ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সুহৃদ সমাবেশের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সম্প্রতি উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে সুহৃদ সদস্যদের সম্মতিক্রমে আগের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। ২১ সদস্যবিশিষ্ট ওই কমিটির আহ্বায়ক পদে মুহাম্মদ আব্দুল হান্নানকে নির্বাচিত করা হয়। সদস্য সচিব করা হয় আমজাদ হোসেন সোহেলকে। এ ছাড়া ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা পরিষদও গঠন করা হয়। উপদেষ্টারা হলেন– ফেরদৌস কোরাইশী টিটু, আব্দুল আউয়াল, আতাউর রহমান, ফারুক ইফতেখার, রুহুল আমিন, এএসএম সারোয়ার জাহান, মোশাররফ হোসেন, মুহাম্মদ আল-আমিন, সাদ্দাম হোসেন এবং মশিউর রহমান। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন– আমিনুল ইসলাম, বিলকিস জাহান, আলমগীর হোসেন, সাবিবুর হাসান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আরিফ আল মামুন, পারভেজ মিয়া, তানজিলা, মাসুম আহমেদ, সোয়াদ নাবিল, জিল্লুর রহমান সোহাগ, নাঈম বাশার, জসিম, মনির উদ্দিন, ঋত্বিক ভৌমিক, সুমন মিয়া, রাব্বি আহমেদ, উবায়দুল্লাহ এবং সারুক। কমিটি গঠন শেষে এক আলোচনা সভায় সুহৃদের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। নবগঠিত কমিটি আগামী তিন মাসে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। v
সমন্বয়ক, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ)
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে গারো স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, একজন গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে গারো স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রাত ১০টার দিকে জুগলি ইউনিয়নের নয়াপাগা গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মিলন মিয়া (২১)। তিনি একই এলাকার বাসিন্দা ও পেশায় অটোরিকশাচালক। এর আগে গতকাল রাতেই মূল অভিযুক্ত আবুল বাশার (২৫) ও তাঁর সহযোগী মিলন মিয়াকে আসামি করে হালুয়াঘাট থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রীর মা। তবে মামলার প্রধান আসামিকে আজ সকাল পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যায়নি।
আরও পড়ুনহালুয়াঘাটে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ১৫ ঘণ্টা আগেপুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা ওই কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী (১৫) নবম শ্রেণিতে পড়ে। গত সোমবার দুপুরে মিলন মিয়ার (২১) সঙ্গে সে একটি পার্কে বেড়াতে যায়। বিকেলের দিকে সেখান থেকে বাড়ি পৌঁছে দিতে কিশোরীটিকে বাশারের অটোরিকশায় তুলে দেন মিলন। এ সময় বাশার হালুয়াঘাট উপজেলা শহরে পূজামণ্ডপ দেখানোর কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে ঘুরতে থাকেন। একপর্যায়ে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে স্কুলছাত্রীটিকে ধর্ষণ করেন। এরপর রাত ১১টার দিকে গামারীতলা এলাকায় তাকে নামিয়ে দিয়ে অটোরিকশাচালক চলে যান। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাকে বাড়িতে নিয়ে যান।
খবর পেয়ে পুলিশ গতকাল রাতেই আবুল বাশারের (২৫) বাড়িতে অভিযান চালায়। তবে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ওই সময় অটোরিকশাটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
হালুয়াঘাট থাকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে আমাদের চেষ্টা চলছে। তাঁর সহযোগী মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মিলন জানিয়াছেন, মেয়েটি তাঁর বন্ধু।’
এদিকে হালুয়াঘাটে গারো ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলো। আজ বেলা তিনটায় ঢাকা শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) অলিক মৃ।
আজ বুধবার সকালে নিজের ফেসবুকে পেজে পোস্ট দিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ওই ঘটনার নিন্দা ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মেয়েটি জীবনের সবচেয়ে বড় ক্ষতি ও বিপর্যয়ের সম্মুখীন। মেয়েটির মা বিএনপি পরিবারের সদস্য ও গত ৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিলেও অন্য গারো নারীদের সঙ্গে অংশ নিয়েছেন। অবশ্যই এই ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে হবে।