গত মে-জুনের ঘটনা। পাকিস্তানে ৫ টি-টোয়েন্টি খেলতে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের। কিন্তু ওই সময়ের ঠিক আগে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার যুদ্ধের কারণে পরিস্থিতি নিরাপদ ছিল না। এজন্য সিরিজ কমিয়ে ৩ ম্যাচে আয়োজন করা হয়। লাহোরে একই ভেন্যুতে ৩টি ম্যাচ আয়োজন করা হয়। এবং পাকিস্তান স্রেফ উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশকে। ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে অতিথিদের। সঙ্গে দুই দলের ব্যবধানও স্পষ্ট করে। পরাজয়ের ব্যবধানগুলো এতোটাই বড় ছিল যে, হারের কোনো ব্যাখ্যাই দিতে পারেননি কেউ।
দেড় মাসের ব্যবধানে ঠিক একই পরিস্থিতির মুখোমুখি পাকিস্তান। এবার বাংলাদেশ বদলা নেওয়ার অপেক্ষায়। ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে ডেকে এনে হোয়াইটওয়াশের বদলা হোয়াইটওয়াশেই নেওয়ার অপেক্ষায় বাংলাদেশ।
সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ। আগামীকাল মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ। একাধিক ম্যাচের সিরিজে প্রথমবার পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। এবার হোয়াইটওয়াশের চ্যালেঞ্জ স্বাগতিকদের।
আরো পড়ুন:
এক মিনিট নিরাবতা পালন করে শুরু বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে সিরিজ বাংলাদেশের
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচের জয়ের নায়ক জাকের আলী সাফ জানিয়ে গেলেন, সিরিজ নিশ্চিত হলেও তৃতীয় ম্যাচও জয়ের জন্যই খেলবে বাংলাদেশ। ছাড় দেওয়া কিংবা প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
“লাইটলি না। অবশ্যই আমরা জেতার জন্যই যাব। ম্যাচ জেতা মানে জেতাই। ওরাও খুব ভালো ফাইট করেছে। দিন শেষে আমরা ম্যাচ জিতেছি। টানা ৪ ম্যাচ জেতার আত্মবিশ্বাস। অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে শেষ ম্যাচ জেতা।”
আগামী ৫-২১ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশের সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার, সেরা টিম কম্বিনেশন ঠিক করার, রিজার্ভ বেঞ্চ পরীক্ষা করার এটাই শেষ সুযোগ। তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতেও পারে। সেক্ষেত্রে বেঞ্চে থাকা একাধিক ক্রিকেটার সুযোগ পেতেও পারেন।
আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আফগানিস্তানকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। সেই তালিকায় লিটনরা পাকিস্তানকে যোগ পারেন কিনা দেখার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের পর পাকিস্তানের বিপক্ষেও সিরিজ জয় দারুণ কিছু। শেষটা রাঙাতে পারলে অর্জনের ঝুলি আরো ভারী হবে। পারবেন তো জাকের, তানজিদ, শরীফুলরা?
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ য় ইটওয় শ যবধ ন
এছাড়াও পড়ুন:
৪২ বছর পর নিউ জিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ ইংল্যান্ড
১৯৮৩ সাল আবার মনে করাল ইংল্যান্ড। নিউ জিল্যান্ডে গিয়ে সেবার ইংল্যান্ড ৩-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল। ৪২ বছর পর একই অভিজ্ঞতা হলো এবার তাদের।
আগেই সিরিজ নিশ্চিত করা নিউ জিল্যান্ড এবার আরো চেপে ধরেছিল ইংল্যান্ডকে। তবুও লড়াই করে ওয়েলিংটনে অতিথিরা ২২২ রানের পুঁজি পায়। হোয়াইটওয়াশের মিশনে থাকা নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটিং তেমন ভালো হয়নি। লো স্কোরিং ম্যাচ জমে উঠে। শেষ পর্যন্ত ৪৪.৪ ওভারে হাতে ২ উইকেট রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কিউইরা। ১৯৮৩ সালের পর প্রথম নিউ জিল্যান্ড ইংল্যান্ডকে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ করল।
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ইংল্যান্ড চরম বিপর্যয়ে পড়ে। ৯৭ রানে ৬ উইকেট হারায় তারা। ১০২ রানে তাদের শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান জস বাটলার (৩৮) আউট হন। তখন ধারণা করা হচ্ছিল অল্পতেই গুটিয়ে যাবে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
কিন্তু সেখানে ঢাল হয়ে দাঁড়ান ব্রাইডন চার্স ও জেমি ওভারটন। দুজন ৫৮ রানের জুটি গড়েন। যেখানে ব্রাইডন আক্রমণাত্মক ক্রিকেট উপহার দিয়ে ৪ ছক্কা ও ১ চারে ৩০ বলে ৩৬ রান করেন। ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের জুটি আসে তাদের ব্যাটেই।
শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ওভারটন আউট হন ৪১তম ওভারে। ৬২ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৬৮ রান করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এর আগে জেমি স্মিথ (৫), বেন ডাকেট (৮), জো রুট (২) ও হ্যারি ব্রুক (৬) দ্রুত আউট হন। দলের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেন পাঁচ নম্বরে নামা জ্যাকব মিচেল। তবুও ১১ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
নিউ জিল্যান্ডের বোলিং ছিল নিয়ন্ত্রিত। ৬৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা ছিলেন ব্লায়ার টিকনার। ৩ উইকেট পেয়েছেন জ্যাকব টাফি। ২টি পেয়েছেন জ্যাক ফলকস।
জবাব দিতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৮ রান পায় কিউইরা। ডেভন কনওয়ে ৩৪ ও রাচীন রাভিন্দ্রা ৪৬ রান করেন। এরপর ছন্দ হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় স্বাগতিকরা। কিন্তু ডার্ল মিচেলের অনবদ্য ৪৪ ও শেষ দিকে মিচেল স্টানারের ২৭ রানে নিউ জিল্যান্ড লড়াইয়ে ফেরে। শেষ দিকে জ্যাক ফলকসের ১৪ ও ব্লায়ার টিকনারের ১৮ রানে নিউ জিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত হয়।
ইংলিশদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন ওভারটন ও স্যাম কারান।
এই সিরিজে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং একটুও ভালো হয়নি। প্রথম ম্যাচে ২২৩ ও দ্বিতীয়টিতে ১৭৫ রানে গুটিয়ে যায়। নিউ জিল্যান্ড জয় পায় যথাক্রমে ৪ ও ৫ উইকেটে। শেষ ম্যাচে খানিকটা প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়লেও হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারেনি ইংল্যান্ড।
বল হাতে ৪ উইকেট ও ব্যাটিংয়ে ১৮ রান করে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন টিকনার। ১৭৮ রান করে সিরিজ সেরা ডার্ল মিচেল।
ঢাকা/ইয়াসিন