নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলে জনগণই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে: খন্দকার মোশাররফ
Published: 28th, May 2025 GMT
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলে দেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেসব ষড়যন্ত্র চলছে, সেগুলো জনগণই মোকাবিলা করতে পারবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে’ তিনি এ কথাগুলো বলেন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলে বর্তমানে যে ষড়যন্ত্র চলছে, সেই ষড়যন্ত্র জনগণই মোকাবিলা করতে পারবে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনকে বিলম্বিত করার জন্য পতিত স্বৈরাচার দেশে-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র করছে। তা না হলে সংস্কার এবং মামলা—দুটি বিষয়কে নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করার কোনো অর্থ হয় না। এই তিনটি আলাদা বিষয়।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা সংস্কার চাই, কিন্তু সব সংস্কার এক কথায় করা যাবে না। এটা চলমান বিষয়। সংস্কারের বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেছি। প্রস্তাব দিয়েছি। ৩১ দফা উপস্থাপন করেছি। আমরা চাই, নির্বাচন–সংক্রান্ত সংস্কার অতি দ্রুত শেষ করে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হোক।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ১০ মাস পার হচ্ছে, কিন্তু সরকার এখন পর্যন্ত দেশে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
বিচারের সঙ্গে নির্বাচনকে সম্পৃক্ত করার কোনো অর্থ হয় না মন্তব্য করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘বিএনপি ভবিষ্যতে ক্ষমতায় এলে সংস্কার এবং মামলার বিচার গুরুত্বের সঙ্গে করবে। সে জন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বিলম্বিত করার কোনো যুক্তি নেই।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র ব চনক ষড়যন ত র ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
হাতিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে পালিয়ে থাকা সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর হাতিয়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার বুড়িরচরের জোড়খালী গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে হাতিয়া থানা-পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার মো. আলাউদ্দিন সন্দ্বীপ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হরিষপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হাতিয়ার শ্বশুরবাড়িতে পালিয়েছিলেন। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে হাতিয়া থানা হাজতে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে দুপুরের দিকে আদালতে পাঠানো হয়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলাউদ্দিন জোড়খালী গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করে সরকার বিরোধী নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। গোপন সংবাদে বিষয়টি টের পাওয়ার পরই তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি এ কে এম আজমল হুদা জানান, সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আলাউদ্দিন ও তাঁর ১৫ সহযোগীর বিরুদ্ধে থানায় নাশকতার পরিকল্পনার মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে হাতিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।