রাজধানী ঢাকায় তিনটি পৃথক ঘটনায় তিনজন যুবক খুন হয়েছেন। খিলগাঁও, পল্লবী ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।

খুন হওয়া তিন যুবক হলেন মো. সাগর (২২), মো. রিফাত (২২) ও মো. রকি (৩১)।
খিলগাঁওয়ে ‘জমিসংক্রান্ত বিরোধ’ থেকে মারধরে নিহত হন সাগর। এ ঘটনায় আহত হন দুজন।

সাগরের মামাতো ভাই নাজিম উদ্দিন বলেন, আলিমউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি তাঁর জায়গায় দেয়াল তুলতে গেলে প্রতিবেশীরা বাধা দেন। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে গতকাল দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে একদল লোক এসে দেয়াল ভাঙচুর করেন। আলিমউদ্দিনের স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের মারধর করা হয়। সাগরসহ অন্যরা এগিয়ে গেলে তাঁরাও মারধরের শিকার হন।

গুরুতর আহত অবস্থায় সাগরকে আজ ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো.

ফারুক জানান, সাগরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি খিলগাঁও থানাকে জানানো হয়েছে।

খিলগাঁওয়ের আমির আলীর ছেলে সাগর। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তিনি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র মেরামতের কাজ করতেন।

গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে পল্লবীর ১১ নম্বর সেকশন এলাকায় ছুরিকাঘাতে মো. রিফাত (২২) নামের এক যুবক খুন হন।

স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, এক তরুণীকে কেন্দ্র করে রিফাত ও তাঁর বন্ধুদের মধ্যে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে এক বন্ধু রিফাতকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে তিনি নিহত হন।

পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিউল আলম প্রথম আলোকে বলেন, রিফাত হত্যার ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা চলছে।

গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় মো. রকিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, রকির সঙ্গে এলাকার কয়েকজনের পুরোনো বিরোধ ছিল। এর জেরে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।

কামরাঙ্গীরচর থানার উপপরিদর্শক মো. মুসা বলেন, এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। কাউকে আটক করাও যায়নি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় আরও তিনজন গ্রেপ্তার

গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এ ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পাবনার চাটমোহন উপজেলার পাঁচবারিয়া এলাকার ফয়সাল হাসান (২৩), কুমিল্লার হোমনা উপজেলার কাশিপুর এলাকার শাহ জামাল (৩২) ও সুমন (২৬)।

এর আগে এ ঘটনায় এক দম্পতিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা হলেন মিজানুর রহমান ওরফে কেটু মিজান, তাঁর স্ত্রী গোলাপি, আল আমিন ও মো. স্বাধীন। পুলিশের ভাষ্য, তাঁদের মধ্যে তিনজনকে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে শনাক্ত করা গেছে ও তাঁরা ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য।

সাংবাদিক আসাদুজ্জামান দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুর স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে।

আরও পড়ুনগাজীপুরে সাংবাদিক হত্যায় দুই কারণ সামনে রেখে তদন্ত করছে পুলিশ ২ ঘণ্টা আগে

মহানগর পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে পাঁচ থেকে ছয়জন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় আসাদুজ্জামানকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে। তিনি দৌড়ে ঈদগাঁ মার্কেটের একটি চায়ের দোকানে আশ্রয় নেন। পরে দুর্বৃত্তরা দোকানে ঢুকে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ঘটনার কিছু পরই স্থানীয় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ক্যমেরার ফুটেজ পায় পুলিশ। এরপর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ, র‍্যাব ও পিবিআই যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করে।

আরও পড়ুনমুঠোফোনে অস্ত্রধারীদের ভিডিও করছিলেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান, পরে তাঁকেই হত্যা করা হয়০৮ আগস্ট ২০২৫

গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) তাহেরুল হক চৌহান গতকাল রাতে তিনজনের গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সকালে সাংবাদিক আসাদুজ্জামানের বড় ভাই সেলিম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।

আরও পড়ুনপ্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা০৭ আগস্ট ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ