বগুড়ার ধুনট উপজেলায় গ্রাম্য সালিশে বেত্রাঘাত ও জরিমানা করার জেরে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতাসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। পরে মামলা হলে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে গ্রামের এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর জেরে বিয়ের দাবিতে যুবকের বাড়িতে অবস্থান নেন গৃহবধূ। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক এস এম জাকিরের নেতৃত্বে শুক্রবার রাতে সালিশ বৈঠক বসে।

বৈঠকে যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে ৫০টি বেত্রাঘাত ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে যুবকের বড় ভাই প্রতিবাদ করায় সংঘর্ষ হয়। এতে ছাত্রদল নেতা জাকিরসহ ছয়জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে জাকিরসহ দু’জনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অভিযুক্ত যুবকের বড় ভাই বলেন, ‘ছাত্রদল নেতা জাকির ও তার পরিবারের সদস্যদের অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তারা প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে সুবিধা আদায় করছে।’

ছাত্রদল নেতা এস এম জাকির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাকেসহ আমার স্বজনের ওপর হামলা করে আহত করা হয়েছে।’ ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এতে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আহত ছ ত রদল ছ ত রদল ন ত য বক র

এছাড়াও পড়ুন:

মিরপুরে ‘মবের’ শিকার পুলিশ কর্মকর্তা

রাজধানীর মিরপুরে বাজার করতে গিয়ে মাসুদুর রহমান নামের একজন পুলিশ পরিদর্শক ‘মবের’ শিকার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে মারধর করে নগদ টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। পরে মিরপুর থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রাতে যোগাযোগ করা হলে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ রোমন প্রথম আলোকে বলেন, বেলা ১১টার দিকে পুলিশ পরিদর্শক মাসুদুর রহমান মিরপুর–৬ নম্বর সেকশনের কাঁচাবাজারে যান। এ সময় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের একদল নেতা–কর্মী তাঁকে মারধর করে তাঁর কাছ থেকে মুঠোফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেন। খবর পেয়ে মিরপুর থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে এবং জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনাস্থল পল্লবী থানার আওতায় হওয়ায় পরে তাঁদের সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় মামলা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মাসুদুর রহমান ২০১৭ সালের আগে পুলিশের মিরপুর বিভাগের বিভিন্ন থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সে কারণে তাঁকে স্থানীয় লোকজন চেনেন। পরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর তিনি রাজবাড়ীর দুটি থানায় ওসি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তিনি এখন ফরিদপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত। তবে তাঁর পরিবার ঢাকার পল্লবীতে থাকে। সে জন্য তিনি ফরিদপুর থেকে মাঝেমধ্যে ঢাকায় আসেন।

রাতে এ বিষয়ে জানতে পল্লবী থানার ওসি শফিউল আলমের মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ত্রাণবাহী জাহাজ ‘ম্যাডলিন’ থেকে আটক ৬ অধিকারকর্মীকে ছাড়ল ইসরায়েল
  • মিরপুরে ‘মবের’ শিকার পুলিশ কর্মকর্তা