রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় তিন যুবক খুন
Published: 23rd, June 2025 GMT
রাজধানী ঢাকায় তিনটি পৃথক ঘটনায় তিনজন যুবক খুন হয়েছেন। খিলগাঁও, পল্লবী ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
খুন হওয়া তিন যুবক হলেন মো. সাগর (২২), মো. রিফাত (২২) ও মো. রকি (৩১)।
খিলগাঁওয়ে ‘জমিসংক্রান্ত বিরোধ’ থেকে মারধরে নিহত হন সাগর। এ ঘটনায় আহত হন দুজন।
সাগরের মামাতো ভাই নাজিম উদ্দিন বলেন, আলিমউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি তাঁর জায়গায় দেয়াল তুলতে গেলে প্রতিবেশীরা বাধা দেন। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে গতকাল দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে একদল লোক এসে দেয়াল ভাঙচুর করেন। আলিমউদ্দিনের স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের মারধর করা হয়। সাগরসহ অন্যরা এগিয়ে গেলে তাঁরাও মারধরের শিকার হন।
গুরুতর আহত অবস্থায় সাগরকে আজ ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো.
খিলগাঁওয়ের আমির আলীর ছেলে সাগর। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তিনি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র মেরামতের কাজ করতেন।
গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে পল্লবীর ১১ নম্বর সেকশন এলাকায় ছুরিকাঘাতে মো. রিফাত (২২) নামের এক যুবক খুন হন।
স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, এক তরুণীকে কেন্দ্র করে রিফাত ও তাঁর বন্ধুদের মধ্যে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে এক বন্ধু রিফাতকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে তিনি নিহত হন।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিউল আলম প্রথম আলোকে বলেন, রিফাত হত্যার ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় মো. রকিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, রকির সঙ্গে এলাকার কয়েকজনের পুরোনো বিরোধ ছিল। এর জেরে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।
কামরাঙ্গীরচর থানার উপপরিদর্শক মো. মুসা বলেন, এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। কাউকে আটক করাও যায়নি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
চাঁদপুরের ২২৪টি মন্ডপে র্যাবের টহল
মহালয়ার পর থেকেই চাঁদপুর জেলার ২২৪টি দুর্গাপূজা মন্ডপের নিরাপত্তায় সার্বিক টহল জোরদার করার কথা জানিয়েছেন র্যাব-১১ কুমিল্লার কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের কালীবাড়ি মন্দিরের পূজো মন্ডপ ও প্রতীমা তৈরির স্থান পরিদর্শনকালে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা জানান।
মেজর সাদমান ইবনে আলম বলেন, “গেলো বছরের চেয়ে এ বছর আরো ভালোভাবে যেন সনাতনীরা দুর্গোৎসব সম্পন্ন করতে পারে সেজন্য র্যাব-১১ থেকে তাৎক্ষণিক সংবাদ পেতে একটি কন্ট্রোল টিম খোলা হয়েছে। এছাড়া আমাদের দুটি টিম সার্বক্ষণিক টহলে থাকবে এবং একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স রেডি থাকবে। এছাড়া সাদা পোশাকে র্যাব মাঠে থাকবে।”
তিনি আরো বলেন, “এরইমধ্যে প্রতিটি পূজা মন্ডপের দায়িত্বশীলদের যোগাযোগের নম্বর আমরা সংগ্রহ করেছি। তাদেরকেও আমাদের গুরুত্বপূর্ণ নম্বর সরবরাহ করেছি। যেকোন অপ্রতীকর পরিস্থিতি এড়াতে যেন তারা আমাদের খবর দিতে পারেন এবং আমরাও তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারি।”
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, “এখন আমরা পূজা মন্ডপের প্রতীমা তৈরির স্থানগুলো টার্গেট করে টহল চালাচ্ছি। প্রতীমা স্থাপনের পর পূজা মন্ডপ ও দুর্গম স্থানগুলো চিহ্নিত করে টহলসহ অন্যান্য কাজ চালাবো। পঞ্চমী থেকে দশমীর দুর্গাপূজোর বিসর্জন পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর হতে ভোর পর্যন্ত সময়কে গুরুত্ব দিয়ে আমরা মাঠে থাকব। আশা করছি সবাইকে সাথে নিয়ে খুব সুন্দরভাবেই এবারের দুর্গোৎসব সম্পন্ন হবে।”
ঢাকা/অমরেশ/এস