গোপালগঞ্জে হাট কাঁপাবে কালো পাহাড়, লালু, পাগলা-১ ও পাগলা-২
Published: 30th, May 2025 GMT
গোপালগঞ্জে এবার কোরবানির হাট কাঁপাবে ফ্রিজিয়ান ও শাহীওয়াল জাতের চারটি গরু। তাদের নাম রাখা হয়েছে—কালো পাহাড়, লালু, পাগলা-১ ও পাগলা-২। খামারি রাধেশ্যাম পোদ্দার এ গরুগুলো লালন-পালন করেছেন। একেকটি গরুর দাম ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮০ হাজার থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এসব গরু বিক্রিতে সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের স্থানীয় কার্যালয়।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সোনাকুড় গ্রামের খামারি রাধেশ্যাম পোদ্দার। পেশায় তিনি স্বর্ণ ব্যবসায়ী। বিগত বছরগুলোতে গরু বিক্রি করে লাভবান হওয়ায় এ বছরও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ১০ মাস ধরে ঘাস, খৈল, ভুষি, ভাতের মারসহ দেশীয় খাবার খাইয়ে সন্তানের মতো লালন-পালন করছেন চারটি গরু। এসব গরুর ওজন ৫৫০ থেকে ৭৫০ কেজির মধ্যে।
রাধেশ্যাম পোদ্দারের চারটি গরু নিয়ে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন পুরো এলাকায়। প্রতিদিনই গ্রামাবাসী ও ব্যবসায়ীরা তার গরু দেখতে আসছেন।
গরুর মালিক রাধেশ্যাম পোদ্দার বলেছেন, স্বর্ণ ব্যবসার পাশাপাশি বাড়তি জায়গা থাকায় গরু পালন শুরু করি। বিগত বছরগুলোতে গরু বিক্রি করে ভালোই লাভ হয়েছে। তাই, এ বছর চারটি গরু পালন করেছি। এসব গরুর পিছনে প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার টাকা খরচ হয়। একেকটি গরুর ওজন হবে ৫৫০ থেকে ৭৫০ কেজি। এর মধ্যে কালো পাহাড়, লালু ও পাগলা-১ এর দাম ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং পাগলা-২ এর দাম ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। চাহিদামতো দাম পেলে সব গরু বিক্রি করে দেবো।
সোনাকুড় গ্রামের বাসিন্দা জামাল শেখ বলেন, রাধেশ্যাম পোদ্দার এবার চারটি গরু পালন করেছেন। এগুলো আমাদের গ্রামের মধ্যে সবেচেয়ে বড় গরু। পরম যত্ন করে দেশীয় খাবার খাইয়ে গরুগুলো বড় করেছেন তিনি। প্রতিদিনই এলাকার লোকজন এসব গুরু দেখতে যান। গরুগুলো দেখে আমাদের খুব ভালো লেগেছে।
ফরিদপুর থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী সেকেন্দার আলী বলেন, জানতে পেরেছি, রাধেশ্যাম পোদ্দার দেশীয় খাবার খাইয়ে গরু লালন-পালন করেছেন। এ ধরনের গরুর চাহিদা বেশি থাকায় দেখতে আসলাম। দামে মিললে গরু কিনে নিয়ে যাব।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গোবিন্দ চন্দ্র সরদার বলেছেন, খামারি রাধেশ্যাম পোদ্দার চারটি গরু লালন-পালন করেছেন। আমরা তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছি। এই খামারি যাতে ন্যায্য মূল্যে গরু বিক্রি করতে পারেন, সে বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
ঢাকা/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল খ ৮০ হ জ র গ প লগঞ জ ব যবস এসব গ
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে অঝোরে বৃষ্টি, রাস্তায় পানি, আশঙ্কা পাহাড়ধসের
চট্টগ্রাম নগরে আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে নগরের কয়েকটি এলাকায় পানি জমে গেছে। ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ভোর পাঁচটার দিকে চট্টগ্রামে বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল ৯টা নাগাদ বৃষ্টির তীব্রতা বেড়ে যায়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি ঝরছে।
টানা বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম নগরের সড়কগুলোয় যানবাহনের সংখ্যা বেশ কম দেখা গেছে। ব্যস্ততম মোড়গুলোয় যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশা আর রিকশাও ছিল কম। এতে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী মানুষজন। এ ছাড়া সন্তানদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ে যেতে যেসব অভিভাবক বাইরে বের হয়েছেন, তাঁদেরও দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা যায়। দীর্ঘ সময় পর যানবাহন পেলেও অনেকে বাড়তি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে ছোটেন।
আবহাওয়ায় অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের পতেঙ্গা কার্যালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা) চট্টগ্রামে ৫৭ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আরও দুই থেকে তিন দিন বৃষ্টি হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামে পাহাড় ও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সড়কে পানি জমেছে। এ কে খান সি–গেট এলাকা, চট্টগ্রাম, ৩১ জুলাই, সকাল সাড়ে ১০টায় তোলা