সংস্কৃতির বিকাশে ২% বাজেট বরাদ্দ দাবি সাংস্কৃতিক কর্মী সংঘের
Published: 30th, May 2025 GMT
দেশের সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ও বিকাশে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে ২% বরাদ্দ রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক কর্মী সংঘ। গতকাল বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংঘের নেতারা জানান, ২০০৫ সালের ৩১ মে এক গোলটেবিল আলোচনার মাধ্যমে সংস্কৃতির বিকাশে রাষ্ট্রীয় করণীয় নির্ধারণে ১৫ দফা প্রস্তাবনা গৃহীত হয়, যা পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোয় লিখিতভাবে জমা দেওয়া হয়। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সংস্কৃতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু ২০০৮ সালের পর এসব দাবির অগ্রগতি থেমে যায়। বর্তমান সরকার ও সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের কাছে আবারও লিখিতভাবে ৬-৭ মে তারিখে প্রস্তাবনাগুলো পেশ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এ কারণে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দাবিগুলো পুনরায় তুলে ধরা হয় এবং গণমাধ্যমের সমর্থন প্রত্যাশা করা হয়।
সংগঠনের নেতারা বলেন, শিক্ষা ও সংস্কৃতির সমন্বয়, স্কুল-কলেজে সংস্কৃতিচর্চার পরিবেশ নিশ্চিত, শিল্পীদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান, জাতীয় সাংস্কৃতিক নীতিমালা প্রণয়নসহ ১৫ দফা প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি মানবিক ও আলোকিত বাংলাদেশ গঠন সম্ভব। তারা বলেন, শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়; টেকসই উন্নয়নের জন্য সংস্কৃতির বিকাশ অপরিহার্য। এ লক্ষ্যে সরকারকে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’
ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।