সংস্কার নিয়ে শুধু বিএনপিকে দোষারোপ করা ঐক্যের সহায়ক হবে না: মির্জা ফখরুল
Published: 1st, July 2025 GMT
সংস্কার নিয়ে শুধু বিএনপিকে দোষারোপ করে কথা বলা জাতীয় ঐক্যের জন্য সহায়ক হবে না বলে সতর্ক করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘একটি কৌশলী প্রচারণা চালানো হচ্ছে, বলা হচ্ছে, বিএনপি সংস্কার মানছে না। অথচ বাস্তবে আমরা বহু আগেই সংস্কারের দিকনির্দেশনা দিয়েছি এবং ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করার পক্ষেই আমরা কথা বলছি।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ‘গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠান হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছিলেন প্রধান অতিথি। অনুষ্ঠানে তাঁর ভিডিও বক্তব্য প্রচার করা হয়।
আরও পড়ুনসংসদে প্রতিনিধিত্ব চান জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যরা২ ঘণ্টা আগেসংস্কার নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের কথা বলেছি, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্যের কথা বলেছি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক সংস্কারের কথা বলেছি। তাই শুধু বিএনপিকে দোষারোপ করলে তা ঐক্যের সহায়ক হবে না।’ তিনি বলেন, বিএনপি বরাবরই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় বিশ্বাস করে এবং সে অনুযায়ী সংস্কারের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। ২০১৬ সালে খালেদা জিয়া ‘ভিশন ২০৩০’ প্রকাশ করেছিলেন, পরে ২০২২ সালে দলীয়ভাবে ২৭ দফা রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা দেওয়া হয়, যা পরবর্তী সময়ে ৩১ দফায় রূপান্তরিত হয়।
তরুণেরাই দেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন এনেছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘তাদের ত্যাগ ও সংগ্রামে আমরা আজকের জায়গায় এসেছি। আমরা চাই, একটি সত্যিকার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, যেখানে থাকবে কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন ও ধর্মীয় স্বাধীনতা।’
আরও পড়ুনসংখ্যানুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থায় বিপদ দেখছেন তারেক রহমান১ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত ‘গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শক–শ্রোতাদের একাংশ। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গণত ন ত র ক অন ষ ঠ ন ব এনপ র ফখর ল
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যাংক টানা ৪ দিন বন্ধ থাকবে, প্রয়োজনে টাকা তুলবেন কীভাবে
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা চার দিনের ছুটি শুরু হচ্ছে আগামীকাল বুধবার। এই সময়ে দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। লেনদেন হবে না দেশের দুই শেয়ারবাজারেও। ছুটি শেষে আগামী রোববার সব খুলবে।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১ অক্টোবর নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী উপলক্ষে ছুটি থাকবে। এরপর ৩ অক্টোবর শুক্রবার ও ৪ অক্টোবর শনিবার সাপ্তাহিক বন্ধ। সব মিলিয়ে চার দিন দেশের আর্থিক খাতের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষে ৫ অক্টোবর ব্যাংক ও পুঁজিবাজারের লেনদেন শুরু হবে।
ব্যাংকগুলোতে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত লেনদেন চলে। আর শেয়ারবাজারে সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত একটানা লেনদেন চলে।
তবে এই সময়ে খোলা থাকবে সব ধরনের ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা। অর্থাৎ গ্রাহকেরা কার্ড দিয়ে এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে ও লেনদেন করতে পারবেন। ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা সার্বক্ষণিক চালু থাকবে। পাশাপাশি বিকাশ, নগদের মতো মোবাইলে আর্থিক সেবা সার্বক্ষণিক চালু থাকবে।
কীভাবে টাকা তুলবেনটানা চার দিন ছুটির সময়ে বন্ধ থাকবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। এই সময় নগদ টাকার প্রয়োজন হলে কী করবেন? দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ব্যাংকের শাখায় না গিয়ে বিকল্প উপায়ে টাকা তুলতে হবে।
এই সময়ে খোলা থাকবে এটিএম বুথ, এমএফএসের ক্যাশআউটসহ সব বিকল্প ব্যাংকিং ব্যবস্থা বা লেনদেনের ব্যবস্থা।
কার্ড দিয়ে এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলা যাবে, চাইলে পয়েন্ট অব সেলে (পিওএস) গিয়ে লেনদেন করা যাবে। এ সময়ে সব ধরনের ইন্টারনেটভিত্তিক লেনদেনের ব্যবস্থা চালু থাকবে। পাশাপাশি বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) চালু থাকবে। ফলে ব্যাংক বন্ধ থাকলেও আর্থিক লেনদেন চালু রাখতে সমস্যা হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাবে, সারা দেশে ব্যাংকগুলোর এখন ১২ হাজার ৮১৪টি এটিএম বুথ ও ৭ হাজার ৬৪৩টি সিআরএম রয়েছে। পিওএস রয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩২৭টি। ব্যাংকগুলো এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৫২ লাখ ডেবিট কার্ড ইস্যু করেছে। অবশ্য একজন গ্রাহকের একাধিক ব্যাংকের কার্ড রয়েছে।
এর বাইরে এখন ব্যাংকের নিজস্ব অ্যাপসহ ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা রয়েছে। এই সেবার মাধ্যমে এক ব্যাংকের গ্রাহক অন্য ব্যাংকের গ্রাহককে তাৎক্ষণিক টাকা পাঠাতে পারেন। ফলে এই ছুটিতে টাকা পাঠানোর কাজটি বন্ধ থাকবে না।
বিকাশ, নগদ ও রকেটের মতো এমএফএস সেবা বেশ জনপ্রিয়। এই সেবাগুলোর সবই খোলা আছে। এসব সেবায় ব্যাংক থেকে টাকা জমা করা যাচ্ছে।