কারা হচ্ছেন নতুন হ্যারি, রন আর হারমায়নি?
Published: 28th, May 2025 GMT
এইচবিও ‘হ্যারি পটার’ টিভি সিরিজ বানানোর ঘোষণা দিয়েছিল ২০২৩ সালে। ‘হ্যারি পটার’-এর বই অবলম্বনে পূর্ণাঙ্গ একটি সিরিজ আসতে চলেছে, এ খবরে দারুণ খুশি ছিলেন ‘পটারহেড’রা। এরপর কেটে গেছে দুই বছরের বেশি সময়। অবশেষে এইচবিও ও ওয়ার্নার ব্রাদার্স জানিয়েছে কে কে অভিনয় করছে সিরিজটির কেন্দ্রীয় তিন চরিত্রে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্ল্যাটফর্মটির এক অফিশিয়াল ঘোষণায় এসব তথ্য জানানো হয়।
হ্যারি পটারের ভূমিকায় দেখা যাবে ডমিনিক ম্যাকলাকলিনকে। হারমায়নি গ্রেঞ্জার চরিত্রে আরাবেলা স্ট্যানটন ও রন উইসলি হবেন আলাস্টার স্টাউট। জে কে রাওলিংয়ের লেখা উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হ্যারি পটার সিরিজের প্রথম সিনেমা ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফারস স্টোন’ ২০০১ সালে মুক্তি পাওয়ার পর তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। রাতারাতি তারকা হয়ে ওঠে ড্যানিয়েল রেডক্লিফ, এমা ওয়াটসন ও রুপার্ট গ্রিন্ট। হ্যারি, হারমায়নি ও রন চরিত্রে অভিনয় করে তারা। পরবর্তী সময় এই ত্রয়ীকে দেখা যায় ‘হ্যারি পটার’ সিরিজের বাকি সাত সিনেমাতেও।
২০১১ সালে যখন ‘হ্যারি পটার’ ফ্র্যাঞ্চাইজির শেষে সিনেমা ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোস-পার্ট ২’ মুক্তি পায়। দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে থাকা হ্যারি-ভক্তদের প্রচণ্ড মন খারাপ হয়। অনেকেই ভেবেছিলেন, হয়তো নতুন কিস্তি আসবে, কিন্তু পরে আর তা হয়নি। তাই শেষ সিনেমা মুক্তির এক যুগ পরে যখন এইচবিও সিরিজ বানানোর ঘোষণা দেয়, সবাই নড়েচড়ে বসে। কিন্তু ঘোষণার পর দুই বছরেও যখন আর সিরিজটি নিয়ে নতুন খবর মিলছিল না, তখন ভক্তদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল বৈকি। তবে গতকালের ঘোষণায় সব জল্পনার অবসান হয়েছে।
২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে এইচবিও ‘হ্যারি পটার’ নিয়ে নতুন সিরিজের ঘোষণা দেয়। এরপরই শুরু হয় প্রধান তিন চরিত্রের জন্য শিল্পীর খোঁজ। অডিশনের জন্য ৩০ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়ে।
সিরিজের নির্বাহী প্রযোজক ফ্রানচেস্কা গার্ডিনার ও পরিচালক মার্ক মাইলড যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘কাস্টিং পরিচালক লুসি বিউভান ও এমিলি ব্রকমানের নেতৃত্বে আমরা আমাদের পরবর্তী হ্যারি, রন আর হারমায়নিকে খুঁজে পেয়েছি। এই তিনজন অভিনেতাই অসাধারণ প্রতিভাবান। আমরা অধীর আগ্রহে তাদের পর্দায় দেখার জন্য অপেক্ষা করছি।’ বিবৃতিতে তাঁরা আরও বলেন, ‘হাজার হাজার শিশু-কিশোর অডিশন দিয়েছে। তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। প্রতিভাবানদের খুঁজে পাওয়া সত্যিই আনন্দের।’
হ্যারি পটার চরিত্রের জন্য নির্বাচিত ডমিনিক ম্যাকলাকলিন অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার সিরিজ ‘গিফটেড’, কমেডি সিনেমা ‘গ্রো’-তে অভিনয় করেছেন। ‘গ্রো’-তে তাঁর সহ–অভিনেতা হিসেবে কাজ করেছেন নেটফ্লিক্সের আলোচিত সিরিজ ‘ব্রিজারটন’-এর রোশুয়েল, ‘টেড লাসো’-এর জেরেমি সুইফট। রন উইসলি চরিত্রে আলাস্টার স্টাউটের হবে বড় পর্দার এটিই প্রথম কাজ। তবে এ তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট হারমায়নি গ্রেঞ্জার চরিত্রের জন্য নির্বাচিত হয় আরাবেলা স্ট্যানটন। এই বয়সেই তার রয়েছে মঞ্চে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা। ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালে সে লন্ডনের ওয়েস্টএন্ডে ‘মাটিল্ডা-দ্য মিউজিক্যাল’-এর ম্যাটিল্ডা চরিত্রে অভিনয় করে। তার আবেগপ্রবণ অভিনয়শৈলীতে দর্শকদের মুগ্ধ করে।
সিরিজটিতে আরও দেখা যাবে ‘দ্য ক্রাউন’, ‘কনক্লেভ’ অভিনেতা জন লিথগো, ‘মিশন: ইমপসিবল: দ্য ফাইনাল রেকনিং’-এর জ্যানেট ম্যাকটিয়ারসহ অনেককে।
ব্রিটিশ লেখিকা জে কে রাওলিংয়ের ‘হ্যারি পটার’ সিরিজের সাতটি বই রয়েছে। সাতটি বই অবলম্বনে ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত আটটি সিনেমা বানানো হয়। সিনেমার পর্দার হ্যারি পটারের বিশাল জাদুর দুনিয়ার খুব কম জিনিসই ফুটে উঠেছে। এত কম সময় সিনেমা দেখে পটারপ্রেমীদের যে মন ভরত না, তা বলাই বাহুল্য। তাই এইচবিও থেকে যখন ঘোষণা আসে, সিরিজটি হবে সত্যিকার অর্থেই হ্যারি পটার বইয়ের পূর্ণাঙ্গ রূপান্তর, তখন পটারপ্রেমীদের মধ্যে আলোড়ন ওঠে।
এ ব্যাপারে এইচবিও ও প্রযোজনা সংস্থার আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এক দশকব্যাপী এ টেলিভিশন সিরিজে জাদু দুনিয়ার প্রতিটি কোনা ঘুরে দেখা হবে। নতুন সিরিজটি ভরা থাকবে সেই জাদুময়তার বিশদ বর্ণনা, প্রিয় সব চরিত্র আর দারুণ দৃশ্যে, যা গত পঁচিশ বছরে হ্যারি পটার–ভক্তদের হৃদয় জয় করে এসেছে।’
টিভি সিরিজ নির্মাণের সঙ্গে লেখিকা জে কে রাওলিং সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকবেন। নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সিরিজটি টেলিভিশনে প্রচারের উপযোগী করে তুলতে সাহায্য করবেন তিনি।
সিরিজটি লিখছেন ও শো রানারের দায়িত্ব পালন করছেন ফ্রানচেস্কা গার্ডিনার। একাধিক পর্ব পরিচালনা করবেন ও প্রযোজনা করছেন মার্ক মাইলড। এইচবিওর হয়ে এটি তৈরি হচ্ছে ব্রন্টে ফিল্ম অ্যান্ড টিভি ও ওয়ার্নার ব্রোস টেলিভিশন। নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে আছেন লেখিকা জে কে রাউলিং, নিল ব্লেয়ার, রুথ কেনলি-লেটস (ব্রন্টে ফিল্ম অ্যান্ড টিভি) এবং ডেভিড হেইম্যান (হেইডে ফিল্মস)।
তথ্যসূত্র: ভ্যারাইটি, ভ্যানিটি ফেয়ার
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এইচব ও স র জট চর ত র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে কতটা অবদান রাখেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা
ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর কিছু পরিবর্তন চাপিয়ে দিতে চাইছে। সে কারণে প্রশাসন বিশ্বজুড়ে নতুন বিদেশি শিক্ষার্থীদের মার্কিন ভিসা দেওয়া আপাতত বন্ধ রেখেছে। কিন্তু অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, এতে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি শিক্ষার্থীদের টিউশন ফিয়ের ওপর নির্ভরশীল, শুধু সেগুলোই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না; বরং এটি স্থানীয় ও অঙ্গরাজ্যের অর্থনীতিতেও বাজে প্রভাব ফেলবে।
আন্তর্জাতিক শিক্ষকদের অলাভজনক সংগঠন এনএএফএসএ-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ১১ লাখের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করেছেন। এ সময় তাঁরা দেশটির অর্থনীতিতে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার যোগ করেছেন। এর মধ্যে আলাস্কার অর্থনীতিতে ১ কোটি ডলার থেকে শুরু করে ক্যালিফোর্নিয়ার অর্থনীতিতে ৬০০ কোটি ডলারের বেশি এনে দিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি ৩ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করেছেন।
যেসব অঙ্গরাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয় বেশি, সেসব অঙ্গরাজ্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক অবদান থেকে বিশেষভাবে সুবিধা পায়।লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের অধ্যাপক নিকোলাস বার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা শুধু টিউশন ফি-ই পরিশোধ করেন না, বাড়ি ভাড়ার অর্থ দেন, খাওয়াদাওয়া করতে রেস্তোরাঁয় যান ও ভ্রমণ করেন।’
যেসব অঙ্গরাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয় বেশি, সেসব অঙ্গরাজ্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক অবদান থেকে বিশেষভাবে সুবিধা পায়।
এনএএফএসএ–এর তথ্য অনুযায়ী, গত শিক্ষাবর্ষে (২০২৩-২৪) টেক্সাসের ২৫০টির বেশি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত প্রায় ৯০ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী স্থানীয় অর্থনীতিতে ২৫০ কোটি ডলার অবদান রেখেছেন।
অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হয়তো কোর্সের সংখ্যা বা আর্থিক সহায়তা কমিয়ে দিতে বাধ্য হবে।কনস্টান্টিন ইয়ানেলিস, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপকম্যাসাচুসেটসে অধ্যয়নরত ৮২ হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী আনুমানিক ৩৯০ কোটি ডলার অবদান রেখেছেন। সবচেয়ে বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী থাকা ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রায় ১ লাখ ৪১ হাজার শিক্ষার্থী ৬৪০ কোটি ডলার যোগ করেছেন।
নিকোলাস বার বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক চাহিদা কর্মসংস্থান তৈরি করে–চাই তা স্থানীয় পানশালা ও দোকানে অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ হোক বা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশি শিক্ষার্থী সামলাতে অতিরিক্ত কর্মী দরকার হোক।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক কনস্টান্টিন ইয়ানেলিস বলেন, শিক্ষার্থী ভিসা স্থগিত করা ‘আবাসন খাত থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁ, এমনকি যেকোনো ভোক্তাভিত্তিক ব্যবসা—সবকিছুতে প্রভাব ফেলতে পারে।’
কনস্টান্টিন ইয়ানেলিস আরও বলেন, ‘স্থানীয় আবাসন খাত শিক্ষার্থীদের ভাড়ার ওপর নির্ভর করে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেলে আবাসন খাতে বড় প্রভাব পড়বে। স্থানীয় অনেক ব্যবসা, সিনেমা হল, পানশালার চাহিদা কমে যাবে।’
এই অধ্যাপক বলেন, বেশি স্থানীয় শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিদেশি শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক অবদানের ঘাটতি পূরণ করতে পারবে না। কারণ, বিদেশি শিক্ষার্থীদের সাধারণত মার্কিন শিক্ষার্থীদের চেয়ে বেশি অর্থ পরিশোধ করতে হয়। স্থানীয় শিক্ষার্থীদের অভ্যন্তরীণ টিউশন ও বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সহায়তা পাওয়ার সুযোগ থাকে।
আরও পড়ুনচীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল শুরু করবে যুক্তরাষ্ট্র৩ ঘণ্টা আগেকনস্টান্টিন ইয়ানেলিস পূর্বাভাস দিয়েছেন যে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হয়তো কোর্স সংখ্যা বা আর্থিক সহায়তা কমিয়ে দিতে বাধ্য হবে।
বিদেশি শিক্ষার্থীসংখ্যা কমে যাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব সহজে পরিমাপ করা যায় না বলে উল্লেখ করেছেন কনস্টান্টিন ইয়ানেলিস। তিনি ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছের একটি এলাকায় বেড়ে উঠেছেন। বড় হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রাক্তন শিক্ষার্থী শাহিদ খানের সাফল্যের গল্প শুনে। তিনি (শাহেদ খান) একজন ব্যবসায়ী ও মার্কিন ফুটবল দল জ্যাকসনভিল জাগুয়ার্সের মালিক।
পাকিস্তান থেকে বিদেশি শিক্ষার্থী হিসেবে ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসেন শাহিদ খান। এরপর ‘বাম্পারওয়ার্কস’ নামের একটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। পরে ফ্লেক্স-এন-গেট নামের একটি অটোমোবাইল প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ করেন। ইয়ানেলিস বলেন, শাহিদ ওই এলাকায় নিজের ব্যবসা গড়ে তুলেছেন। ফলে সেখানে স্থানীয় লোকজনের জন্য বহু চাকরি ও সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
ইয়ানেলিস আরও বলেন, ‘আমি দীর্ঘমেয়াদি পরিণাম নিয়ে চিন্তিত। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক উদ্যোক্তাই বিদেশি। তাঁদের অনেকে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন।’
আরও পড়ুনবিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসার আবেদন কেন স্থগিত করল ট্রাম্প প্রশাসন১৬ ঘণ্টা আগেযদিও নতুন বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসাপ্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে, তবে তা সাময়িক। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শিক্ষার্থী ভিসা আবেদনকারীদের সামাজিকমাধ্যম অ্যাকাউন্ট আরও জোরালভাবে যাচাইয়ের নির্দেশনা দেওয়ার কথা ভাবছে।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রশাসনের অনেক পদক্ষেপ নিয়েই ইতিমধ্যে আদালতে আপত্তি উঠেছে, যেমন একজন ফেডারেল বিচারক হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে আটকে দিয়েছেন। তবে অধ্যাপক কনস্টান্টিনের মতে, যা ক্ষতি হওয়ার তা এরই মধ্যে হয়ে গেছে।
আরও পড়ুনছেলে ব্যারনকে ভর্তি করায়নি বলেই কি হার্ভার্ডের ওপর এমন ক্ষিপ্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প১৮ ঘণ্টা আগে