সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজে পাসের হার ৯৪.৬৮ শতাংশ
Published: 10th, July 2025 GMT
চলতি বছরের মাধ্যমিক (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার। এ পরীক্ষায় ডেমরার সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬৩৫ জন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। এ হিসাবে পাশের হার ৯৪.৬৮ শতাংশ।
২০২৪ সালে এসএসসিতে প্রতিষ্ঠানটি শতভাগ পাশসহ ১ হাজার ২৩৫ জনের মধ্যে ৮৪৩ জন জিপিএ-৫ পেয়ে অভাবনীয় কৃতিত্ব অর্জন করে। এ বছর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ ১ হাজার ১৬৩ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ পায় ৬১৯ জন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ ১৭২ জনের মধ্যে ১১ জন জিপিএ-৫ পায়। মানবিক বিভাগ হতে উত্তীর্ণ হয় ১০৭ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পায় ৫ জন।
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ১ হাজার ৫২৬ জন। এর মধ্যে তিনজন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৪৪২ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে। এছাড়া ৮১ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির ইংলিশ বিভাগে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
ফলাফল প্রকাশের পর পুরো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আনন্দে ফেটে পড়ে কৃতকার্য শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুরো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রাণ চঞ্চলতা দেখা যায়। ২টার পর কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান মোল্লা মাইকে ফলাফল ঘোষণা করলে ক্লাসরুম থেকে সব শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এসে কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান।
ফলাফল নিয়ে অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে অধ্যক্ষ মো.
তিনি বলেন, কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাই। আর যারা অকৃতকার্য হয়েছে তাদের জন্য সমবেদনা রইল। তোমরা জুলাই বিপ্লবে অংশ নেওয়ার কারণে হয়তো পরীক্ষার ফলাফল একটু খারাপ হয়েছে আগামীতে সব ঠিক হয়ে যাবে। জুলাই বিপ্লবে অংশ নেওয়ার কারণে শিক্ষার্থী ট্রামাটাইজ হয়ে পড়েন, এর মধ্যেই পরীক্ষায় অংশ নেওয়ায় ফলাফল একটু খারাপ হয়েছে।
অভিভাবকের উদ্দেশ্যে প্রিন্সিপাল মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, শিক্ষার্থীদের কোনোভাবেই বকাঝকা করবেন না, তাদের পাশে থেকে সাপোর্ট দেয়ার অনুরোধ করছি। এই সময় তাদের পাশে থাকা জরুরী।
২০১৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঢাকা বোর্ডে প্রথম স্থান অধিকার করে। ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠানটি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। এখান থেকে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজে এ প্রতিষ্ঠানের ৫১, সরকারি ডেন্টালে ৭ ও বুয়েট, রুয়েট, চুয়েট ও কুয়েটে ১৭ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ লাভ করে। সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজে সাড়ে ১৮ হাজার শিক্ষার্থী ও ৪৫০ শিক্ষক-কর্মকর্তা রয়েছেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এসএসস জন শ ক ষ র থ পর ক ষ ফল ফল
এছাড়াও পড়ুন:
এসএসসির ফল নিয়ে বগুড়া জিলা স্কুলে হট্টগোল
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে কেন্দ্র থেকে কম নম্বর দেওয়ার অভিযোগ তুলে হট্টগোল করেছেন ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেলে বগুড়া জিলা স্কুলে এই ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে মোট মান ৫০। এর জন্য কোনো লিখিত পরীক্ষা হয় না। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ব্যবহারিক কাজ, প্রজেক্ট তৈরি, উপস্থাপনা, বিতর্ক, কর্মশালা ইত্যাদি পর্যালোচনা করে স্কুল থেকে ২৫ নম্বর দেওয়া হয়। বাকি ২৫ নম্বর দেওয়া হয় কেন্দ্র থেকে। বগুড়া জিলা স্কুল কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া আট স্কুলের ৮৮৩ পরীক্ষার্থীর কেউ ২৫ নম্বরের বেশি পাননি। তবে এসব স্কুল থেকে দাবি করা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের তারা পুরো ২৫ নম্বর দিয়েছেন।
অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, ২৫ নম্বর কম দেওয়ায় সামগ্রিকভাবে ফল খারাপ হয়েছে। তবে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বগুড়া জিলা স্কুল কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, কেন্দ্র থেকে সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে। কারিগরি ত্রুটির কারণে নম্বর বাদ পড়তে পারে।
আরো পড়ুন:
পরিবারহীন ১২ বন্ধুর এসএসসি জয়
পটুয়াখালীতে ৪ বিদ্যালয়ে পাস করেনি কেউ
যে আট স্কুলের শিক্ষার্থীরা বগুড়া জিলা স্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন- বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, করনোশেন উচ্চ বিদ্যালয়, কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, সেন্ট্রাল উচ্চ বিদ্যালয়, বগুড়া পৌর উচ্চ বিদ্যালয়, ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল ও কলেজ, দারুল ইসলাম নৈশ স্কুল ও আলোর মেলা হাই স্কুল।
বগুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেলিমা নাসরিন বলেন, ‘‘কেন্দ্র থেকে শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ নম্বরই দেওয়া হয়েছে। এখন বোর্ড থেকে হোক বা আমাদের এখানে হোক কোনোভাবে ভুল হতে পারে। কিন্তু, আমরা কাউকে ইচ্ছে করে নম্বর কম দেইনি। তাহলে সবার কম আসত না।’’
সমাধানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আগামীকাল শুক্রবার অফিস বন্ধ। রবিবার আমরা বোর্ডে কথা বলি। তখন কোথায় ভুল হয়েছে দেখে সংশোধন করা যাবে। বিষয়টি অভিভাবকদের বুঝিয়ে বলা হয়েছে।’’
এ বিষয়ে বগুড়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফাইজুর রহমান বলেন, ‘‘এ বছর আমাদের স্কুল থেকে ২৫০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। সবাইকে ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে স্কুল থেকে ২৫ নম্বর দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র থেকে দেওয়া নম্বর যোগ হয়নি। ধারণা করছি, কারিগরি ত্রুটির কারণে এমনটি হয়েছে।’’
ঢাকা/এনাম/রাজীব