জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলে দেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেসব ষড়যন্ত্র চলছে, সেগুলো জনগণই মোকাবিলা করতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে’ তিনি এ কথাগুলো বলেন।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলে বর্তমানে যে ষড়যন্ত্র চলছে, সেই ষড়যন্ত্র জনগণই মোকাবিলা করতে পারবে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনকে বিলম্বিত করার জন্য পতিত স্বৈরাচার দেশে-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র করছে। তা না হলে সংস্কার এবং মামলা—দুটি বিষয়কে নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করার কোনো অর্থ হয় না। এই তিনটি আলাদা বিষয়।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা সংস্কার চাই, কিন্তু সব সংস্কার এক কথায় করা যাবে না। এটা চলমান বিষয়। সংস্কারের বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেছি। প্রস্তাব দিয়েছি। ৩১ দফা উপস্থাপন করেছি। আমরা চাই, নির্বাচন–সংক্রান্ত সংস্কার অতি দ্রুত শেষ করে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হোক।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ১০ মাস পার হচ্ছে, কিন্তু সরকার এখন পর্যন্ত দেশে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

বিচারের সঙ্গে নির্বাচনকে সম্পৃক্ত করার কোনো অর্থ হয় না মন্তব্য করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘বিএনপি ভবিষ্যতে ক্ষমতায় এলে সংস্কার এবং মামলার বিচার গুরুত্বের সঙ্গে করবে। সে জন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বিলম্বিত করার কোনো যুক্তি নেই।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র ব চনক ষড়যন ত র ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

জয়কে অপহরণ-হত্যাচেষ্টা ষড়যন্ত্রের মামলায় এবার খালাস পেলেন শফিক রেহমান

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের মামলায় খালাস পেয়েছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান।

ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ তারিক এজাজ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় শফিক রেহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

শফিক রেহমানের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

একই মামলায় একই আপিল আদালত থেকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান খালাস পান।

একই মামলায় একই আপিল আদালত থেকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান খালাস পান।

জানতে চাইলে আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর শফিক রেহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে শফিক রেহমান আত্মসমর্পণ করেন। সেদিন তিনি সাজা পরোয়ানা বাতিলের আবেদন জানান। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন।

পরে ওই মামলায় সিএমএম আদালতের দেওয়া রায় চ্যালেঞ্জ করে ২১ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিলের পাশাপাশি জামিন আবেদন করেন শফিক রেহমান। সেদিন তিনি আদালত থেকে জামিন পান।

সৈয়দ জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, ঢাকার সিএমএম আদালতের দেওয়া কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে শফিক রেহমানের করা আপিল আজ মঞ্জুর করেছেন ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত। ফলে শফিক রেহমান এ মামলা থেকে খালাস পেলেন।

২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট এ মামলায় শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন সিএমএম আদালত। অন্য তিনজন হলেন জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তাঁর ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

মামলায় শফিক রেহমান ও মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের সাজা স্থগিত করা হয়।

সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট রাজধানীর পল্টন থানায় এ মামলা করেছিল পুলিশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যত দিন হাসিনা ভারতে থাকবে, তত দিন সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না: সারজিস
  • বামপন্থীদের উস্কানিমূলক স্লোগানের প্রতিবাদ ঢাবি ছাত্রশিবিরের
  • পশুর হাটে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধীর দুই নেতা গ্রেপ্তার
  • জয়কে অপহরণ-হত্যাচেষ্টা ষড়যন্ত্রের মামলায় এবার খালাস পেলেন শফিক রেহমান
  • সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যাচেষ্টা মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমানকে খালাস