জিপিএইচের প্রেফারেন্স শেয়ার ছাড়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল বিএসইসি
Published: 22nd, June 2025 GMT
জিপিএইচ ইস্পাতের পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যু করার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
গত বছর অক্টোবর মাসের শুরুতে ডিএসইর ওয়েবসাইটের এক ঘোষণায় জানানো হয়, জিপিএইচ ইস্পাত পাঁচ হাজার কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহে প্রেফারেন্স শেয়ার বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা করছে। কিন্তু ১৯ জুন বিএসইসির পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, কমিশন এই প্রস্তাবে অনুমতি দিতে পারছে না। তবে কেন অনুমোদন দেওয়া হলো না, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
এ ছাড়া গত ফেব্রুয়ারি মাসে কোম্পানিটি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মূলধন সংগ্রহে হংকং স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হতে চায় জিপিএইচ ইস্পাত। এ লক্ষ্যে জিপিএইচ ইস্পাতের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল হংকং সফর করেছে।
২০১২ সালে জিপিএইচ ইস্পাত দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে ৬০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। আইপিওতে কোম্পানিটি দুই কোটি শেয়ার ইস্যু করেছিল। বর্তমানে এটি ৪৮৪ কোটি টাকার মূলধনের একটি কোম্পানি। আজ ডিএসইতে এই কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল সর্বশেষ ১৭ টাকা ২০ পয়সা।
প্রেফারেন্স শেয়ার হলো কোম্পানির এমন একধরনের শেয়ার, যেখান থেকে শেয়ারহোল্ডাররা সাধারণ শেয়ারের তুলনায় বিশেষ সুবিধা পান। এই শেয়ারধারীরা পূর্বনির্ধারিত লভ্যাংশ পান এবং কোম্পানি বন্ধ হলে মূলধন ফেরত লাভের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পান, কিন্তু তাঁদের সাধারণত ভোটাধিকার থাকে না বা সীমিত থাকে। অর্থাৎ প্রেফারেন্স শেয়ারধারীরা তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকি নিয়ে কিছু নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেন; এটি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুবিধাজনক মাধ্যম হিসেবে পরিচিত।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম লধন
এছাড়াও পড়ুন:
বড় অর্থায়নে পুঁজিবাজারের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে বড় বড় অর্থায়নের ক্ষেত্রে আয়কর ও ব্যাংকিং খাতের উপর নির্ভর করলে হবে না। এক্ষেত্রে ক্যাপিটাল মার্কেটের (পুঁজিবাজার) ওপর নির্ভরশীলতা বাড়াতে হবে। এখান থেকে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রজেক্ট করা সম্ভব।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যৌথভাবে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
এ সময় ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সদস্যসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এবং মার্কেট সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার উপস্থিত ছিলেন।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “শেয়ারবাজারের ছোট বিনিয়োগকারীরা মনে করে বিনিয়োগ করলেই মুনাফা নিশ্চিত, এই বাজারে যে ঝুঁকি আছে, তা তারা মানতে চান না।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে অনেক খেলাপি হয়েছে। যা বাংলাদেশে ট্রাজেডিতে পরিণত হয়েছে। এছাড়া, বেক্সিমকোর সুকুক বন্ড খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তাই আগামীতে সুকুক ইস্যুর ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে।”
অন্যান্য দেশে আয়কর বেশি দিলেও জনগণ সেবা পায় বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, “আমাদের দেশে মানুষ আয়কর দিয়ে সেবা পায় না। এ কারণে জনগণের মধ্যে গোস্যা আছে। এ সমস্যা থেকে উত্তোরণে এনবিআরকে সেবা দেওয়ার জন্য বলেছি। তাহলে আয়কর বাড়বে।”
ঢাকা/এনটি/ইভা