‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে আজ রোববার সচিবালয়ের ভেতরে বড় ধরনের বিক্ষোভ দেখিয়েছেন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা।

বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আন্দোলনকারী বিপুলসংখ্যক কর্মচারী নিজ নিজ দপ্তর ছেড়ে বিক্ষোভে যোগ দেন।

সচিবালয়ে দেখা যায়, বিপুলসংখ্যক কর্মচারীর উপস্থিতিতে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বারান্দাসহ সচিবালয় চত্বরে প্রদক্ষিণ করে। এরপর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের (ভবন-১১) সামনে গিয়ে অবস্থান নেন মিছিলে অংশ নেওয়া কর্মচারীরা। সেখানে তাঁরা অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবিতে নানা রকমের স্লোগান দেন।

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে গত ২৪ মে থেকে আন্দোলন করছেন সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা।

আন্দোলন চলার মধ্যেই গত ২৫ মে অধ্যাদেশটি জারি করে সরকার। এরপর থেকে বিক্ষোভ, কর্মবিরতি ও স্মারকলিপি দেওয়ার মতো কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা।

পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে অফিস খোলার এক দিন পর গত সোমবার থেকে আবার সচিবালয়ের ভেতর টানা বিক্ষোভ করে আসছেন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা। তাঁরা উপদেষ্টাদের কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছেন।

ঈদের পরের এসব কর্মসূচিতে ঈদের আগের চেয়ে তুলনামূলক কম উপস্থিতি ছিল। কিন্তু আজকে দেখা গেছে, বিপুলসংখ্যক কর্মচারী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। তাঁরা স্লোগান দিচ্ছেন ‘অবৈধ কালো আইন মানি না’, ‘সচিবালয়ের কর্মচারী এক হও লড়াই কর’ ইত্যাদি।

সচিবালয়ের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কর্মচারীরা এত দিন ধরে আন্দোলন করলেও সরকার এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। অবশ্য এ বিষয়ে দুই উপদেষ্টা ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সমন্বয়ে একটি পর্যালোচনা কমিটি কাজ করছে।

আন্দোলনকারী কর্মচারীরা অধ্যাদেশটিকে ‘কালো আইন’ আখ্যায়িত করে বলেছেন, এটি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন বন্ধ করবেন না।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মন ত র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

এনসিপিসহ তিন রাজনৈতিক দল যেসব প্রতীক পাচ্ছে

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পাচ্ছে তিনটি নতুন রাজনৈতিক দল। দলগুলো হলো-জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপি, আমজনগণ পার্টি এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)। ইতিমধ্যে দলগুলোকে প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যয় জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ‘শাপলা কলি’, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলকে (মার্ক্সবাদী) ‘কাঁচি’ ও আমজনগণ পার্টিকে ‘হ্যান্ডশেক’ প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। এরপর দাবি-আপত্তি এলে তা নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত নিবন্ধন দেওয়া হবে।’

আরো পড়ুন:

বিএনপির প্রার্থীকে অভিনন্দন জানালেন জামায়াতের প্রার্থী

টাঙ্গাইলে বিএনপির আনন্দ মিছিলে আ.লীগ নেতার স্লোগান 

রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের বিষয়ে কারো কোনো আপত্তি থাকলে প্রয়োজনীয় দলিলসহ এর কারণ উল্লেখপূর্বক ১২ নভেম্বরের মধ্যে সচিবের নিকট লিখিতভাবে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।

ইসির নিবন্ধন পেতে ১৪৩টি দল আবেদন করে। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে ২২ দলের মাঠ পর্যায়ে তদন্ত পাঠায় নির্বাচন কমিশন। এরপর মাঠ পর্যায়ের তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এনসিপি ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগ নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

তবে এনসিপি প্রতীক জটিলতা ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগের কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে জাতীয় লীগসহ ১০ দলের অধিকতর যাচাইয়ের জন্য আবার তদন্ত করে সংস্থাটি। এরপর অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন যাচাই শেষে কয়েক দফা বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেয় ইসি।

পুনরায় মাঠ পর্যায়ের তদন্তে যে ১০টি দলকে পাঠানো হবে সেগুলো হল-আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, জনতার দল, মৌলিক বাংলা, জনতা পার্টি বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগ।

ঢাকা/আসাদ/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গভীর রাতে আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি
  • পাঁচ ব্যাংকের প্রশাসক কার্যালয়ে আসা শুরু করেছেন, গ্রাহকের চাপ নেই
  • ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে ‘৮টি বিমান’ ভূপাতিত করা হয়েছে: ট্রাম্পের নতুন দাবি
  • মিস মেক্সিকোকে কটাক্ষ, বেরিয়ে গেলেন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগীরা
  • টেকনাফে সেতুর নিচে পানিতে ভাসছিল সাবেক ইউপি সদস্যের লাশ
  • অপ্রত্যাশিত আতিথেয়তা
  • অধস্তন আদালতের প্রায় এক হাজার বিচারককে পদোন্নতির প্যানেলভুক্তির সিদ্ধান্ত
  • এনসিপিসহ তিন রাজনৈতিক দল যেসব প্রতীক পাচ্ছে
  • বগুড়ায় ধানক্ষেত থেকে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
  • রোবটদের সঙ্গে আমার বন্ধুত্বের গল্প