চাকরি ছেড়ে গ্রামে গিয়ে আম–মাল্টার বাগান, বছরে আয় ২৫ লাখ
Published: 25th, June 2025 GMT
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ভাতশাইল গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা পলাশ হোসেনের (৩৫) মিশ্র ফলবাগানটি যেন সবুজে মোড়ানো। বাগানে গেলে যে কারও মন ভরে উঠবে। আমের মৌসুমে তাঁর বাগানে গাছে গাছে ঝুলছে নানা জাতের দেশি–বিদেশি আম।
পলাশের বাগানে আছে বিদেশি ১২ জাতের আম। এসব জাতের মধ্যে আছে আমেরিকার পালমার ও ব্ল্যাক স্টোন, তাইওয়ানের তাইওয়ান রেড, থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই, আম্বিকা, ব্যানানা ম্যাঙ্গো ও কিং অব চাকাপাত, জাপানের মিয়াজাকি ও কিউজাই, অস্ট্রেলিয়ার রেড অস্টিন, চীনের নামডকমাই ও ব্রুনাই কিং। এগুলোর অধিকাংশই আকর্ষণীয় রঙের। রঙিন প্রজাতির এসব আম সুস্বাদু ও রসালো। বাজারে ভালো দামে বিক্রি করা যায়। অনেক চেষ্টা করে বিভিন্ন জায়গা থেকে চারা সংগ্রহ করে বিদেশি রঙিন জাতের আম চাষ করেছেন তরুণ এই কৃষি উদ্যোক্তা। আমের পাশাপাশি বাগানে আছে মাল্টা ও কমলাও।
রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করার পর ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন পলাশ। কিন্তু চাকরির ধরাবাঁধা নিয়ম তাঁর ভালো লাগত না। একবার কাঙ্ক্ষিত ছুটি না দেওয়ায় বসের সঙ্গে তাঁর কথা–কাটাকাটি হয়। সেদিন চাকরি ছেড়ে দেন। চলে যান গ্রামের বাড়ি। শুরু করেন আম, মাল্টা ও কমলার চাষ। এখন বছরে ফল বিক্রি করে তাঁর আয় ২০ লাখ টাকার বেশি। এ ছাড়া নার্সারি থেকে চারা বিক্রি করে আরও প্রায় ৫ লাখ টাকা আয় হয়।
পলাশের বাগানে আছে আমেরিকার পালমার ও ব্ল্যাক স্টোন, তাইওয়ানের তাইওয়ান রেড, থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই, আম্বিকা, ব্যানানা ম্যাঙ্গো ও কিং অব চাকাপাত, জাপানের মিয়াজাকি ও কিউজাই, অস্ট্রেলিয়ার রেড অস্টিন, চীনের নামডকমাই ও ব্রুনাই কিং।পলাশের বাগানে চাষ করা বিদেশি জাতের আম সুমিষ্ট ও ব্যবসায়িকভাবে লাভজনক হওয়ায় আশপাশের চাষিরাও এসব জাতের আম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। পলাশ তাঁর নিজের ২০ বিঘা জমিজুড়ে গড়ে তোলা বাগানে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। তাঁর বাগানে সারা বছর দুজন শ্রমিক কাজ করেন। এ ছাড়া আমের মৌসুমে দু-তিন মাস ধরে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ জন শ্রমিক কাজ করেন সেখানে।
পলাশের বাগানে আছে জাপানের সুস্বাদু মিয়াজাকি আম.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পল শ র ব গ ন ত ইওয় ন র জ ত র আম
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি ছেড়ে গ্রামে গিয়ে আম–মাল্টার বাগান, বছরে আয় ২৫ লাখ
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ভাতশাইল গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা পলাশ হোসেনের (৩৫) মিশ্র ফলবাগানটি যেন সবুজে মোড়ানো। বাগানে গেলে যে কারও মন ভরে উঠবে। আমের মৌসুমে তাঁর বাগানে গাছে গাছে ঝুলছে নানা জাতের দেশি–বিদেশি আম।
পলাশের বাগানে আছে বিদেশি ১২ জাতের আম। এসব জাতের মধ্যে আছে আমেরিকার পালমার ও ব্ল্যাক স্টোন, তাইওয়ানের তাইওয়ান রেড, থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই, আম্বিকা, ব্যানানা ম্যাঙ্গো ও কিং অব চাকাপাত, জাপানের মিয়াজাকি ও কিউজাই, অস্ট্রেলিয়ার রেড অস্টিন, চীনের নামডকমাই ও ব্রুনাই কিং। এগুলোর অধিকাংশই আকর্ষণীয় রঙের। রঙিন প্রজাতির এসব আম সুস্বাদু ও রসালো। বাজারে ভালো দামে বিক্রি করা যায়। অনেক চেষ্টা করে বিভিন্ন জায়গা থেকে চারা সংগ্রহ করে বিদেশি রঙিন জাতের আম চাষ করেছেন তরুণ এই কৃষি উদ্যোক্তা। আমের পাশাপাশি বাগানে আছে মাল্টা ও কমলাও।
রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করার পর ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন পলাশ। কিন্তু চাকরির ধরাবাঁধা নিয়ম তাঁর ভালো লাগত না। একবার কাঙ্ক্ষিত ছুটি না দেওয়ায় বসের সঙ্গে তাঁর কথা–কাটাকাটি হয়। সেদিন চাকরি ছেড়ে দেন। চলে যান গ্রামের বাড়ি। শুরু করেন আম, মাল্টা ও কমলার চাষ। এখন বছরে ফল বিক্রি করে তাঁর আয় ২০ লাখ টাকার বেশি। এ ছাড়া নার্সারি থেকে চারা বিক্রি করে আরও প্রায় ৫ লাখ টাকা আয় হয়।
পলাশের বাগানে আছে আমেরিকার পালমার ও ব্ল্যাক স্টোন, তাইওয়ানের তাইওয়ান রেড, থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই, আম্বিকা, ব্যানানা ম্যাঙ্গো ও কিং অব চাকাপাত, জাপানের মিয়াজাকি ও কিউজাই, অস্ট্রেলিয়ার রেড অস্টিন, চীনের নামডকমাই ও ব্রুনাই কিং।পলাশের বাগানে চাষ করা বিদেশি জাতের আম সুমিষ্ট ও ব্যবসায়িকভাবে লাভজনক হওয়ায় আশপাশের চাষিরাও এসব জাতের আম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। পলাশ তাঁর নিজের ২০ বিঘা জমিজুড়ে গড়ে তোলা বাগানে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। তাঁর বাগানে সারা বছর দুজন শ্রমিক কাজ করেন। এ ছাড়া আমের মৌসুমে দু-তিন মাস ধরে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ জন শ্রমিক কাজ করেন সেখানে।
পলাশের বাগানে আছে জাপানের সুস্বাদু মিয়াজাকি আম