গোপালগঞ্জে এবার কোরবানির হাট কাঁপাবে ফ্রিজিয়ান ও শাহীওয়াল জাতের চারটি গরু। তাদের নাম রাখা হয়েছে—কালো পাহাড়, লালু, পাগলা-১ ও পাগলা-২। খামারি রাধেশ্যাম পোদ্দার এ গরুগুলো লালন-পালন করেছেন। একেকটি গরুর দাম ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮০ হাজার থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এসব গরু বিক্রিতে সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের স্থানীয় কার্যালয়।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সোনাকুড় গ্রামের খামারি রাধেশ্যাম পোদ্দার। পেশায় তিনি স্বর্ণ ব্যবসায়ী। বিগত বছরগুলোতে গরু বিক্রি করে লাভবান হওয়ায় এ বছরও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ১০ মাস ধরে ঘাস, খৈল, ভুষি, ভাতের মারসহ দেশীয় খাবার খাইয়ে সন্তানের মতো লালন-পালন করছেন চারটি গরু। এসব গরুর ওজন ৫৫০ থেকে ৭৫০ কেজির মধ্যে।

রাধেশ্যাম পোদ্দারের চারটি গরু নিয়ে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন পুরো এলাকায়। প্রতিদিনই গ্রামাবাসী ও ব্যবসায়ীরা তার গরু দেখতে আসছেন। 

গরুর মালিক রাধেশ্যাম পোদ্দার বলেছেন, স্বর্ণ ব্যবসার পাশাপাশি বাড়তি জায়গা থাকায় গরু পালন শুরু করি। বিগত বছরগুলোতে গরু বিক্রি করে ভালোই লাভ হয়েছে। তাই, এ বছর চারটি গরু পালন করেছি। এসব গরুর পিছনে প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার টাকা খরচ হয়। একেকটি গরুর ওজন হবে ৫৫০ থেকে ৭৫০ কেজি। এর মধ্যে কালো পাহাড়, লালু ও পাগলা-১ এর দাম ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং পাগলা-২ এর দাম ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। চাহিদামতো দাম পেলে সব গরু বিক্রি করে দেবো।

সোনাকুড় গ্রামের বাসিন্দা জামাল শেখ বলেন, রাধেশ্যাম পোদ্দার এবার চারটি গরু পালন করেছেন। এগুলো আমাদের গ্রামের মধ্যে সবেচেয়ে বড় গরু। পরম যত্ন করে দেশীয় খাবার খাইয়ে গরুগুলো বড় করেছেন তিনি। প্রতিদিনই এলাকার লোকজন এসব গুরু দেখতে যান। গরুগুলো দেখে আমাদের খুব ভালো লেগেছে।

ফরিদপুর থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী সেকেন্দার আলী বলেন, জানতে পেরেছি, রাধেশ্যাম পোদ্দার দেশীয় খাবার খাইয়ে গরু লালন-পালন করেছেন। এ ধরনের গরুর চাহিদা বেশি থাকায় দেখতে আসলাম। দামে মিললে গরু কিনে নিয়ে যাব।

গোপালগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গোবিন্দ চন্দ্র সরদার বলেছেন, খামারি রাধেশ্যাম পোদ্দার চারটি গরু লালন-পালন করেছেন। আমরা তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছি। এই খামারি যাতে ন্যায্য মূল্যে গরু বিক্রি করতে পারেন, সে বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

ঢাকা/রফিক 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল খ ৮০ হ জ র গ প লগঞ জ ব যবস এসব গ

এছাড়াও পড়ুন:

গোপালগঞ্জে হাট কাঁপাবে কালো পাহাড়, লালু, পাগলা-১ ও পাগলা-২

গোপালগঞ্জে এবার কোরবানির হাট কাঁপাবে ফ্রিজিয়ান ও শাহীওয়াল জাতের চারটি গরু। তাদের নাম রাখা হয়েছে—কালো পাহাড়, লালু, পাগলা-১ ও পাগলা-২। খামারি রাধেশ্যাম পোদ্দার এ গরুগুলো লালন-পালন করেছেন। একেকটি গরুর দাম ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮০ হাজার থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এসব গরু বিক্রিতে সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের স্থানীয় কার্যালয়।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সোনাকুড় গ্রামের খামারি রাধেশ্যাম পোদ্দার। পেশায় তিনি স্বর্ণ ব্যবসায়ী। বিগত বছরগুলোতে গরু বিক্রি করে লাভবান হওয়ায় এ বছরও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ১০ মাস ধরে ঘাস, খৈল, ভুষি, ভাতের মারসহ দেশীয় খাবার খাইয়ে সন্তানের মতো লালন-পালন করছেন চারটি গরু। এসব গরুর ওজন ৫৫০ থেকে ৭৫০ কেজির মধ্যে।

রাধেশ্যাম পোদ্দারের চারটি গরু নিয়ে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন পুরো এলাকায়। প্রতিদিনই গ্রামাবাসী ও ব্যবসায়ীরা তার গরু দেখতে আসছেন। 

গরুর মালিক রাধেশ্যাম পোদ্দার বলেছেন, স্বর্ণ ব্যবসার পাশাপাশি বাড়তি জায়গা থাকায় গরু পালন শুরু করি। বিগত বছরগুলোতে গরু বিক্রি করে ভালোই লাভ হয়েছে। তাই, এ বছর চারটি গরু পালন করেছি। এসব গরুর পিছনে প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার টাকা খরচ হয়। একেকটি গরুর ওজন হবে ৫৫০ থেকে ৭৫০ কেজি। এর মধ্যে কালো পাহাড়, লালু ও পাগলা-১ এর দাম ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং পাগলা-২ এর দাম ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। চাহিদামতো দাম পেলে সব গরু বিক্রি করে দেবো।

সোনাকুড় গ্রামের বাসিন্দা জামাল শেখ বলেন, রাধেশ্যাম পোদ্দার এবার চারটি গরু পালন করেছেন। এগুলো আমাদের গ্রামের মধ্যে সবেচেয়ে বড় গরু। পরম যত্ন করে দেশীয় খাবার খাইয়ে গরুগুলো বড় করেছেন তিনি। প্রতিদিনই এলাকার লোকজন এসব গুরু দেখতে যান। গরুগুলো দেখে আমাদের খুব ভালো লেগেছে।

ফরিদপুর থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী সেকেন্দার আলী বলেন, জানতে পেরেছি, রাধেশ্যাম পোদ্দার দেশীয় খাবার খাইয়ে গরু লালন-পালন করেছেন। এ ধরনের গরুর চাহিদা বেশি থাকায় দেখতে আসলাম। দামে মিললে গরু কিনে নিয়ে যাব।

গোপালগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গোবিন্দ চন্দ্র সরদার বলেছেন, খামারি রাধেশ্যাম পোদ্দার চারটি গরু লালন-পালন করেছেন। আমরা তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছি। এই খামারি যাতে ন্যায্য মূল্যে গরু বিক্রি করতে পারেন, সে বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

ঢাকা/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ