শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্কলাসটিকার ‘এ’ লেভেলের শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় স্কুলের এসটিএম মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি থেকে এ বছর মোট ২৫২ জন শিক্ষার্থীকে সনদ দেওয়া হয় বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
‘আগামীকে আলিঙ্গন’ মূলপ্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত উত্তরা সিনিয়র শাখার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড.
অনুষ্ঠানে সনদপ্রাপ্ত ১২৯ জনের মধ্য থেকে ১২ জন ‘অনার,’ ১০ জন ‘হাই অনার’ এবং ৮ জন বিভিন্ন সাবজেক্টে অসাধারণ কৃতিত্বের সদন লাভ করেন। তাদের মধ্য থেকে বক্তৃতা দেন জান্নাতুল ফেরদৌস রোহেনি ও সাইফা ইবনাত।
অপরদিকে স্কলাসটিকার মিরপুর শাখার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এমিরেটাস অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। এ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন মিরপুর শাখার অধ্যক্ষ নুরুন নাহার মজুমদার ও সিনিয়র অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার তানভিরা খাতুন।
মিরপুর শাখায় ১২৩ জন সনদপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে ১৪ জন ‘অনার’ ১১ জন ‘হাই অনার’-এর সদন লাভ করেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তৃতা দেয় মোহাম্মদ সামিউ হোসেন ও শ্রেয়সী সর্বজয়া।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণের ফাঁকে ফাঁকে স্কুলের শিক্ষার্থীরা নাচ-গান সহযোগে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। বিপুল সংখ্যক অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘বরফ গলেছে’—এশিয়া কাপ ট্রফি নিয়ে নাকভির সঙ্গে বৈঠকের পর বিসিসিআই সচিব
এশিয়া কাপের ট্রফি নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির মধ্যে চলা বিবাদ কি শেষমেশ মিটতে যাচ্ছে? বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়ার ইঙ্গিত অন্তত সেদিকেই।
গতকাল দুবাইয়ে আইসিসির বোর্ড সভায় যোগ দেন সাইকিয়া। বৈঠকের পর ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, ‘বিসিসিআই ও পিসিবি প্রধান মহসিন নাকভি এশিয়া কাপের ট্রফি নিয়ে চলা বিবাদ বন্ধুত্বপূর্ণভাবে মিটিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি আইসিসির আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক দুই বৈঠকেই উপস্থিত ছিলাম। পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভিও ছিলেন সেখানে।’
গত ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে এশিয়া কাপের ফাইনাল শেষে চ্যাম্পিয়ন ভারত নাকভির হাত থেকে ট্রফি নেয়নি। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) প্রধান হিসেবে ট্রফি দেওয়ার এখতিয়ার তাঁরই—এটা জানিয়ে নাকভি তখন ট্রফি নিজের কাছেই রেখে দেন। এরপর প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও ভারত ট্রফি পায়নি। নাকভিও তা ফেরত দেননি। এ নিয়েই বিসিসিআই জানিয়েছিল, আইসিসি বোর্ড সভায় বিষয়টি তোলা হবে।
সেই বৈঠকের প্রসঙ্গে সাইকিয়া বলেন, ‘আনুষ্ঠানিক আলোচ্যসূচিতে এশিয়া কাপ ট্রফির বিষয়টি ছিল না। তবে আইসিসি তাদের দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আমার ও পিসিবি প্রধানের মধ্যে আলাদা করে এক বৈঠকের ব্যবস্থা করে।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ওই দুই কর্মকর্তার একজন আইসিসির ডেপুটি চেয়ারম্যান ইমরান খাজা, অন্যজন প্রধান নির্বাহী সংযোগ গুপ্ত। পিসিবি চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিসিসিআই সচিব বলেন, ‘আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করা সত্যিই ভালো ছিল। উভয় পক্ষই আন্তরিকভাবে বৈঠকে অংশ নেয়, যা আইসিসি বোর্ড সভার ফাঁকে অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
বিসিসিআই সচিব আরও জানান, দ্রুতই সমাধান বের করা হবে। ভারতের কাছে এশিয়া কাপের ট্রফি পৌঁছানোর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে দুই পক্ষ একসঙ্গে কাজ করবে। সাইকিয়ার ভাষায়, ‘উভয় পক্ষই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমস্যাটি সমাধানের জন্য কিছু একটা কাজ করবে। বরফ এখন গলে গেছে, তাই বিভিন্ন বিকল্প নিয়ে কাজ করা হবে। অন্য পক্ষের থেকেও বিকল্প থাকবে, এবং এই সমস্যাটি নিষ্পত্তি করে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধানে আসার জন্য আমরাও বিকল্প দেব।’
শেষমেশ দেখা যাক, বরফটা সত্যিই গলল, নাকি আবার নতুন কোনো ঠান্ডা যুদ্ধ শুরু হলো।