চেলসির ম্যাচে ৫০ হাজার ফাঁকা আসন, কেন এই দুরবস্থা
Published: 17th, June 2025 GMT
লস অ্যাঞ্জেলেস এফসির বিপক্ষে বাংলাদেশ সময় গতকাল রাতে ২–০ গোলের জয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করেছে চেলসি। তবে জয়–পরাজয় ছাপিয়ে ম্যাচ শেষে বড় হয়ে উঠেছে ফাঁকা গ্যালারি। চেলসির জয়ের ম্যাচে মার্সিডিস–বেঞ্জ স্টেডিয়ামের ৭১ হাজার আসনের মধ্যে পূর্ণ ছিল কেবল ২২ হাজার ১৩৭ আসন।
অর্থাৎ প্রায় ৫০ হাজারের মতো আসন ছিল খালি। অথচ এমন নয় যে এই ম্যাচে দুটি বিদেশি দল খেলেছে। এই ম্যাচে চেলসির প্রতিপক্ষ লস অ্যাঞ্জেলেস যুক্তরাষ্ট্রেরই দল। কিন্তু তারাও মাঠে দর্শক আনতে পারেনি।
ম্যাচ শেষে ফাঁকা মাঠে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছেন চেলসি কোচ এনজো মারেসকা, ‘আমার মনে হয় পরিবেশ কিছুটা উদ্ভট। স্টেডিয়াম প্রায় খালিই ছিল। আমরা পেশাদার এবং আমাদের পরিবেশ ও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। যখন দর্শকপূর্ণ স্টেডিয়ামে খেলা হয়, তখনো মানিয়ে নিতে হয়। আবার দর্শক না থাকলেও মানিয়ে নিতে হয়। এগুলো কোনো বিষয় নয়।’
সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ফিফার প্রত্যাশা ছিল ২৬ হাজারের মতো দর্শক মাঠে উপস্থিত থাকবে। কিন্তু ছোট মধ্যবর্তী একটি গ্যালারিই কেবল পূর্ণ হয়েছে। নিচের বড় গ্যালারিতে অর্ধেকের বেশি আসন খালি ছিল। সব মিলিয়ে এত কমসংখ্যক দর্শকের উপস্থিতি হতাশ করেছে সবাইকে।
আরও পড়ুনখাদ্যে বিষক্রিয়ায় ইতালিতে ২১ ফুটবলার অসুস্থ, ১৬ জন হাসপাতালে১৩ ঘণ্টা আগেম্যাচের আগে সবচেয়ে কম দামের টিকিটটি পাওয়া গেছে ৩৭ পাউন্ডে। তবে খেলা চলাকালীন অনলাইনে টিকেটের দাম কমে দাঁড়ায় ২৬ পাউন্ড। কিন্তু এরপরও স্টেডিয়ামমুখী হননি দর্শকেরা।
সাম্প্রতিক সময়ে ক্লাব বিশ্বকাপ দর্শকদের আগ্রহ জাগাতে পারছে কি না, তা নিয়ে বেশ আলোচনা শোনা যাচ্ছে। চেলসি ম্যাচের পর সেই আলোচনা নিশ্চিতভাবে আরও বাড়বে।
চেলসি ম্যাচে ফাঁকা গ্যালারি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব
বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি
২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।
তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।
কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন