লাতিন আমেরিকার ফুটবল উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করল ব্রাজিল। সাম্প্রতিক সময়ের সমালোচনার জবাব দিলো ঘরের মাঠে আক্রমণভিত্তিক এক অনবদ্য পারফরম্যান্সে। বুধবার ভোরে (বাংলাদেশ সময়) তারা ১-০ ব্যবধানে হারালো প্যারাগুয়েকে, যার ফলে নিশ্চিত করল ২০২৬ বিশ্বকাপের মূল পর্বের টিকিট।
গোলের জন্য শুরু থেকে মরিয়া ছিল ব্রাজিল। একুয়েডরের বিপক্ষে নিষ্প্রভ খেলা ভুলে গিয়ে রাফিনিয়া এবং ভিনিসিউস জুনিয়র মিলে গড়ে তুলেন একের পর এক আক্রমণ। প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ হাতছাড়া হলেও বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ব্রাজিল সমর্থকরা। এসময় ভিনিসিউস ছিলেন ঠিক জায়গায়, সঠিক সময়ে। এরপর কুইয়ার কাটব্যাক থেকে বল জালে পাঠিয়ে দলের হয়ে প্রথম গোলটি করেন তিনি। যা আনচেলত্তির কোচিংয়ে ব্রাজিলের প্রথম আন্তর্জাতিক গোলও বটে।
দ্বিতীয়ার্ধেও ব্রাজিলের দাপট অব্যাহত ছিল। মাঝমাঠে ব্রুনো গিমারাইস ছিলেন কার্যকর, তার একটি শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন প্যারাগুয়ের ডিফেন্ডার কাসেরেস। অন্যদিকে, প্যারাগুয়ের আক্রমণভাগ ছিল অনেকটাই নীরব। পুরো ম্যাচে তারা মাত্র একবার লক্ষ্যে শট নিতে সক্ষম হয়, সেটিও ফিরিয়ে দেন অভিজ্ঞ গোলরক্ষক আলিসন।
আরো পড়ুন:
প্রথমবার ফুটবল বিশ্বকাপে উজবেকিস্তান, জর্ডান
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬: সূচি ও ভেন্যু ঘোষণা
এই জয়ে ব্রাজিল ১৬ ম্যাচ শেষে সংগ্রহ করেছে ২৫ পয়েন্ট। আপাতত তারা অবস্থান করছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। যদিও একুয়েডর সুযোগ পেলে তাদের টপকে যেতে পারে।
কার্লো আনচেলত্তির অধীনে এটি ছিল ব্রাজিলের গুরুত্বপূর্ণ জয়। আগের ম্যাচে সমালোচিত হওয়ার পর দলীয় আত্মবিশ্বাসে এই তিন পয়েন্ট বড় ধরনের জ্বালানি হিসেবে কাজ করবে। সামনে আরও কঠিন প্রতিপক্ষ অপেক্ষা করছে, তবে ব্রাজিলের এই ম্যাচের পারফরম্যান্স ফুটবল প্রেমীদের মনে করিয়ে দিয়েছে তারা এখনও দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম শক্তি।
ঢাকা/আমিনুল/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বক প ফ টবল ব শ বক প
এছাড়াও পড়ুন:
জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা
জাপানে পড়াশোনা করার আগ্রহ থাকতে পারে অনেকের। এ আগ্রহে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দারুণ এক সুযোগ নিয়ে এসেছে দেশটির হোনজো ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশনের হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ ২০২৬-এ আবেদন শুরু হয়েছে। এই মর্যাদাপূর্ণ জাপানি বৃত্তির মাধ্যমে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যাবে। এতে রয়েছে আংশিক অর্থায়নের বৃত্তির পাশাপাশি মাসিক ভাতা, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এই আন্তর্জাতিক বৃত্তি মূলত তাঁদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার লক্ষ্যেই প্রদান করা হয়। পাশাপাশি এটি জাপান এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করবে।
হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপের উদ্দেশ্য—১৯৯৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে হোনজো ফাউন্ডেশনকে আন্তর্জাতিক বৃত্তি সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেন টাউন লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মাসানরি হোনজো। তিনি ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক মূলধন হিসেবে ২০ কোটি ইয়েন নগদ অর্থ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ শেয়ার দান করেন এ বৃত্তির জন্য। হোনজো ফাউন্ডেশন উন্নয়নশীল দেশের সেই সব শিক্ষার্থীকে সাহায্য করে, যাঁরা ভবিষ্যতে নিজেদের দেশকে উন্নয়নের পথে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন। পাশাপাশি জাপানি শিক্ষার্থীরাও বিদেশে পড়াশোনার জন্য এ বৃত্তি পেয়ে থাকেন, যা বৈশ্বিক সংযোগ ও আন্তর্জাতিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
আবেদনে যোগ্যতার শর্ত
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে—
—জাপান ব্যতীত সব দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
—আবেদনকারীকে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া কোনো গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে বা ভর্তির পরিকল্পনা থাকতে হবে।
—বর্তমান শিক্ষার্থী, যাঁরা এখনো ভর্তি হননি বা কর্মরত, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন, যদি তাঁরা এপ্রিল ২০২৬-এ ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা করেন।
—যাঁরা ২০২৫ সালের শরৎকালীন সেমিস্টারে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁরাও এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
—প্রফেশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কুলে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা সাধারণত যোগ্য নন, তবে বৈধ গবেষণা পরিকল্পনা জমা দিতে পারলে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।
বয়সসীমা—পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।
—মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
—পড়াশোনা শেষ করার পর নিজ দেশের উন্নয়নে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে।
—আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতি আগ্রহী হতে হবে এবং ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও অ্যালামনাই নেটওয়ার্কে অংশগ্রহণ করতে হবে।
—দৈনন্দিন কথোপকথনের মতো জাপানি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে, কারণ, সাক্ষাৎকার কেবল জাপানি ভাষায় হবে।
বৃত্তির সুবিধা
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপক আর্থিক ও একাডেমিক সহায়তা প্রদান করে:
১। পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ।
২। মাসিক ভাতা।
—১ বা ২ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার ইয়েন।
—৩ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ১০ হাজার ইয়েন।
—৪ বা ৫ বছরের কোর্সের জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন।
—জাপানে যাওয়ার জন্য ট্রাভেল গ্র্যান্ট দেওয়ার সুযোগ থাকতে পারে।
—আর্থিক দুশ্চিন্তা ছাড়াই পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ।
—জাপানের সংস্কৃতিময় জীবনযাত্রা উপভোগের পাশাপাশি পড়াশোনার সুযোগ।
—বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্লোবাল নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার সুযোগ।
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তিতে শিক্ষার্থীরা পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ পাবেন এবং পাবেন মাসিক ভাতা।