ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর চুপ নেতানিয়াহু
Published: 25th, June 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েল ও ইরান পুরোপুরি ও সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এ নিয়ে তেহরান জানিয়েছে, তেল আবিব অবৈধ হামলা বন্ধ করলে তাদেরও আর আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা নেই। অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ দেশটির কোনো কর্মকর্তা ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
মঙ্গলবার আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির ট্রাম্পের ঘোষণার বিষয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী এখনও কোনো মন্তব্য করেননি।
সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, নেতানিয়াহু মঙ্গলবার ভোরে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। তিনি মন্ত্রীদের যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে জনসমক্ষে বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে ইরান জানিয়েছে, ইসরায়েল যদি অবৈধ আক্রমণ বন্ধ করে দেয়, তাহলে তারা প্রতিশোধ নেওয়া বন্ধ করবে। যদিও মঙ্গলবার সকাল থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। আলজাজিরা বলছে, এক ঘণ্টার মধ্যেই ইরান ইসরায়েলজুড়ে অন্তত ছয় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও অনেকজন আহত হওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে দুই পক্ষের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য আসেনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল য ক তর ষ ট র ইসর য় ল মন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
২৭ বছর ধরে প্রথম আলো সংরক্ষণ করে চলেছেন চুয়াডাঙ্গার এই দম্পতি
চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্টপাড়ায় থাকেন কামরুল আরেফিন ও সালমা খাতুন। ১ নভেম্বর সকালে তাঁদের বাড়ির নিচতলার একটি কক্ষে ঢুকতেই কাগজের গন্ধ পেলাম। এই কক্ষেই তাঁরা গড়ে তুলেছেন সংগ্রহশালা। যার বেশির ভাগজুড়ে কেবলই প্রথম আলো। দোতলায় আরেকটি কক্ষের আংশিক সারি সারি করে পত্রিকায় সাজানো। প্রথম আলোর সহযোগী প্রকাশনা ও ম্যাগাজিনগুলো আলাদাভাবে সাজানো। তাঁদের এই আর্কাইভে প্রতিবেশী ছাড়াও অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী পুরোনো পত্রিকা পড়তে আসেন। কেউ কেউ গবেষণার কাজে সংগ্রহ করেন পুরোনো প্রতিবেদন। দুজনেই হাসতে হাসতে বললেন, ‘আমাদের এই আর্কাইভ প্রথম আলোকে ভালোবেসে গড়া।’
কামরুল আরেফিন বলেন, ‘প্রথম আলো প্রকাশের আগে আমি ভোরের কাগজ–এর পাঠক ছিলাম। কাগজটির সম্পাদক মতিউর রহমান নতুন ধাঁচের একটি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশের ঘোষণা দিলে তা বাজারে আসার আগেই চারদিকে হইচই পড়ে যায়। সালমা বিষয়টি আমার নজরে আনে। নতুন এই পত্রিকা সংগ্রহ করার বিষয়ে দুজনে মিলেই সিদ্ধান্ত নিই।’
১৯৯৮ সালের ৪ নভেম্বর সকালে ক্রোড়পত্রসহ উদ্বোধনী সংখ্যা হাতে পাওয়ার পর অন্য রকম ভালো লাগায় তাঁদের মন ভরে যায়। কামরুল বলে যান, ‘প্রথম দিনেই দেশবরেণ্য লেখকদের লেখায় সমৃদ্ধ ছিল। পরবর্তী দিনগুলোতেও যার ধারাবাহিকতা দেখতে পাই। এমন ভালো লেগে যায় যে প্রথম আলোকে আর ছাড়তে পারিনি।’
সংগ্রহের একাংশ দেখাচ্ছেন কামরুল আরেফিন