শেরপুরে আবারও নদ-নদীর বাড়ছে পানি, চেল্লাখালীর পানি বিপৎসীমার ওপরে
Published: 30th, May 2025 GMT
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। এতে জেলার চারটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে। এর মধ্যে চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়তে থাকায় বন্যার শঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর ১২টায় চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ ছাড়া ভোগাই ও শেরপুরে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে। ঝিনাইগাতীতে মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি রাত থেকে বাড়তে শুরু করেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা জেলায়ও গত বুধবার রাত থেকে বৃষ্টি বেড়েছে। ফলে মেঘালয় থেকে নেমে আসা ঢলে জেলার চেল্লাখালী, ভোগাই, মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।
পাউবোর শেরপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আখিনুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, জেলার চারটি নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় পাহাড়ি ঢলে নদী রক্ষা বাঁধের কোনো ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই। আজ ও আগামীকাল বৃষ্টি না হলে নদীর পানি কমে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
নালিতাবাড়ী উপজেলার চেল্লাখালী নদীর পাড়ের সন্ন্যাসীভিটা গ্রামের বাসিন্দা আক্কাছ আলী বলেন (৫০), ‘বৃহস্পতিবার রাত থাইক্যা নদীতে যেমনে ঢলের পানি আসা শুরু হইছে। এতে আমরা বন্যার আশঙ্কা করতাছি। অহন যদি বৃষ্টিও না কমে আর পানিও আরও বাড়ে, তাইলে আমরা বিপদে পড়মু।’
ঝিনাইগাতীর দিঘিরপাড় এলাকার গৃহিণী আছমত আরা (৩৮) বলেন, ‘কয় দিন আগেই বন্যার কাছ থাইক্যা আল্লাহ বাঁচাইছে। অহন আবার যেমন কইরা বৃষ্টি হইতাছে আর মহারশির পানি বাড়তাছে, কহন জানি বন্যা হয়।’
আরও পড়ুনগভীর নিম্নচাপে সারা দেশে প্রচুর বৃষ্টি, ৬ জেলায় বন্যার শঙ্কা৭ ঘণ্টা আগেবাঘবেড় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নূরে আলম প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে চেল্লাখালী নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। ঢলের পানি আর বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নদ নদ র প ন ব পৎস ম র র আশঙ ক বন য র র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রদল ও বাম জোটের ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের’ প্রতিবাদ শিবিরের
ছাত্রদল ও বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে অভিযোগ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। শনিবার সংগঠনটির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বিবৃতিতে বলেছেন, নব্য ফ্যাসিবাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে ছাত্রদল ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো।
শিবিরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী নিপীড়ন, নারী নির্যাতন, চাঁদাবাজি, মাদক বাণিজ্য, ছিনতাই, সিট দখল, অপপ্রচার, ট্যাগিং, র্যাগিং ও হামলাসহ অপরাধমূলক সংস্কৃতি অব্যাহত রয়েছে। ঢাকা ও কক্সবাজার পলিটেকনিক, সরকারি গ্রাফিক্স আর্টস কলেজ, কুয়েটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে সন্ত্রাস ও অপরাজনীতির উদাহরণ তৈরি করেছে।
চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে ভর্তিচ্ছুদের জন্য স্থাপিত শিবিরের হেল্প ডেস্কে হামলার জন্য ছাত্রদলকে দায়ী করে বিবৃতি বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ইসলামিয়া কলেজ ও রংপুরেও বাঁধা দিয়েছে। শুক্রবার ফরিদপুরে ইভটিজিংয়ে বাঁধা দেওয়ায় কলেজছাত্রীকে নির্যাতন করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। নারীবাদীরা ছাত্রদলের এ ধরনের গুরুতর অপরাধে মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকে।
শিবিরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ায় দুই নারী শিক্ষার্থীকে হল ছাড়া করার হুমকি দেয় ছাত্রদল। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঢাকতে বাম ছাত্রসংগঠনগুলোকে ব্যবহার করে ক্যাম্পাসে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। ছাত্রদল ও বাম জোটের ট্যাগিং ও দায় চাপানোর রাজনীতিও চলছে পুরনো কায়দায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শিবির মারা জায়েজ ছিল, জায়েজ আছে, জায়েজ থাকবে’- লিখে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রদল নেতা আহনাফ তাহমিদ অর্জন। লাশের রাজনীতির বৈধতার বয়ান উৎপাদনে ছাত্র ইউনিয়ন নেতা শাহরিয়ার ইব্রাহিম আবরার ফাহাদের হত্যা জায়েজ ছিল বলে অভিমত দেন।