নতুন রাজনৈতিক ভাবনা, নতুনদের ভাবনায় রাজনীতি
Published: 17th, June 2025 GMT
এক কাঠমিস্ত্রি সন্ধ্যাবেলায় ঘরের চাল থেকে ঠাস করে পড়ে গেলেন। উদ্বিগ্ন বাড়িওয়ালা দৌড়ে এসে বললেন, ‘আহা রে ভাই! খুব কি ব্যথা পেলেন?’ কিঞ্চিৎ বিব্রত মিস্ত্রি কোমরের ব্যথা দাঁতে চেপে কাষ্ঠহাসি দিয়ে বলেন, ‘আরে না না; আমি তো এভাবেই চাল থেকে নামি।’
আমাদের কিছু কিছু রাজনীতিকের ইদানীংকার কথাবার্তা গ্রামাঞ্চলে প্রচলিত এ গল্পের কাঠমিস্ত্রির মতো মনে হচ্ছে। তাঁদের কথাবার্তায় বোঝা যাচ্ছে, তাঁরা যা বলছেন, তা সত্য কথা না; ঠিক কথা না; ন্যায্য কথা না; বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ কথা না। তাঁরা আগে যে রকম এলোমেলো ও অপ্রাসঙ্গিক কথা বলতেন, পরিবর্তিত নতুন বাংলাদেশেও তাঁদের সে স্বভাব বদলায়নি।
কেউ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ধর্মবিশ্বাস নিয়ে অবান্তর প্রশ্ন উত্থাপন করছেন। কেউ প্রস্রাব-প্রবাহে প্রতিপক্ষকে ভাসিয়ে দেওয়ার মতো অশোভন বচনের উৎসারণে রাজনৈতিক পরিবেশকে পূতিগন্ধময় করে তুলছেন। গত ১৫ বছর যে নেতাকে উচ্চ স্বরে কথা বলতে শোনা যায়নি, তাঁকেও এখন যাকে–তাকে হুমকি–ধমকি দিতে দেখা যাচ্ছে।
তবে কি দেড় দশকের নিয়ন্ত্রিত রাজনীতির পর হঠাৎ পাওয়া স্বাধীন পরিবেশে কথার খই ফোটা শুরু হলো? নাকি ফ্যাসিবাদী জামানার রেখে যাওয়া সংস্কৃতিতে ‘সংস্কৃতিমান’ হওয়ার ধারাই রয়ে গেল?
নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সাধারণ সম্পাদক পলাতক ওবায়দুল কাদেরের অনলাইন সাক্ষাৎকার বলে দিচ্ছে, তাঁরা আগে দেশে ফিরে রাজনীতি করার সুযোগ প্রতিষ্ঠা করতে চান। ভোট ডাকাতি, হত্যাকাণ্ড, দুর্নীতিসহ কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাওয়া তো দূরের কথা, এসব অভিযোগের সত্যতা স্বীকারই তাঁরা করতে রাজি নন। তাঁরা চান, তাঁদের বিরুদ্ধে চলমান বিচারপ্রক্রিয়া কবর দেওয়া হোক।
তার মানে, সংশ্লিষ্ট রাজনীতিকদের আচরণে পরিবর্তন খুব একটা আসেনি—এ কথা ধরেই নেওয়া যায়। আবার এমনও হতে পারে, ক্ষমতা হারিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা এতটাই দিশাহারা হয়ে গেছেন যে তাঁরা সুস্থভাবে চিন্তাই করতে পারছেন না।
অন্যদিকে দ্বিমেরু রাজনীতির একটি (আওয়ামী লীগ) ভেঙে যাওয়ায় অপরটি (বিএনপি) এখন ‘যথার্থ শত্রু’ খুঁজে পাচ্ছে না এবং সে কারণে এর কিছু নেতা পুরোনো ধাঁচে কল্পিত শত্রুকে আক্রমণ করছেন। আর এটি তাঁরা করছেন নিজেদের উপযোগিতা ও অবস্থান জাহির করার জন্য। সম্ভবত এসব সেকেলে রাজনীতিকদের যখন-তখন যাকে ইচ্ছা তাকে গলা ফাটিয়ে গালমন্দ করাকেই রাজনীতি জ্ঞান করেন।
তাঁদের ঘরানার রাজনীতিটা যে এ সমাজে আর চলে না, তা আরেকবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের লন্ডন বৈঠকের ঘটনা প্রমাণ করেছে। দ্রুত নির্বাচনকেন্দ্রিক দাবি নিয়ে কিছু বক্তা যে রাজনৈতিক অচলাবস্থার সৃষ্টি করেছিলেন, এই বৈঠকের পর সে অচলাবস্থাকে অনেকটাই সচল করেছে। সমঝোতার রাজনীতির বরফ গলা শুরু করেছে।
রাজনীতিকদের যে অংশ বুঝে বা না বুঝে দেশকে সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছিলেন, তাঁরা হয়তো ভাবতে পারছেন না, ভবিষ্যতে নির্বাচন হবে, নতুন নির্বাচিত সরকার আসবে; কিন্তু রাজনীতি না বদলালে তাঁদের নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে সংকটে পড়বেন; জনগণ তো তথাকথিত সুশাসন পাবেই না।
মোটাদাগে সম্প্রতি জ্যেষ্ঠ রাজনীতিকদের উল্লেখযোগ্য অংশ যেসব বক্তব্য দিচ্ছিলেন, সেগুলোর সঙ্গে মাঠ বাস্তবতার তেমন কোনো সংযোগ নেই।
মাঠে, ঘাটে, বাজারে, রাস্তায়, ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক ক্যাডার ও রাজনীতি ব্যবসাটির চেহারা দেখে অনেক মানুষ বলছিল, পরিবর্তন কোথায় হয়েছে এবং ভবিষ্যতে হবে, তারা ঠিক বুঝতে পারছে না।
জুলাই-আগস্ট ২০২৪-এ নিজেরা গুলির সামনে বুক পেতে দিয়ে রাজনৈতিক কর্মী-সমর্থকনির্বিশেষে সর্বসাধারণকে এক কাতারে আনতে পেরেছিল ‘আই হেইট পলিটিকস’ প্রজন্মের তরুণেরা। রাজনীতি সর্বদা এতটাই নতুন!
সেই মানুষকেই এখনো সংযুক্ত করতে পারেনি তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি। প্রমাণ: তাঁদের জনসভার উপস্থিতি এবং শুধু এক প্রজন্মের নেতৃত্ব (মুরব্বিদের অনুপস্থিতি)। প্রাথমিকভাবে তাঁরা হয়তো সরল সমীকরণে নতুন রাজনীতিকে অতীতের প্রায় সবকিছু বাদ দিয়ে বিবেচনা করেছিলেন।
যে মুহূর্তে দেশ ও সমাজ সত্যিকারের পরিবর্তন ও নতুন এক জামানায় প্রবেশের অপেক্ষায়, ‘বড়দের’ নতুন রাজনীতি এবং ‘ছোটদের’ রাজনৈতিক ভাবনার মধ্যে তখন ব্যাপক ফারাক। তরুণদের ঘাটতি অভিজ্ঞতায় আর অনেক জ্যেষ্ঠ রাজনীতিকের সমস্যা পরের প্রজন্মকে না বোঝার বা না মানার।আবার বিপরীত ধারার জামায়াতে ইসলামী এবং বামপন্থী দলগুলো পুরোনো প্রজন্মের রাজনীতির ধারক; কিন্তু ছাত্রশিবিরের মাধ্যমে জামায়াতে নতুন মুখ দেখা গেলেও তার গণভিত্তির শক্তি এখনো নির্বাচনে পরীক্ষিত নয় এবং সমাজতান্ত্রিকেরা আওয়ামীঘেঁষা অবস্থান ও একগুঁয়েমির কারণে নতুন প্রজন্ম থেকে মোটামুটি বিচ্ছিন্ন।
কার্যত অতিশয় জ্যেষ্ঠ এবং অতি বেশি তরুণ নেতৃত্বে ঠাসা ভিন্ন রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীগুলো সংগ্রাম করছে গণমানুষকে তাঁদের কথা বোঝাতে। সেটাই নিকট ভবিষ্যৎ রাজনীতির বড় চ্যালেঞ্জ।
শিশুরা যেমন দাদা-দাদি, নানা-নানির কাছে তাদের পছন্দের রূপকথার গল্পটি শুনতে চায়, নতুন রাজনীতির দাবিও সর্বোত্তম চর্চা, সর্বজনীন মূলবোধ, শুদ্ধাচার কৌশল, উত্তম দৃষ্টান্ত ইত্যাদিকে প্রজন্মের উপযোগী বয়ানে উপস্থাপন।
১৯৭৯ বা ১৯৯১ সালে নির্বাচিত জাতীয় সংসদে আলোচনার মতো বুদ্ধিদীপ্ত রাজনৈতিক রসিকতা (পলিটিক্যাল হিউমার) কি ভবিষ্যতে আমরা আশা করতে পারি না? ২০২৪-এ মানুষ যে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেছিল, সেই রাজনীতিটা আসলে কী? আমরা তার রূপটা দেখছি না, রেখাটাও না।
প্রথমত, ফ্যাসিবাদী আমলে যা কিছু ছিল, সেই স্রোত থেকে বেরোনো এবং সেই আবহ আর তৈরি হতে না দেওয়াই হতে পারে নতুন ধারার রাজনীতি।
দ্বিতীয়ত, জন-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সমন্বয় করে পরিবর্তিত রাজনীতির নতুন ধারণাটা কী হতে পারে, তার একাডেমিক ও মাঠপর্যায়ের আলোচনাটাও জরুরি ছিল।
তৃতীয়ত, জুলাই সনদ বা রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও সংস্কারের যে ঐকমত্য নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে, তা জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং রাজনৈতিক দায়বদ্ধতার জন্যও, তবে অচল ও বাতিল সংস্কৃতি পরিহার করে নতুন রাজনীতির স্বতন্ত্র ধারণা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর উপস্থাপন করা উচিত, নিজ নিজ প্ল্যাটফর্ম থেকেই।
যে মুহূর্তে দেশ ও সমাজ সত্যিকারের পরিবর্তন ও নতুন এক জামানায় প্রবেশের অপেক্ষায়, ‘বড়দের’ নতুন রাজনীতি এবং ‘ছোটদের’ রাজনৈতিক ভাবনার মধ্যে তখন ব্যাপক ফারাক। তরুণদের ঘাটতি অভিজ্ঞতায় আর অনেক জ্যেষ্ঠ রাজনীতিকের সমস্যা পরের প্রজন্মকে না বোঝার বা না মানার।
যে যা–ই ভাবুন বা করুন, মানুষের প্রত্যাশা ও আশাবাদ কিন্তু একজন বা এক দলের অপেক্ষায় বসে থাকবে না। বাংলাদেশে, আমরা দেখেছি, রাজনীতির চেয়ে সমাজই এগিয়ে থেকেছে এবং নেতৃত্বের অদূরদর্শিতায় জাতি বরং পথ হারিয়েছে বারবার।
ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে স্বপ্নভঙ্গের শিকার হওয়া এ দেশের আমজনতার নতুন প্রত্যাশার মধ্যে এখন থাকতে পারে ইনসাফ, ক্ষমতা ও অর্থের নব্যদাসত্ব থেকে মুক্তি, তাদের সন্তানদের মেধা বিকাশের সুযোগ এবং দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা।
আরেকটু রাজনীতি-সচেতন মানুষ এবং রাজনৈতিক কর্মীদের বোঝাপড়া আরেকটু ওপরে। তাঁদের জ্ঞান গরিমার ঊর্ধ্বে হলেও রাষ্ট্র নির্মাণ ও রক্ষা, প্রতিষ্ঠান সুসংহতকরণ, জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণের মতো বিষয়গুলো রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং বিশেষজ্ঞরা সম্পাদন করবেন, এ প্রত্যাশা তাঁদের এবং তাতেই তাঁদের নৈতিক সমর্থন থাকবে।
ফরাসি রাজনৈতিক চিন্তাবিদ আলেক্সি দ্য তোকভিল বহু বছর আগে লিখেছিলেন, ‘সব রাজনৈতিক ও মানবিক আইন ও প্রতিষ্ঠানকে মানুষ নিজের ইচ্ছেমতো গড়ে তুলেছিল এবং পরিবর্তন করেছিল। তারা যে সমাজে জন্মেছিল, সেই সমাজের সীমাবদ্ধতাগুলো তাদের সামনে ভেঙে পড়েছিল। যেসব পুরোনো নীতি যুগের পর যুগ ধরে বিশ্ব শাসন করেছিল, সেগুলো আর কার্যকর ছিল না। মানুষের জিজ্ঞাসু ও আগ্রহী মন তখন এমন এক পথ ও ক্ষেত্রের মুখোমুখি হয়েছিল, যেখানে কোনো বাঁক নেই, কোনো দিগন্ত নেই, যেখানে সে অবাধে অনুসন্ধান করতে পারে।’
সেই মাহেন্দ্রক্ষণটি আজ বাংলাদেশে, আমাদের সব প্রজন্মের সামনে। পরিবর্তনের বাঁকে দু–চারটি বাধায় না দমে অঙ্গীকার নিয়ে এগিয়ে যায় যে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, জনগণ ও ইতিহাস তাঁকে বা তাঁদেরই নায়ক মনে করে।
খাজা মাঈন উদ্দিন সাংবাদিক
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন ত ক র প রজন ম র র র জন ত র জন ত র কর ছ ল ত র জন আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
হামজার কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে যা জেনেছেন কিউবা
ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের প্লে-অফের ফাইনালে হামজা চৌধুরীর শেফিল্ড ইউনাইটেড খেলেছিল কিউবা মিচেলের সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে। হামজার দলকে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগে উঠেছে মিচেলের সান্ডারল্যান্ড। সেই ম্যাচের বাইরে আরও অনেক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে হামজা-মিচেলের মধ্যে।
গত মার্চে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হওয়া হামজা চৌধুরী তো এখন দেশের ফুটবলের বড় তারকা। ইতোমধ্যে তিনটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
এ মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশি হয়ে যাওয়া কিউবা মিচেল অপেক্ষায় আছেন লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়ানোর। তার আগে হামজার কাছ থেকে জেনেছেন বাংলাদেশের ফুটবল উন্মাদনার বিষয়টি।
সান্ডারল্যান্ডের স্থানীয় পত্রিকা ম্যাকেম নিউজের সঙ্গে আলাপে এ মিডফিল্ডার বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যে হামজা চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং ওর প্লে-অফ ফাইনাল ও বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছি। ওখানে সমর্থন দারুণ রকমের, তাই আমি দারুণ রোমাঞ্চিত। সেখানে গিয়ে খেলতে আর দেখতে চাই, শুধু এটি থেকেই আর কী কী দরজা খুলে যায়।’
গত ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের কয়েক দিন আগেই ফিফা থেকে অনুমোদন পান কিউবা মিচেল। সবকিছু ঠিক থাকলে পুরোদমে বাংলাদেশি হয়ে যাওয়া ইংল্যান্ডপ্রবাসী এ ফুটবলারের সেপ্টেম্বরে ফিফা উইন্ডো কিংবা অক্টোবরে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষেক হতে পারে। কিউবা মিচেলও বাংলাদেশের হয়ে খেলতে উন্মুখ হয়ে আছেন।
প্রিমিয়ার লিগে ওঠায় সান্ডারল্যান্ড নিজেদের শক্তি বাড়াতে চায়। সেই জন্য কিউবা মিচেলের মতো একাডেমির অনেক ফুটবলারকে ছেড়ে দিয়েছে ক্লাবটি। মিচেলের বিশ্বাস, প্রাক্-মৌসুমের মধ্যেই নতুন ঠিকানা খুঁজে নিতে পারবেন।
তাঁর চোখ আপাতত অক্টোবরের দিকে, ‘এ মুহূর্তে (ট্রান্সফার উইন্ডোতে) সবকিছুই বেশ শান্ত। তবে প্রি-সিজনে আমার কিছু সুযোগ রয়েছে, যেগুলো আমি কাজে লাগাতে চাই। গত কয়েক সপ্তাহে আমার বাংলাদেশের হয়ে খেলার কথা ছিল। রেজিস্ট্রেশন কয়েক ঘণ্টা দেরি হয়ে গিয়েছিল, তাই এখন অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। শুধু অভিজ্ঞতার দিক থেকে, বাংলাদেশের হয়ে খেলা হবে জীবনে একবারই ঘটার মতো কিছু। খুব বেশি খেলোয়াড় এই সুযোগ পায় না, বিশেষ করে যারা মূল দলে বেশি সময় খেলেনি।’