জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় সাবেক ছাত্রলীগ কর্মীসহ চার শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। 

তারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (আইআর) বিভাগের ৫০তম ব্যাচের হৃদয় ইসলাম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের একই ব্যাচের রাইসুল রুবাই, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৯ ব্যাচের কিরন সূত্রধর হিমু ও তন্ময় চন্দ্র রায়।

রবিবার (২৫ মে) দুপুর ২টার দিকে হলের ২৫৫/বি কক্ষে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় তাদের আটক করেন প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান। এ সময় হলের নিরাপত্তা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

আরো পড়ুন:

ফুলের রাজ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

বরিশালে মেডিকেল ছাত্রের আত্মহত্যা, চিরকুট উদ্ধার

হলের ২৫৫/বি কক্ষের বসবাসকারী শিক্ষার্থী হৃদয় ইসলাম ও রাইসুল রুবাই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। তারা দুইজনই মীর মশাররফ হোসেন হলের অবৈধ ছাত্র। তবে হৃদয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের আবাসিক ছাত্র। রাইসুল রুবাই ওই কক্ষে সিট দখল করে রাখলেও থাকেন অন্য হলে। তিনি ছাত্রলীগের রাজনাীতি করার সময় গণরুমে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করতেন। অভিযুক্ত হৃদয় দুইজনের রুমে একাই থাকতেন এবং নিয়মিত গাঁজার আসর বসাতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

অভিযুক্ত অন্য দুইজন নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের কিরন সূত্রধর হিমু ও তন্ময় চন্দ্র রায় আল বেরুনী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নামাজ পড়ে হলের বারান্দা দিয়ে যাওয়ার সময় তারা গাঁজার গন্ধ পান। এ সময় দরজায় কয়েকজন নক করলে ভেতর থেকে সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে হলের প্রাধ্যক্ষ স্যারকে ডাকলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে গাঁজা সেবনরত অভিযুক্তদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। গাঁজার সোর্স সম্পর্কে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করা সত্ত্বেও তাদের কাছ থেকে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত হৃদয় বলেন, “আমি গত পরশুদিন ঢাকা থেকে আসার পথে গাঁজা নিয়ে আসি। আজ আমি বাড়ি চলে যেতাম। তাই ভাইদের মেসেজ দিয়ে আসতে বলি, পরে তারা আসেন। হল প্রশাসনের মাদকবিরোধী জিরো টলারেন্সের নীতি আমি জানতাম। আমার ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।”

অভিযুক্ত কিরন সূত্রধর হিমু গাঁজা খাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “হৃদয়ের সঙ্গে আমার পূর্বপরিচয় ছিল না। আজ তন্ময়ের সঙ্গে বটতলায় আড্ডা দিচ্ছিলাম। তখন তন্ময়ের সঙ্গে হৃদয়ের কক্ষে আসি।”

অভিযুক্ত তন্ময় চন্দ্র রায় দোষ স্বীকার করে বলেন, “বেলা ১১টার দিকে আমাকে হৃদয় হলে গাঁজা খেতে আসতে বলে। পরে আমি আর হিমু হলে আসি।”

মীর মশাররফ হোসেন হলে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স উল্লেখ করে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বলেন, “হৃদয়কে শোকজ করা হবে এবং তাকে আজ বিকেলের মধ্যে হল ত্যাগ করতে বলেছি।”

তিনি বলেন, “এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস বরাবর অভিযোগপত্র দেব। যেহেতু সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী, তাই ওই হলের প্রাধ্যক্ষকেও অবহিত করব।”

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কের হার কমায় একে ঐতিহাসিক চুক্তি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “এটি সুস্পষ্ট এক কূটনৈতিক সাফল্য।”

শুক্রবার (১ আগস্ট) এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, শুল্ক হার ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে আরোপিত শুল্ক হারের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মাধ্যমে আমাদের আলোচকরা অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষা ও সেটাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।

তিনি বলেন, আলোচকরা এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নিরলসভাবে কাজ করে জটিল আলোচনাকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়েছেন। যেখানে শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত এই চুক্তি আমাদের তুলনামূলক সুবিধা সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তাবাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও আমাদের মূল জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ

কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, এ অর্জন কেবল বাংলাদেশের বৈশ্বিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরে না; বরং এটি বৃহত্তর সম্ভাবনা, ত্বরান্বিত প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে।

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল, উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আজকের সাফল্য আমাদের জাতীয় দৃঢ়তা ও আগামী দিনের আরো শক্তিশালী অর্থনীতির সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির একটি শক্তিশালী প্রমাণ।

 

তথ্যসূত্র: বাসস

ঢাকা/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ