বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় সেতুর একাংশ ধসে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে প্রাণ গেছে নির্মল চন্দ্র মণ্ডল (৬০) নামের এক ব্যক্তির। তিনি পেশায় সবজিবিক্রেতা। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনিয়নের ফুলহাতা বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফুলহাতা বাজারে অবস্থিত সেতুর নিচ দিয়ে শুক্রবার রাতে বালুবাহী একটি বাল্কহেড যাচ্ছিল। এ সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে বাল্কহেডটি সেতুটিতে ধাক্কা দেয়। এতে সেতুর কাঠের অংশ ধসে পড়ে। সেখানে নোঙর করা ইঞ্জিনচালিত ট্রলারটি ওই কাঠের নিচে চাপা পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই নির্মল চন্দ্র মণ্ডল মারা যান।

নিহত নির্মল চন্দ্র মণ্ডলের বাড়ি পাশের পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার কলারদিয়া গ্রামে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ফুলহাতা বাজারসহ বিভিন্ন হাটে সবজি বিক্রি করে আসছিলেন। শুক্রবার ফুলহাতা বাজারে সবজি বিক্রি করতে এসেছিলেন। বাড়ি ফেরার জন্য রাতে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারের জন্য অপেক্ষা করছিলেন নির্মল।

মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

মতলবুর রহমান জানান, রাতেই স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ট্রলার ভেঙে নির্মল মণ্ডলের লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। থানায় লাশ আনার পর স্বজনদের সংবাদ পাঠানো হয়। শনিবার পরিবারের লোকজনের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম র লগঞ জ ব গ রহ ট দ র ঘটন ফ লহ ত

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত ম্যাচে পোস্টের নিচে মিতুলেই আস্থা কাবরেরার

ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে আগামীকাল বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। এ ম্যাচে বাংলাদেশের গোলপোস্টের নিচে থাকবেন মিতুল মারমাই। জাতীয় দলের প্রধান কোচ হাভিয়ের কাবরেরা আজ সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন তা।

এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে চার ম্যাচেই পুরো সময় খেলেছেন মিতুল। তাঁর বিপক্ষে গোল হয়েছে সাতটি। সর্বশেষ ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচেও খেলেছেন তিনি। সেই ম্যাচে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে বাংলাদেশ ড্র করে। সমালোচনা হয়েছে মিতুলকে নিয়ে। অনেকেই ভেবেছিলেন ভারতের বিপক্ষে হয়তো পোস্টের নিচে বদল আসবে। আজ সংবাদ সম্মেলনে সে প্রশ্ন উঠতেই কাবরেরা শান্তভাবে উত্তর দিলেন, ‘না, মিতুলই খেলবে।’

ঢাকায় সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচে তাঁর বিপক্ষে গোল হয়েছিল দুটি। ম্যাচের চার দিন আগে বড় ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ পান মিতুল। সেই শোক নিয়েই মাঠে নামেন তিনি। ম্যাচ শেষে সমর্থকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘ভাই হারানোর শোক নিয়েও আমি দেশকে সেরাটা দেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করি। চেষ্টা করেছি ম্যাচে অবদান রাখার, কিন্তু পারিনি। এ জন্য দুঃখিত ও ক্ষমা চাচ্ছি। এটা আমার জন্য সত্যিই কঠিন সময় ছিল। ভুলের জন্য আমাকে ক্ষমা করবেন। ব্যক্তিগত শোক ভুলে আবার মাঠে ফিরেছেন মিতুল। কোচও তাঁর ওপর আস্থা রাখছেন ধারাবাহিকভাবে।’

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ফুটবল দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ