রাজশাহীর বাগমারায় পাহারাদারকে বেঁধে বিএনপির এক নেতার পুকুর থেকে মাছ লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ঝিকড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে আজ সকাল পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।

অভিযোগকারী ব্যক্তির নাম ছমির উদ্দিন। তিনি উপজেলা বিএনপির সদস্য ও ঝিকড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয়ভাবে ইট ও মাছ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

অভিযোগ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, ঝিকড়া বাজার থেকে সামান্য দূরে ব্রিজ–সংলগ্ন এলাকায় ২০ বিঘা আয়তনের একটি পুকুরে মাছ চাষ করে আসছেন ছমির। পুকুরটির দেখাশোনার জন্য একজন পাহারাদার সেখানে একটি খুপরিতে অবস্থান করেন। গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তাঁকে বেঁধে পুকুরে জাল ফেলে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁরা মাছ ধরে দুটি ট্রাকে করে এসব নিয়ে যায়। এর আগেও ঝিকড়া ও মাড়িয়া ইউনিয়নের চারটি পুকুর থেকে একই কায়দায় মাছ লুটের ঘটনা ঘটে।

পাহারাদার বাবু হোসেন বলেন, গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হঠাৎ দুটি ট্রাক এসে পুকুরের পাশে থামে। সেখান থেকে ১৫ থেকে ২০ জন লোক নেমে তাঁর দিকে তেড়ে আসে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দড়ি দিয়ে বাবুর হাত-পা ও কাপড় দিয়ে মুখ বেঁধে ফেলে। পরে তাঁকে পুকুরের পাশেই ফেলে রাখা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। প্রায় দুই ঘণ্টা পর পুকুর থেকে মাছ ধরে ট্রাকে তোলা হয়। যাওয়ার সময় তাঁর মুখের বাঁধন খুলে দেয়। পরে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে তাঁর হাত ও পায়ের বাঁধন খুলে দেয়।

ছমির উদ্দিনের দাবি, পুকুরটিতে রুই ও কাতলসহ বিভিন্ন জাতের প্রায় ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার মাছ ছিল। কিছুদিনের মধ্যে মাছগুলো পুকুর থেকে তুলে বিক্রি করা হতো। এর আগেই দুর্বৃত্তরা এসব লুট করে নিয়ে গেল। তবে কী পরিমাণ মাছ লুট হয়েছে, তা নির্ণয় করতে পারেননি। জাল ফেললে ধারণা করা যাবে।

এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম জানান, পুলিশের একজন উপপরিদর্শককে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ত্রাস সৃষ্টি, টার্গেট কিলিং: ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের অন্ধকারাচ্ছন্ন ভাবমূর্তি

আর্জেন্টিনার একজন ধনী ব্যবসায়ী হঠাৎ সিরিয়ায় ব্যবসা করতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। নিজেকে তিনি সিরীয় বংশোদ্ভূত একজন লেবানিজ ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেন। বলেন, ফিরতে চান নিজের দেশে, শিকড়ের কাছে।

নাম তাঁর কামেল আমিন সাবেত। তিনি আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এইরেসে বাস করা ধনী সিরীয়দের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন, ১৯৬২ সালে তাঁদের হাত ধরেই ব্যবসা করতে চলে যান সিরিয়ায়।

নেটফ্লিক্সে ২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য স্পাই’ সিরিজের গল্প এই কামেল আমিন চরিত্রকে ঘিরে। কামেল কাল্পনিক কোনো চরিত্র নয়, বরং চরম ধূর্ততা দেখিয়ে প্রতিপক্ষের অন্দরমহলে পৌঁছে যাওয়া মোসাদের এক ছদ্মবেশী এজেন্ট। তাঁর প্রকৃত নাম এলি কোহেন, মোসাদের এজেন্ট হিসেবে সারা বিশ্ব যাঁকে চেনে।

কামেল আমিন ছদ্ম নামে এলি কোহেন সিরিয়া সরকার এবং দেশটির সেনাবাহিনীর শীর্ষপর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন।

মোসাদের গোয়েন্দা এলি কোহেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দিনমজুর বাদশা মিয়াকে আমাদের সাধুবাদ
  • প্রেমিককে সামনে আনলেন জেনিফার
  • ‘কাণ্ডজ্ঞান’ নিয়ে কটাক্ষের শিকার মাধুরী
  • ফিফপ্রোর একাদশ: মেসি–রোনালদোর জায়গা হয়নি, ইয়ামাল সর্বকালের সর্বকনিষ্ঠ
  • নেপালে তুষারধসে ৭ পর্বতারোহীর মৃত্যু
  • অস্কার মনোনীত অভিনেত্রী ডায়ান মারা গেছেন
  • এক যে আছে মন
  • নিউ ইয়র্কে মেয়র নির্বাচন আজ, কুওমোকে সমর্থন ট্রাম্পের
  • ফিলিস্তিনি বন্দীকে নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস, ইসরায়েলে সেনাবাহিনীর সাবেক প্রসিকিউটর গ্রেপ্তার
  • ত্রাস সৃষ্টি, টার্গেট কিলিং: ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের অন্ধকারাচ্ছন্ন ভাবমূর্তি