ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সুহৃদ সমাবেশের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সম্প্রতি উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে সুহৃদ সদস্যদের সম্মতিক্রমে আগের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। ২১ সদস্যবিশিষ্ট ওই কমিটির আহ্বায়ক পদে মুহাম্মদ আব্দুল হান্নানকে নির্বাচিত করা হয়। সদস্য সচিব করা হয় আমজাদ হোসেন সোহেলকে। এ ছাড়া ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা পরিষদও গঠন করা হয়। উপদেষ্টারা হলেন– ফেরদৌস কোরাইশী টিটু, আব্দুল আউয়াল, আতাউর রহমান, ফারুক ইফতেখার, রুহুল আমিন, এএসএম সারোয়ার জাহান, মোশাররফ হোসেন, মুহাম্মদ আল-আমিন, সাদ্দাম হোসেন এবং মশিউর রহমান। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন– আমিনুল ইসলাম, বিলকিস জাহান, আলমগীর হোসেন, সাবিবুর হাসান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আরিফ আল মামুন, পারভেজ মিয়া, তানজিলা, মাসুম আহমেদ, সোয়াদ নাবিল, জিল্লুর রহমান সোহাগ, নাঈম বাশার, জসিম, মনির উদ্দিন, ঋত্বিক ভৌমিক, সুমন মিয়া, রাব্বি আহমেদ, উবায়দুল্লাহ এবং সারুক। কমিটি গঠন শেষে এক আলোচনা সভায় সুহৃদের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। নবগঠিত কমিটি আগামী তিন মাসে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। v
সমন্বয়ক, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ)
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবেশবান্ধব সনদ পেল নতুন ৫ কারখানা
নতুন করে আরও পাঁচটি তৈরি পোশাক কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে। এতে দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৮।
পরিবেশবান্ধব সনদ পাওয়া নতুন কারখানাগুলো হলো ঢাকার আশুলিয়ার টিম গ্রুপের সাউথ অ্যান্ড সোয়েটার, সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে পূর্বাণী ফ্যাশন, চট্টগ্রামের কেডিএস ফ্যাশন, ময়মনসিংহের রাঈদা কালেকশনস ও গাজীপুরের জয়দেবপুরের টেক্সইউরোপ বিডি।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে এই পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে পাঁচটি কারখানা। এ সনদ পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত পরিপালন করতে হয়। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০-এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ ও ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ২৫৮টি কারখানা পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে।
নতুন সনদ পাওয়া চারটির কারখানার মধ্যে চারটিই লিড প্লাটিনাম পেয়েছে। সেগুলো হচ্ছে সাউথ অ্যান্ড সোয়েটার, পূর্বাণী ফ্যাশন, কেডিএস ফ্যাশন ও রাঈদা কালেকশনস। অন্যদিকে টেক্সইউরোপ বিডি লিড গোল্ড সনদ পেয়েছে।
বিশ্বের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দিয়ে থাকে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি)। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউএসজিবিসি যে সনদ দেয়, তার নাম ‘লিড’। লিডের পূর্ণাঙ্গ রূপ হলো লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন। এ সনদ পেতে প্রতিটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে স্থাপনা নির্মাণের কাজ থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে মান রক্ষা করতে হয়।
বাংলাদেশের যে ২৫৮টি কারখানা এখন পর্যন্ত পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে, তার মধ্যে ১০৯টি কারখানা প্লাটিনাম সনদ, ১৩৩টি গোল্ড সনদ পেয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের কারখানাগুলো সর্বোচ্চ মানের পরিবেশবান্ধব কারখানার শর্ত পূরণ করতে পারছে। বাকি ১৬টি কারখানার মধ্যে সিলভার সনদপ্রাপ্ত কারখানা ১২টি এবং সার্টিফায়েড সনদপ্রাপ্ত কারখানা ৪টি।
বিশ্বের শীর্ষ ১০ পরিবেশবান্ধব কারখানার তালিকায় স্থান পেয়েছে ১২টি প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে বাংলাদেশের ১১টি। বিশ্বে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে বিশ্বের শীর্ষ পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে গাজীপুরের তানিশা ফেব্রিকস (এডমিন বিল্ডিং)। ১১০ নম্বরের মধ্যে কারখানাটি ১০৭ পেয়েছে। দেশের অন্য শীর্ষস্থানীয় পরিবেশবান্ধব কারখানাগুলো হচ্ছে গাজীপুরের এসএম সোর্সিং, গাজীপুরের তানিশা ফেব্রিকস (আরএমজি বিল্ডিং), ময়মনসিংহের গ্রিন টেক্সটাইল, গাজীপুরের ইস্প্রিট অ্যাপারেলস, নিট এশিয়া ও ইন্ট্রিগ্রা ড্রেসেস, নারায়ণগঞ্জের রেমি হোল্ডিংস ও ফতুল্লা অ্যাপারেলস, গাজীপুরের লিডা টেক্সটাইল অ্যান্ড ডাইং ও লিজ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিজ।