ভারতীয় ক্রিকেটারদের বয়স জালিয়াতি ঠেকাতে নতুন নিয়ম
Published: 20th, June 2025 GMT
বয়স জালিয়াতির প্রবণতা উপমহাদেশে নতুন নয়। বিশেষ করে বয়সভিত্তিক দলে খেলার জন্য এমন প্রতারণার পথ বেছে নেন অনেকেই। এবার ভারতের বয়সভিত্তিক দলগুলোতে বেশি বয়সীদের খেলা ঠেকাতে বয়স যাচাই নিয়মে পরিবর্তন এনেছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই।
এখন থেকে বয়স যাচাইয়ে দুবার বোন টেস্ট (হাড়ের পরীক্ষা) করানো যাবে। এ ছাড়া একজনের বয়স যাচাই পরীক্ষায় আরেকজন কম বয়সীকে পাঠানোর জালিয়াতি রোধেও নতুন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ভারতর জুনিয়র ক্রিকেটে বয়স নিশ্চিত করতে ‘এজ ভেরিফিকেশন প্রোগ্রাম’ (এভিপি) কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এতে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়ের বোন টেস্টের মাধ্যমে বয়স বোঝার চেষ্টা করা হয়। সাধারণত হাড়ের বয়স নির্ধারণ করা হয় এক্স-রের মাধ্যমে। প্রতিবছর ঘরোয়া মৌসুম শুরুর আগে জুলাই-আগস্টের দিকে এই পরীক্ষা চালানো হয়। ভারতের প্রতিটি রাজ্য সংস্থা যখন বয়স যাচাই কার্যক্রম সম্পন্ন করে, তখন সেখানে বিসিসিআইয়ের একজন প্রতিনিধিও থাকেন।
ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে বিসিসিআই ও রাজ্য সংস্থাগুলো একটি নতুন প্রতারণার কৌশল শনাক্ত করেছে। হাড়ের বয়স পরীক্ষায় কিছু অভিভাবক মূল খেলোয়াড়ের জায়গায় আরও কম বয়সী একজনকে পাঠিয়ে থাকেন, যাতে বয়স ধরা না পড়ে। এ ধরনের প্রতারণা হয়ে আসছে বুঝতে পেরে তা রোধ করতে খেলোয়াড়দের হালনাগাদ ছবিসংবলিত বৈধ আধার কার্ড (ভারতীয়দের পরিচয়পত্র) দেখানোর ওপর জোর দিয়েছে বিসিসিআই। আধার কার্ডের সঙ্গে ছবি ও তথ্য মিলিয়ে এরপর বয়স যাচাই পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হয়।
মুম্বাইয়ে বিসিসিআইয়ের প্রধান কার্যালয়।.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বয়স য চ ই পর ক ষ র বয়স
এছাড়াও পড়ুন:
জাদুঘর থেকে উধাও ফারাওর সেই ব্রেসলেট চুরির পর সোনা পেতে গলিয়ে ফেলা হয়েছে
কায়রোর জাদুঘর থেকে চলতি মাসের শুরুতে উধাও হওয়া তিন হাজার বছরের পুরোনো ফারাওয়ের সোনার ব্রেসলেটটি চুরি করে গলিয়ে ফেলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মিসরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে মিসরের প্রত্নতত্ত্ব ও পর্যটন মন্ত্রণালয় অমূল্য ব্রেসলেটটি হারিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছিল। ব্রেসলেটটি থার্ড ইন্টারমিডিয়েট পিরিয়ডের ফারাও (প্রাচীন মিসরের সম্রাট) আমেনেমোপের ছিল। খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ১০০০ সালে মিসর শাসন করেছিলেন তিনি।
গোলাকার ল্যাপিস লাজুলিতে (নীল রত্ন) সাজানো ওই ব্রেসলেট ৯ সেপ্টেম্বর জাদুঘরের একটি সংরক্ষণাগার ল্যাবরেটরি থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।
হারিয়ে যাওয়ার পর ল্যাবরেটরির অন্য প্রত্নতত্ত্ব সামগ্রীগুলো পরীক্ষা করার জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়। বিদেশে পাচার হওয়ার আশঙ্কায় খোয়া যাওয়া ব্রেসলেটের ছবি মিসরের বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাছে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, জাদুঘরের একজন বিশেষজ্ঞই ব্রেসলেটটি চুরি করে একটি রৌপ্য ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন। পরে সেই ব্যবসায়ী সেটি কায়রোর ঐতিহাসিক জুয়েলারি এলাকায় একটি ওয়ার্কশপ মালিকের কাছে পাঠান। শেষ পর্যন্ত ওয়ার্কশপ মালিক সেটি সোনা গলানোর একটি কারখানায় বিক্রি করেন।কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চুরির সূত্র খুঁজে বের করে। জানা গেছে, জাদুঘরের একজন বিশেষজ্ঞই ব্রেসলেটটি চুরি করে একজন রৌপ্য ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন। পরে সেই ব্যবসায়ী সেটি কায়রোর ঐতিহাসিক জুয়েলারি এলাকায় একটি ওয়ার্কশপ মালিকের কাছে পাঠান। শেষ পর্যন্ত ওয়ার্কশপ মালিক সেটি সোনা গলানোর একটি কারখানায় বিক্রি করেন, যেখানে এটি অন্য জিনিসপত্রের সঙ্গে গলিয়ে ফেলা হয়।
সরকারি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ব্রেসলেট বিক্রি থেকে প্রাপ্ত প্রায় ১ লাখ ৯৪ হাজার মিসরীয় পাউন্ড (৪০০০ ডলার) জব্দ করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গিজা পিরামিডের কাছে গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়ামে। নভেম্বর মাসে খোলার ঠিক কয়েক সপ্তাহ আগে এ ঘটনা ঘটল। জাদুঘরটি মিসরের প্রাচীন ঐতিহ্য প্রদর্শনের একটি বড় স্থান। এটি দেশটির পর্যটনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও বৈদেশিক মুদ্রার আয় বৃদ্ধির বড় উৎস।
আরও পড়ুনকায়রো জাদুঘর থেকে উধাও ফারাওয়ের অমূল্য ব্রেসলেট ৬ ঘণ্টা আগেউল্লেখ্য, মিসরের প্রাচীন নিদর্শনের অবৈধ বাণিজ্য এক দীর্ঘদিনের উদ্বেগের বিষয়। গত বছর মিসর কর্তৃপক্ষ দুজনকে আটক করেছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে শত শত প্রাচীন নিদর্শন চুরি করার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। বন্দরনগরী আলেকজান্দ্রিয়ার কাছে আবু কির উপসাগরের তলদেশ থেকে এ নিদর্শন সংগ্রহ করেছিলেন তাঁরা। তখন মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, এ দুজন নিদর্শনগুলো পাচারের পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেন।