বিদেশি ঋণ থেকে বেরিয়ে আসা উচিত: আনিসুজ্জামান চৌধুরী
Published: 23rd, June 2025 GMT
বিদেশি ঋণ নেওয়ার কারণে দেশের নীতি নির্ধারণে বিদেশিদের প্রভাব আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার অর্থবিষয়ক বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
আনিসুজ্জামান চৌধুরীর মতে, উন্নয়ন খাতে বিদেশি সহায়তা গ্রহণ করতে গিয়ে দেশকে শর্ত মেনে চলতে হয়; যে কারণে রাজস্ব আদায় ও বিদেশি বিনিয়োগ—উভয়ই বাধাগ্রস্ত হয়। বিদেশি ঋণ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
আজ সোমবার রাজধানীর পুলিশ প্লাজায় মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত বাজেট পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের করনীতি কবে হবে, কত বছরে বাস্তবায়ন হবে, তা নিয়ে পরিকল্পনা নেই। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় দেখেছি, শুধু ভ্যাট বাড়ানো নিয়ে একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে হেরে গেছে।’
জাতীয় ঐক্যের অভাব, রাজনৈতিক কর্মসূচির বাস্তবায়ন নিয়ে উদাসীনতা আর স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে দলীয়করণের প্রবণতার কথা তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ‘আমাদের মধ্যে জাতীয় ঐক্য নেই। নিজেদের ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থ নিয়ে আমরা ভাবি। এখানে চিকিৎসক ও শিক্ষকদের মধ্যে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য দলের আলাদা আলাদা সমিতি আছে। আমাদের ভিশন নেই। সামান্য সর্দি লাগলে আমরা সিঙ্গাপুরে চলে যাই, তাহলে দেশের স্বাস্থ্য খাত কীভাবে দাঁড়াবে?’
আনিসুজ্জামান আরও বলেন, এখানে ২১, ১১ আর ৬ দফার রাজনীতি চলে। কিন্তু এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের রূপরেখা নেই। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় শুধু ভ্যাট বাড়ানো নিয়ে একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে হেরে গেছে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি কামরান টি রহমান, পিআরআই চেয়ারম্যান জাঈদি সাত্তার প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন ত ক
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথমবারের মতো সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করলো এনআরবিসি ব্যাংক
টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক ও পরিবেশবান্ধব অর্থায়নকে গুরুত্ব দিয়ে প্রথমবারের মতো ‘সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট-২০২৪’ প্রকাশ করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভ (জিআরআই) স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী প্রণীত প্রতিবেদনের মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থায়নে সবুজ আগামী’।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদনের মোড়ক আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান। এসময় ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও হারুনুর রশীদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম খানসহ সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিং কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ড. তৌহিদুল আলম খান বলেন, “জিআরআই গাইডলাইন্স অনুসরণ করে সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ এনআরবিসি ব্যাংকের আর্থিক স্থিতি, পরিবেশগত দায়িত্ববদ্ধতা এবং সামাজিক ন্যায়ের প্রতি দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”
তিনি আরো বলেন, “ভবিষ্যতে গ্রিন ব্যাংকিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত, সামাজিক কল্যাণে অতিক্ষুদ্র খাত এবং পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের সহযোগিতা ও অর্থায়ন বাড়ানো হবে।”
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এনআরবিসি ব্যাংক পরিবেশ, সামাজিক উন্নয়ন ও সুশাসনকে প্রাধান্য দিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২০২৪ সালে ব্যাংকটি গ্রিন ও সাসটেইনেবল ফাইন্যান্সিং খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি-দক্ষ প্রযুক্তি, টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সবুজ স্থাপনা এবং জলবায়ু সহনশীল কৃষি উদ্যোগে অর্থায়নের মাধ্যমে এনআরবিসি ব্যাংক কৃষক ও জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়নে সরাসরি অবদান রাখছে।
রিপোর্টে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, টেকসই ব্যাংকিং মানেই শক্তিশালী ও ভালো ব্যাংকিং। এনআরবিসি ব্যাংকের এই পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের সুফল গ্রাহক, ঋণগ্রহীতা ও শেয়ারহোল্ডাররা পাবেন। স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল ব্যাংকিং সেবার কারণে সবুজ অর্থায়ন প্রকল্পগুলো গুরুত্ব পাবে, এতে উদ্যোক্তাদের দীর্ঘমেয়াদে খরচ কমবে এবং মুনাফা বাড়বে। আমানতকারী এবং শেয়ারহোল্ডাররা নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন যে, তাদের জমানো অর্থ ও বিনিয়োগ পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ খাতে ব্যবহার করা হচ্ছে না।
ঢাকা/ইভা