শেষ হয়েছে ৫৮ দিনের প্রতীক্ষা। আবারও জীবিকার টানে সাগরে নেমেছেন লক্ষ্মীপুর উপকূলের হাজারো জেলে। ইলিশের আশায় বুক বেঁধে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ছুটছেন তারা। সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নতুন উদ্যমে মুখর হয়ে উঠেছে উপকূলের ট্রলারঘাট, আড়ত ও বরফকলগুলো। 
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর, সদর উপজেলাসহ রামগতি, কমলনগর ও চর আলেকজান্ডার এলাকার অন্তত ২০ হাজার জেলে এখন সাগরমুখী। জাল, জ্বালানি, খাবার আর বরফ বোঝাই করে তারা পাড়ি জমাচ্ছেন গভীর সমুদ্রে ইলিশের খোঁজে। মৎস্য আড়তগুলোতেও ফিরেছে চিরচেনা কোলাহল। পাইকারদের হাঁকডাক, জেলেদের ব্যস্ততা আর আড়তদারদের দরদামে মুখর হয়ে উঠেছে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। বরফকলগুলোতেও চলছে পুরোদমে উৎপাদন। 
প্রতি বছরের মতো এবারও ইলিশসহ ৪৭৩ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ ছিল। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে এ সময় সাগরে নামা থেকে বিরত ছিলেন উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেরা। 
রামগতির বড়খেরী এলাকার জেলে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এবার সবাই নিষেধাজ্ঞা মেনে চলেছে। ইলিশ উঠছে, তবে সাইজে একটু ছোট।’
একই এলাকার সবুজ মাঝি বলেন, নৌকায় ৩ লাখ টাকার মালপত্র নিয়ে তারা সাগরে মাছ ধরতে গেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমবার জাল টানতেই ইলিশ উঠেছে, যার দাম আনুমানিক ২০ হাজার টাকা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকে আশ্রয় দেওয়ায় তাঁতী দলের নেতা বহিষ্কার

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিনকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত মোহাম্মদ সৈকত উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি ছিলেন। আজ শুক্রবার বিকেলে জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক ইকবাল করিম সোহেল ও সদস্যসচিব মোরশেদ আলমের যৌথ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি মূল্যায়নে ব্যর্থ হওয়ায় হাতিয়া উপজেলা তাঁতী দলের দক্ষিণ কমিটিকে সতর্ক করা হয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের জোড়খালী গ্রামে সৈকতের বাড়ি থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে হাতিয়া থানা–পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ সৈকত সম্পর্কে ফুফা–ভাগনে।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ সৈকত প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে অনেকগুলো পরিবার থাকে। আমি ব্যবসার কাজে দিনের বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকি। আলাউদ্দিন কখন বাড়িতে এসেছেন, তা আমার জানা নেই। আমাদের ঘর থেকে তাঁর শ্বশুরদের ঘর অনেক দূরে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে।’

নোয়াখালী জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম বলেন, আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকে আত্মগোপনে থাকার সুযোগ করে দেওয়ায় মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের তাঁতী দল কমিটিকেও সতর্ক করা হয়েছে।

আরও পড়ুনহাতিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে পালিয়ে থাকা সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার৩১ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ