময় রোগীর খাবারসহ নানা অব্যবস্থাপনার চিত্র ধরা পড়ে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত চার ঘণ্টা অভিযান চালায় দুদক জামালপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি দল।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন জামালপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক জিহাদুল ইসলাম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরেক উপসহকারী পরিচালক আতিউর রহমান।

অভিযানের আগে দুই ঘণ্টা সময় নিয়ে প্রথমে রোগী সেজে তথ্য সংগ্রহ করেন তারা। পরে অভিযানে হাসপাতালের প্রধান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.

দেবাশীষ রাজ বংশী এবং আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. বিচিত্রা রানীকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত পান তারা। এ সময় দুদক কর্মকর্তাদের হাসপাতাল-সংক্রান্ত সব তথ্য দেন মেডিকেল অফিসার নুরে আলম সৈকত।

অভিযানে দেখা গেছে, হাসপাতালে আবাসিক রোগীর জন্য বরাদ্দের মুরগির মাংস ২১০ গ্রামের পরিবর্তে ১১২ গ্রাম দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ওষুধ বিতরণে যথাযথ রেজিস্ট্রার এন্ট্রি না করা। ওষুধ ও রোগীর খাদ্য সরবরাহের ঠিকাদারের কার্যক্রমে দুর্নীতি এবং গাফিলতির প্রমাণ পায় কর্মকর্তারা। হাসপাতালে সাতজন ডাক্তার কর্মরত থাকার কথা থাকলেও অভিযানের সময় হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন তিনজন। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. বিচিত্রা রানী ছুটিতে না থাকলেও তাঁকে বার বার খোঁজাখুঁজি করেও হাসপাতালে পাওয়া যায়নি।

জামালপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক জিহাদুল ইসলাম বলেন, ‘নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রোগী সেজে প্রথমে হাসপাতালের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করি। তারপর বিভিন্ন শাখায় গিয়ে আমরা অনিয়ম দেখতে পাই। এসব তথ্য কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

দুদকের জামালপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক কমলেশ মণ্ডল সমকালকে জানান, যেখানেই দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যাবে, সেখানেই জামালপুর জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকার বিষয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেবাশীষ রাজ বংশীর ভাষ্য, তিনি ছুটিতে আছেন এবং ঢাকায় অবস্থান করছেন। কিন্তু জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. দেবাশীষের কোনো ছুটির আবেদন পাননি তিনি। ফলে তাঁর ছুটি মঞ্জুরের প্রশ্নই আসে না।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অভ য ন কর মকর ত র চ লক উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ